কুরআনের দোয়া (সুরাহ বাক্বারা) QURANIC DUA- Surah Al-BAQARAH (البقرة) (VL-01)

 

কুরআনের দোয়া (সুরাহ বাক্বারা) QURANIC DUA- Surah Al-BAQARAH (البقرة) (VL-01)
QURANIC DUA- Surah Al-BAQARAH (البقرة)

০১। এলাকাবাসীদের জন্য দোয়াঃ

 رَبِّ اجۡعَلۡ ہٰذَا بَلَدًا اٰمِنًا وَّارۡزُقۡ اَہۡلَہٗ مِنَ الثَّمَرٰتِ مَنۡ اٰمَنَ مِنۡہُمۡ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِؕ

হে পরওয়ারদেগার! এ স্থানকে তুমি শান্তি দান কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও কিয়ামতে বিশ্বাস করে, তাদেরকে ফলের দ্বারা রিযিক দান কর। ( আল বাকারা - 2:126 )


০২। দোয়া কবুলের জন্যঃ 

 رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّاؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ

 হে পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। ( আল বাকারা - 2:127)

কুরআনের দোয়া (সুরাহ আল ইমরান) Quranic Dua- Surah Al Imran (Vl-02)


Quranic Dua- Surah Al Imran
Quranic Dua- Surah Al Imran V-2


০১ হেদায়াতের দোয়াঃ

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

হে আমাদের প্রতিপালক! সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সকল প্রকার সংশয় ও বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত রেখো। তোমার রহমতের ছায়ায় আমাদের রেখো। নিশ্চয়ই তুমি সব কিছুর দাতা (ইমরান 3:8)

 

০২ কুরআনের দোয়াঃ

رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّـهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ

হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি মানবজাতিকে একদিন একইস্থানে সমবেত করবে,এতে কোনো সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। (ইমরান 3:9)

ইসলামের দৃষ্টিতে রক্তদান

ইসলামের দৃষ্টিতে রক্তদান
ইসলামের দৃষ্টিতে রক্তদান 

পবিত্র কুরআনের সুরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন। যে কোনো একজন ব্যক্তির জীবন রক্ষা করলো সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে রক্ষা করলো।  

وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحْيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعًۭا

মানুষের জীবন ও দেহের সুরক্ষায় রক্ত অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু মানুষে মানুষে অনেক তফাৎ! কেউ রক্ত দেয়; আবার কেউ রক্ত নেয়। কেউ কেউ তো এমনও আছে, যারা রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে নিষ্ঠুর জিঘাংসায় লিপ্ত হয়।

খুন-পিয়াসী খুনিয়াহয়ে ওঠে। মানবতার গায়ে এঁকে দেয় কলঙ্ক-চিহ্ন। কিন্তু এ রক্তই অনেকে  ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুমূর্ষু রোগীর জন্য আনন্দচিত্তে ও অকাতরে বিলিয়ে দেয়। শুধু সওয়াব-পুণ্যের আশায়; আর একটুখানি হাসির ঝিলিক দেখতে।

ইসলামে রক্তদানের নিয়ম

রক্ত সাধারণত শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নাপাক হিসেবে সাব্যস্ত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় (প্রয়োজন ও কোনো কারণ ছাড়া) একজনের রক্ত অন্যের শরীরে স্থানান্তর করা হারাম। রক্ত গ্রহণের বিকল্প নেই, এমন অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

এক. যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তির জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত দেওয়া ছাড়া বাঁচানোর কোনো পন্থা থাকে না, তখন রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এ ক্ষেত্রে ইসলাম রক্তদানে উৎসাহ দিয়েছে।

দুই. রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা নেই, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়; এমন অবস্থায় রক্ত দেওয়া আবশ্যিক জায়েজ।

তিন. যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে; তখন অযথা রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

চার. যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না, বরং শুধু শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্য থাকে; সে অবস্থায় ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক রক্তদান জায়েজ নয়।

রক্ত ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান

রক্ত বিক্রি জায়েজ নেই। কিন্তু যে শর্তের ভিত্তিতে প্রথম দৃষ্টান্তে রক্ত দেওয়া জায়েজ সাব্যস্ত হয়েছে, ওই অবস্থায় যদি কাক্সিক্ষত রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া না যায়, তখন তার জন্য মূল্যে দিয়ে রক্ত ক্রয় করা জায়েজ। তবে যে রক্ত দেবে তার জন্য রক্তের মূল্য নেওয়া জায়েজ নেই। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ-: ২, পৃষ্ঠা: ৩৮)

অমুসলিমের রক্ত গ্রহণের বিধান

অমুসলিমের রক্ত মুসলিমের শরীরে স্থানান্তর জায়েজ। মুসলিম আর অমুসলিমের রক্তে কোনো প্রভেদ নেই। কিন্তু শরিয়তসিদ্ধ কথা হলো, কাফের-ফাসেকের স্বভাবে মন্দ ও নিন্দনীয় প্রভাব রয়েছে। কারণ তাদের নাপাক ও হারাম খাদ্য গ্রহণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতে করে খাবারের প্রভাব রক্ত-মাংসে পড়ে। তাই সে ক্ষেত্রে অমুসলিমের মন্দ স্বভাব-চরিত্রের প্রভাব মুসলিমের স্বভাব-চরিত্রে রক্তের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। (এজন্য শিশুর জন্য পাপাচারী নারীর দুধ পান করা মাকরুহ করা হয়েছে।) সুতরাং এসব ক্ষতির দিকে লক্ষ করে, অমুসলিমের রক্ত নেওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা উচিত। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ-: ২, পৃষ্ঠা: ৪০)

স্বামী-স্ত্রীর রক্তদানের বিধান

স্বামীর রক্ত স্ত্রীর শরীরে, স্ত্রীর রক্ত স্বামীর শরীরে প্রবেশ করানো জায়েজ। তারা একে-অপরের জন্য অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের মতো। তারা একে-অন্যকে রক্ত দিলে বিয়ের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। বৈবাহিক সম্পর্কও যথারীতি বহাল থাকে। কেননা ইসলামি শরিয়তের সূত্র মতে, রক্ত নেওয়া ও দেওয়ার মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মাহরামের সম্পর্ক তৈরি হয় না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ-: ২, পৃষ্ঠা: ৪০)


রক্তদাতা হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে এই লিংকে দেখুন 

রক্ত দরকার হলে এই লিংকে দেখুন