১১ তম তারাবির উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত |
পবিত্র মাহে
রমাদ্বানের ১১তম তারাবিহতে তেলাওয়াত করা হবে ১৪তম পারার ১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ
পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত
১। কোন জাতির উত্থান পতন আল্লাহ
নির্ধারণ করেন:
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ اُمَّۃٍ اَجَلَہَا وَمَا
یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ
কোন জাতি তার
নির্দিষ্ট কালকে ত্বরান্বিত করতে পারে না, বিলম্বিতও করতে পারে না। (হিজর-৫)
২। কুরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহর
হাতে:
اِنَّا
نَحۡنُ نَزَّلۡنَا الذِّکۡرَ وَاِنَّا لَہٗ لَحٰفِظُوۡنَ
আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই এর
সংরক্ষক। ( হিজর - ৯)
৩। প্রত্যেক বস্তুর অশেষ ভাণ্ডার আল্লাহর মজুদ:
وَاِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا عِنۡدَنَا خَزَآئِنُہٗ ۫
وَمَا نُنَزِّلُہٗۤ اِلَّا بِقَدَرٍ مَّعۡلُوۡمٍ
আমারই নিকট আছে
প্রত্যেক বস্তুর ভাণ্ডার এবং আমি তা পরিজ্ঞাত পরিমাণেই সরবরাহ করে থাকি। (হিজর
- ২১)
৪। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না
قَالَ وَمَنۡ یَّقۡنَطُ مِنۡ رَّحۡمَۃِ رَبِّہٖۤ
اِلَّا الضَّآلُّوۡنَ
সে বলল, ‘যারা পথভ্রষ্ট তারা ব্যতীত আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ
হতে হতাশ হয় ? (হিজর - ৫৬)
৫। যারা আল্লাহর রাসূল সাঃ কে নিয়ে বিদ্রুপ করে
اِنَّا کَفَیۡنٰکَ الۡمُسۡتَہۡزِءِیۡنَ ۙ
আমিই যথেষ্ট
তোমার জন্যে বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে। (হিজর - ৯৫)
৬। আল্লাহ্ র নিয়ামত গণনা করে শেষ করা যাবে না
وَاِنۡ تَعُدُّوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ لَا تُحۡصُوۡہَا ؕ
اِنَّ اللّٰہَ لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
তোমরা আল্লাহ্ র
অনুগ্রহ গণনা করলে এর সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। (সূরা আন নাহল ১৬:১৮)
৭। তাগূতকে বর্জন করার নির্দেশ
وَلَقَدۡ
بَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ وَاجۡتَنِبُوا
الطَّاغُوۡتَ ۚ
আল্লাহ্ র ‘ইবাদত করার ও তাগূতকে বর্জন করার নির্দেশ দিবার জন্যে আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি।(সূরা আন নাহল ১৬:৪০)
৮। আল্লাহর সৃষ্টি কৌশল
اِنَّمَا قَوۡلُنَا لِشَیۡءٍ اِذَاۤ اَرَدۡنٰہُ اَنۡ نَّقُوۡلَ
لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ
আমি কোন কিছু
ইচ্ছা করলে সে বিষয়ে আমার কথা কেবল এই যে, আমি বলি, হও, ফলে তা হয়ে যায়। (সূরা আন নাহল ১৬:৪০)
৯। পাপ করলেই যদি আল্লাহ আযাব দিতেন তবে কেউই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেত না
وَلَوۡ یُؤَاخِذُ
اللّٰہُ النَّاسَ بِظُلۡمِہِمۡ مَّا تَرَکَ عَلَیۡہَا مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّلٰکِنۡ
یُّؤَخِّرُہُمۡ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُہُمۡ لَا یَسۡتَاۡخِرُوۡنَ
سَاعَۃً وَّلَا یَسۡتَقۡدِمُوۡنَ
আল্লাহ্ যদি
মানুষকে তাদের সীমালংঘনের জন্যে শাস্তি দিতেন তবে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই
দিতেন না;
কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে
থাকেন। এরপর যখন তাদের সময় আসে তখন তারা মুহূর্তকাল বিলম্ব বা ত্বরা করতে পারে না।
(সূরা আন নাহল ১৬:৬১)
১০। মৌমাছির জীবন থেকে মানুষের শিক্ষনীয় রয়েছে
وَاَوۡحٰی رَبُّکَ اِلَی النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِیۡ
مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا یَعۡرِشُوۡنَ ۙ
তোমার প্রতিপালক
মৌমাছিকে এর অন্তরে ইঙ্গিত দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ
যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে। (সূরা আন নাহল ১৬:৬৮)
১১। মধুতে রয়েছে শিফা
ثُمَّ کُلِیۡ مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ فَاسۡلُکِیۡ
سُبُلَ رَبِّکِ ذُلُلًا ؕ یَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِہَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ
اَلۡوَانُہٗ فِیۡہِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ ؕ اِنَّ
فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ
অতঃপর প্রত্যেক
ফল হতে কিছু কিছু আহার কর, এরপর তোমার
প্রতিপালকের সহজ পথ অনুসরণ কর।’ এর উদর হতে
নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়; যাতে মানুষের
জন্যে রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই এতে রয়েছে নিদর্শন চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে।(সূরা আন নাহল ১৬:৬৯ )
১২। আল্লাহর কোন প্রতিকৃতি বা সাদৃশ্য নেই
فَلَا
تَضۡرِبُوۡا لِلّٰہِ الۡاَمۡثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا
تَعۡلَمُوۡنَ
সুতরাং তোমরা
আল্লাহ্ র কোন সদৃশ স্থির কর না। আল্লাহ্ জানেন এবং তোমরা জান না।(সূরা আন নাহল ১৬:৭৪)
১৩।অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহরই
وَلِلّٰہِ غَیۡبُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ وَمَاۤ
اَمۡرُ السَّاعَۃِ اِلَّا کَلَمۡحِ الۡبَصَرِ اَوۡ ہُوَ اَقۡرَبُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ
عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
আকাশমণ্ডলী ও
পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহ্ র ই এবং কিয়ামতের ব্যাপার তো চোখের পলকের
ন্যায়,
বরং তা অপেক্ষাও সত্বর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে
সর্বশক্তিমান। (সূরা আন নাহল ১৬:৭৭)
১৪। শ্রবনশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং অন্তর আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত,এর শুকরিয়া আদায় প্রয়োজন
وَاللّٰہُ اَخۡرَجَکُمۡ مِّنۡۢ بُطُوۡنِ اُمَّہٰتِکُمۡ
لَا تَعۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ۙ وَّجَعَلَ لَکُمُ السَّمۡعَ وَالۡاَبۡصَارَ
وَالۡاَفۡـِٕدَۃَ ۙ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ
এবং আল্লাহ্
তোমাদেরকে বের করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভ হতে এমন অবস্থায় যে, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন শোনেশক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং হৃদয়, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা আন নাহল ১৬:৭৮ )
১৫। আল কুরআন স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশক, রহমত ও সুসংবাদস্বরূপ
وَنَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ
الۡکِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّکُلِّ شَیۡءٍ وَّہُدًی وَّرَحۡمَۃً وَّبُشۡرٰی
لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ
আমি মুসলমানদের
জন্যে প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি
কিতাব অবতীর্ণ করলাম। (সূরা আন নাহল ১৬:৮৯)
১৬। ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ করা এবং অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালংঘন থেকে দূরে থাকা
اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَالۡاِحۡسَانِ
وَاِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَیَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَالۡمُنۡکَرِ
وَالۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
নিশ্চয়ই আল্লাহ্
ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের
নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালংঘন; তিনি তোমাদেরকে
উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। (সূরা আন নাহল ১৬:৯০)
১৭। কুরআন তেলাওয়াত এর আদব
فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ
مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ
যখন কুরআন পাঠ
করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ্ র শরণ নিবে । (সূরা আন নাহল ১৬:৯৮)
১৮। তাওবাকারীদের জন্য মাগফিরাত এর ঘোষণা
ثُمَّ
اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیۡنَ عَمِلُوا السُّوۡٓءَ بِجَہَالَۃٍ ثُمَّ تَابُوۡا مِنۡۢ
بَعۡدِ ذٰلِکَ وَاَصۡلَحُوۡۤا ۙ اِنَّ
رَبَّکَ مِنۡۢ بَعۡدِہَا لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
অতঃপর যারা
অজ্ঞতাবশত মন্দ কর্ম করে তারা পরে তওবা করলে ও নিজেদেরকে সংশোধন করলে তাদের জন্যে
তোমার প্রতিপালক অবশ্য অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আন নাহল ১৬:১১৯)
১৯। আল্লাহ মুত্তাকী ও মুহসীনদের সাহায্য করেন
اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا وَّالَّذِیۡنَ
ہُمۡ مُّحۡسِنُوۡنَ
আল্লাহ্ তাদেরই
সঙ্গে আছেন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ। (সূরা আন নাহল ১৬:১২৮)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক