জুমুয়ার সানি খুতবাহ | জুমুয়ার দ্বিতীয় খুতবাহ | পিডিএফ ডাউনলোড

الخطبة الثانية من كل يوم جمعة জুমুয়ার দ্বিতীয় খুতবা, জুমুয়ার সানী খুতবা

জুমুয়ার দ্বিতীয় খুতবা

الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, আমি তাঁরই দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আর আমরা আমাদের নফসের কুমন্ত্রণা হতে আল্লাহ তা'য়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له

আল্লাহ তা'য়ালা যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেউ পথ ভ্রষ্ট করতে পারেনা আর আল্লাহ তা'আলা যাকে সুপথ না দেখান তাকে কেউ হেদায়েত দান করতে পারে না।

وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده ورسوله

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল।

أما بعد فيا أيها المسلمون قال الله تعالى اِنَّ اللّٰہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا

অতঃপর হে মুসলমানগণ! আল্লাহ তা'আলা বলেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্য রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।" ( আল আহ্‌যাব - ৫৬ )

اللهم صل على محمد عبدك ورسولك وصل على المؤمنين والمؤمنات والمسلمين والمسلمات وبارك على محمد وأزواجه وذريته

হে আল্লাহ, আপনি আপনার বান্দা ও রাসূল (সাঃ) এর উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং সমস্ত মমিন মুসলমান নর-নারীর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন। আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে, তাঁর সহধর্মিণী ও সন্তান-সন্ততির প্রতি রহমত করুন।

قال النبي صلّ الله عليه وسلم أرحم امتي بامتي أبو بكر وأشدهم في أمر الله عمر وأصدقهم حياء عثمان  واقضي هم على

রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন উম্মতের মধ্যে সর্বাধিক কোমল ব্যক্তি হচ্ছে হযরত আবু বকর (রাঃ) এবং আল্লাহর বিধান মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর হলেন হযরত ওমর (রাঃ), সর্বাধিক লাজুক ব্যক্তি হযরত ওসমান (রাঃ) এবং হযরত আলী (রাঃ) শ্রেষ্ঠ বিচারক।

 فاطمة سيدة نساء أهل الجنة والحسن والحسين سيدا شباب أهل الجنة وحمزة أسد الله وأسد رسوله

হযরত ফাতেমা (রাঃ) বেহেশতী নারীদের নেত্রী , হাসান হোসাইন (রাঃ) বেহেশতী যুবকদের নেতা আর হামজা (রাঃ) আল্লাহ তাঁর রাসূলের বাঘ।

اللهم اغفر للعباس وولده مغفرة ظاهرة وباطنة لا تغادر ذنبا رضي الله تعالى عنهم أجمعين  - الله الله في أصحابي لا تتخذوهم غرضا من بعدي

হে আল্লাহ, আপনি আব্বাস (রাঃ) ও তার সন্তান-সন্ততিদের কে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সর্বতোভাবে ক্ষমা করুন। যেন একটি গুনাহ ও অবশিষ্ট না থাকে।  রাসূল (সাঃ) বলেন, সাবধান! সাবধান! তোমরা আমার সাহাবীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করো। আমার পর তোমরা তাদেরকে শত্রুতার লক্ষ্যস্থল বানাবে না।

 فمن أحبهم فبحبي أحبهم ومن أبغضهم فببغضي أبغضهم، وخير القرون قرني ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم

যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে তা আমার প্রতি ভালোবাসার দরুন ভালবাসবে এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে সে আমার প্রতি বিদ্বেষ থাকার দরুন তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে। আমার সময়কার উম্মতগণ সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। এরপর তাদের পরবর্তী কালের উম্মতগণ শ্রেষ্ঠ। অতঃপর তাদের পরবর্তী কালের উম্মতগণ শ্রেষ্ঠ।

اللهم اهدنا الصراط المستقيم، اللهم اعز الاسلام والمسلمين، اللهم انصر وارحم عساكر لبنغلاديش، واحفظهم من كل شدة ومصيبه

হে আল্লাহ, আমাদের কে সরল-সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। হে আল্লাহ, আপনি ইসলাম ও মুসলমানদের মর্যাদা সমুন্নত করুন। হে আল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সাহায্য করুন, তাদের প্রতি রহম করুন এবং যাবতীয় বিপদ মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।

رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ( البقرة ١٢٧)

 رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّفِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ ( البقرة ٢٠١)

হে পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল করুন।  নিশ্চয়ই আপনি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। ( আল বাকারা - ১২৭ )

হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান করুন, আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন। ( আল বাকারা - ২০১ )

اللَّهمَّ إِنِّي أَعُوُذُ بِكَ مِنَ الْبرَصِ، وَالجُنُونِ، والجُذَامِ، ومن وسّيءِ الأَسْقامِ

হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনা সহ সব ধরনের কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই। [সুনান আবু দাউদ]

عباد الله رحمكم الله اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُ بِالۡعَدۡلِ وَالۡاِحۡسَانِ وَاِیۡتَآیِٔ ذِی الۡقُرۡبٰی وَیَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَالۡمُنۡکَرِ وَالۡبَغۡیِ ۚ یَعِظُکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ، (النحل - ٩٠)

হে আল্লাহর বান্দাগণ, আল্লাহ তোমাদের উপর রহম করুন। আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন।  তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নাহল - ৯০)

فَاذۡکُرُوۡنِیۡۤ اَذۡکُرۡکُمۡ وَاشۡکُرُوۡا لِیۡ وَلَا تَکۡفُرُوۡنِ

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।" ( আল বাকারা - ১৫২ )


Download PDF File

PDF Download



কুরআন ও হাদিসের আলোকে মুত্তাকী ব্যক্তির পরিচয় - জুমুয়ার খুতবা

কুরআন ও হাদিসের আলোকে মুত্তাকী ব্যক্তির পরিচয়

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুত্তাকীর পরিচয়


 জুমুয়ার খুতবা

 الحمد لله رب العالمين، والعاقبه للمتقين، والصلاه والسلام على سيد الانبياء والمرسلين وعلى اله واصحابه اجمعين، اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله

সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য আর আল্লাহ ভীরুদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম দুরুদ সালাম প্রিয় নবী (সাঃ), তাঁর পরিবারবর্গ সমস্ত সাহাবা কেরামের প্রতি আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই তাঁর কোন অংশীদার নেই আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা রাসূল

ايها الحاضرون الكرام، موضوع الخطبه في هذه اليوم "تعريف المتقي في ضوء القرآن والحديث"

সম্মানিত উপস্থিতি! আজকে আমাদের খুতবার আলোচ্য বিষয়

"কুরআন হাদিসের আলোকে মুত্তাকী ব্যক্তির পরিচয়"

তাকওয়ার পরিচিতি

ان عمر بن الخطاب رضي الله عنه سال ابي بن كعب عن التقوى، فقال له، اما سلكت طريقا ذا شوك؟ قال بلي قال فما علمت؟ قال شمرت واجتهدت. قال فذلك التقوى. ( مكتبه الشامله)

খলিফা ওমর (রাঃ) একবার হযরত উবাই ইবনে কা' কে জিজ্ঞেস করছিলেন, তাকওয়া কি? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আপনি কি কখনো কাঁটাযুক্ত পথে চলেছেন? তিনি বললেন হাঁ, উবাই ইবনে কা' বললেন, তখন আপনি কিভাবে চলেছেন? তিনি বললেন, খুব সতর্কতার সাথে কাঁটার আঁচড় থেকে শরীর কাপড় বাঁচিয়ে চলেছি উবাই ইবনে কা' বললেন, এটাই হলো তাকওয়া(সুরা বাকারার - নং আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর)

অদৃশ্যে বিশ্বাস, সালাত কায়েম, দান করা মুত্তাকির বৈশিষ্ট্য

ايها الحاضرون الكرام، يقول الله تعالى عن هذا في القرآن الكريم

الٓـمّٓذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚ-  فِیۡہِ ۚ  ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ - الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَیُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ

সম্মানিত উপস্থিতি! মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বিষয়ে বলেনআলিফ লাম মীম সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই এটা মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াতযারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে আর আমি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে(সূরা বাকারাঃ ১-)

কিতাব ও আখিরাতে বিশ্বাস

وَالَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ  وَبِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ  - اُولٰٓئِکَ عَلٰی ہُدًی مِّنۡ رَّبِّہِمۡ ٭ وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ

আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেতারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম(সূরা বাকারাঃ ৪-)

অর্থ উৎসর্গ, ক্রোধ সংবরণ ও ক্ষমা করা

وَسَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَجَنَّۃٍ عَرۡضُہَا السَّمٰوٰتُ وَالۡاَرۡضُ ۙ  اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَۙ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ فِی السَّرَّآءِ وَالضَّرَّآءِ وَالۡکٰظِمِیۡنَ الۡغَیۡظَ وَالۡعَافِیۡنَ عَنِ النَّاسِ ؕ  وَاللّٰہُ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَۚ

মহান আল্লাহ তা'য়ালা অন্য আয়াতে বলেনঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান যমীন যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য

যারা স্বচ্ছলতায় অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন(আল ইমরানঃ ১৩৩-১৩৪)

মুত্তাকির বৈশিষ্ট্য

لَیۡسَ الۡبِرَّ اَنۡ تُوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ قِبَلَ الۡمَشۡرِقِ وَالۡمَغۡرِبِ وَلٰکِنَّ الۡبِرَّ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَالۡمَلٰٓئِکَۃِ وَالۡکِتٰبِ وَالنَّبِیّٖنَۚ وَاٰتَی الۡمَالَ عَلٰی حُبِّہٖ ذَوِی الۡقُرۡبٰی وَالۡیَتٰمٰی وَالۡمَسٰکِیۡنَ وَابۡنَ السَّبِیۡلِ ۙ وَالسَّآئِلِیۡنَ وَفِی الرِّقَابِ ۚ وَاَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَاٰتَی الزَّکٰوۃَ ۚ وَالۡمُوۡفُوۡنَ بِعَہۡدِہِمۡ اِذَا عٰہَدُوۡا ۚ وَالصّٰبِرِیۡنَ فِی الۡبَاۡسَآءِ وَالضَّرَّآءِ وَحِیۡنَ الۡبَاۡسِ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ صَدَقُوۡا ؕ وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُتَّقُوۡنَ

আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, ধার্মিকতা শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ ফিরাবে, বরং প্রকৃত ধার্মিকতা হলঃ

) আল্লাহর উপর ঈমান আনবে,

) কিয়ামত দিবসের উপর,

) ফেরেশতাদের উপর,

) কিতাবের উপর

নবী-রসূলগণের উপর,

) আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে

) আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে,

) যাকাত দান করে,

) যারা অঙ্গীকার পূর্ণ করে,

১০) যারা অভাবে, রোগে-শোকে যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী(আল বাকারাঃ ১৭৭)

আল্লাহ দেখছেন এই বিশ্বাস নিয়ে চলা

عن عباده بن الصامت قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :«ان أفضل الإيمان أن تعلم أن الله معك حيث ما كنت» ( المعجم الا وسط الطيران - 8796)

হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "সর্বোত্তম ঈমান হল কথা বিশ্বাস করা যে, তুমি যেখানেই থাকো আল্লাহ তোমার সাথে রয়েছেন" (তাবারানী- ৮৭৯৬)

বন্ধু গ্রহণের সতর্ক থাকা

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الرَّجُلُ عَلَى دِينِ خَلِيلِهِ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ يُخَالِلُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ মানুষ তার বন্ধুর ধ্যান-ধারণার অনুসারী হয়ে থাকে সুতরাং তোমাদের সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত সে কার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে(মিশকাতঃ ৫০১৯, জামে আত-তিরমিজিঃ ২৩৭৮)

اعوذ بالله من الشيطان الرجيم اَلَّذِیۡنَ اسۡتَجَابُوۡا لِلّٰہِ وَالرَّسُوۡلِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَاۤ اَصَابَہُمُ الۡقَرۡحُ ؕۛ  لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا مِنۡہُمۡ وَاتَّقَوۡا اَجۡرٌ عَظِیۡمٌۚ

বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইআল্লাহ বলেন, যারা আহত হয়ে পড়ার পরেও আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য করেছে, তাদের মধ্যে যারা সৎ পরহেযগার, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরষ্কার(আল ইমরানঃ ১৭২)

بارك الله لنا ولكم في القران الكريم ونفعنا واياكم بما فيه من الايات والذكر الحكيم

মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআনের মাধ্যমে আমাকে আপনাদেরকে বরকত দান করুন এবং তাঁর আয়াতসমূহ শিক্ষণীয় বাণী দ্বারা উপকৃত করুন

পিডিএফ ডাউনলোডকরুন