Showing posts with label রামাদ্বান. Show all posts
Showing posts with label রামাদ্বান. Show all posts

খতমে তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত (১-৩০ পারা পর্যন্ত)

খতমে তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত

খতমে তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত

ইসলামী ফাউন্ডেশন এর নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে সাধারণত খতবে তারাবীতে প্রথম ৬ দিন ১.৫ পারা করে তিলাওয়াত করা হয়। এবং বাকি দিন গুলোতে ১ পারা করে তিলাওয়াত করা হয়। এতে সকল মসজিদে একই দিনে অর্থাৎ ২৬ রমজানের দিবাগত রাতে বা ২৭ তারাবীতে কুরআন খতম শেষ হয়। কোন মানুষ যদি ঢাকাতে ১০ দিন তারাবী পড়ার পর তার নিজ জেলায় চলে যায় তাহলে তার খতমে তারাবীর তিলাওয়াত শুনতে কোন পারা বাদ পড়বেনা। কারন সারা দেশে একই পারা তিলাওয়াত হচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তিলাওয়াত কৃত পারা থেকে সংক্ষেপে কিছুক্ষণ আলোচনা করা হয়। আপনি চাইলে এখান থেকে সরাসরি উল্লেখযোগ্য আয়াত সমূহ থেকে আলোচনা করতে পারবেন অথবা পিডিএফ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করেও আলোচনা করতে পারবেন। আবার কেউ এমনিতেই রমজান ছাড়াও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অধ্যয়ন করলে ৩০ পারা কুরআন সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

১। ১ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২। ২য় তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৩। ৩য় তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৪। ৪র্থ তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৫। ৫ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৬। ৬ষ্ঠ তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৭। ৭ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৮। ৮ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

৯। ৯ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১০। ১০ম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১১। ১১তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১২। ১২তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড 

১৩। ১৩তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড 

১৪। ১৪তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১৫। ১৫তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১৬। ১৬তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১৭। ১৭তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১৮। ১৮তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

১৯। ১৯তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২০। ২০তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২১। ২১তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২২। ২২তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড  

২৩। ২৩তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড  

২৪। ২৪তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২৫। ২৫তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২৬। ২৬তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

২৭। ২৭তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড 


সরাসরি যোগাযোগ বা পিডিএফ ফাইল পেতে হোয়াটসএপ চ্যানেলটি ফলো করুন। 

WhatsApp Channel

রমজানের শেষ দশক ও লাইলাতুল ক্বদরের আমল

রমজানের শেষ দশক ও লাইলাতুল ক্বদরের আমল
রমজানের শেষ দশক ও লাইলাতুল ক্বদরের আমল

 আরবি ১২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে মহিমান্বিত ও বরকত পূর্ণ মাস হলো রমজান মাস। মহান আল্লাহ এই মাসেই সাওম ফরজ করেছেন এবং এ মাসেই পবিত্র কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন। আর পবিত্র কুরআন নাজিলের কারণেই মাসের মর্যাদা সকল মাসের তুলনায় বেশি। কোরআনের সম্মানে এ মাসে সাওম ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَمَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَلَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَلِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। (সূরাহ বাক্বারা ২:১৮৫)

লাইলাতুল কদর এর গুরুত্ব ও আমল

এ পবিত্র মাসের মধ্যে রয়েছে খুবই ফজিলতপূর্ণ রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর। গোটা বছরের মধ্যে সর্বোত্তম রাত। আবু বক্কর ওয়াররাক বলেন, এ রাত্রিকে লাইলাতুল কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য ছিল না, সে রাত্রিতে তাওবা ইস্তেগফার ও ইবাদতের মাধ্যমে সম্মানিত হয়ে যায়। ক্বদরের আরেক অর্থ তাকদির। এ রাত্রিতে পরবর্তী এক বছরের ভাগ্যলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাগণের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের মৃত্যু, রিজিক, বৃষ্টি ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাগণকে লিখে দেয়া হয়। এমনকি এ বছরকে হজ করবে তাও লিখে দেয়া হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর উক্তি অনুযায়ী চারজন ফেরেশতাকে এসব কাজ দেয়া হয়। তারা হলেন ইসরাফিল মিকাইল মালাকুল মাউত (আজ্রাইল) ও জিব্রাইল। (কুরতুবী)

সূরা ক্বদর

এই রাতের মর্যাদা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা একটি স্বতন্ত্র সূরা নাযিল করেন যার নাম সূরাতুল কদর,

‏إِنَّآ أَنزَلْنَهُ فِى لَيْلَةِ ٱلْقَدْر. ‏وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ .‏لَيْلَةُ ٱلْقَدْرِ خَيْرٌۭ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍۢ .‏تَنَزَّلُ ٱلْمَلَٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍۢ .‏سَلَمٌ هِىَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ ٱلْفَجْرِ

নিঃসন্দেহ আমরা এটি অবতারণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল ক্বদর কি? লাইলাতুল ক্বদর হচ্ছে হাজার মাসের চাইতেও শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরাহ ক্বদর ৯৭:১-৫)

লাইলাতুল কদরের ফজিলত সম্পর্কে দূররুল মানসুর গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, এই মোবারক রাত শুধুমাত্র উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য বিশেষায়িত করা হয়েছে। ইবনে আবি হাতেম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার বনি ইসরাইলের জনৈক মুজাহিদের সম্পর্কে আলোচনা করলেন, তিনি এক হাজার মাস পর্যন্ত অবিরাম আল্লাহর পথে দ্বীনের কাজে মশগুল ছিলেন অর্থাৎ জিহাদে লিপ্ত ছিলেন। এতে সাহাবীগণ খুব বিস্মিত হলেন।  তখন রসূল (সাঃ) বলেন, "বনী ইসরাঈলের ওই উম্মতের চেয়ে তোমাদের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে যাতে তোমরা এবাদত করলে বেশি সাওয়াব পাবে। আর তা হলো লাইলাতুল কদর।" (তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন)

এছাড়া সূরা দুখানে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,

اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ فِیۡہَا یُفۡرَقُ کُلُّ اَمۡرٍ حَکِیۡمٍ ۙ اَمۡرًا مِّنۡ عِنۡدِنَا ؕ  اِنَّا کُنَّا مُرۡسِلِیۡنَ ۚ

আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। (সূরা দুখান ৪৪:৩-৫)

হাদিসে বর্ণিত আছে,

عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের মধ্যে কিছু লোককে লাইলাতুল ক্বদর স্বপ্নে দেখানো হয় শেষের সাত রাত্রে। তারপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমি মনে করি তোমাদের স্বপ্ন শেষের সাতদিনের ব্যাপারে পরস্পর মুয়াফিক (সামঞ্জস্যপূর্ণ) হয়েছে। অতঃপর যে উহাকে (লাইলাতুল ক্বদর) তালাশ করে, সে যেন শেষের সাত দিনে উহাকে তালাশ করে। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ৬৯০, বুখারী ২০১৫, মুসলিম ১১৬৫)

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَأَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ - رضى الله عنه - وَكَانَ لِي صَدِيقًا فَقُلْتُ أَلاَ تَخْرُجُ بِنَا إِلَى النَّخْلِ فَخَرَجَ وَعَلَيْهِ خَمِيصَةٌ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ نَعَمْ اعْتَكَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الْوُسْطَى مِنْ رَمَضَانَ فَخَرَجْنَا صَبِيحَةَ عِشْرِينَ فَخَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ إِنِّي أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ وَإِنِّي نَسِيتُهَا - أَوْ أُنْسِيتُهَا - فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ كُلِّ وِتْرٍ وَإِنِّي أُرِيتُ أَنِّي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلْيَرْجِعْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْنَا وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً قَالَ وَجَاءَتْ سَحَابَةٌ فَمُطِرْنَا حَتَّى سَالَ سَقْفُ الْمَسْجِدِ وَكَانَ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي الْمَاءِ وَالطِّينِ قَالَ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي جَبْهَتِهِ ‏.

আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমরা পরস্পর ক্বদরের রাত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এরপর আমি আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ)-এর নিকট এলাম এবং তিনি ছিলেন আমার বন্ধু। আমি তাকে বললাম, আপনি কি আমাদের সাথে খেজুরের বাগানে যাবেন না? তিনি একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় বের হলেন। আমি তাকে বললাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে লায়লাতুল ক্বদ্র সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা রমাযান মাসের মাঝের দশকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ইতিকাফ করলাম। আমরা ২১তম দিন ভোরে (ইতিকাফ থেকে) বের হলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে বললেন, আমাকে স্বপ্নযোগে ক্বদরের রাত দেখানো হয়েছিল, কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি অথবা আমাকে ভুলানো হয়েছে। তোমরা শেষ দশ দিনের প্রতিটি বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ কর। আমি আরও দেখেছি যে, আমি কাদা ও পানির মধ্যে সাজ্দাহ্ করছি। অতএব যে ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ইতিকাফ করেছে, সে যেন পুনরায় তার ইতিকাফে ফিরে যায়। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমরা (ইতিকাফের অবস্থায়) ফিরে গেলাম। আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখতে পাইনি। ইতিমধ্যে একখণ্ড মেঘ এলো এবং আমাদের উপর বৃষ্টি হল, এমন কি মাসজিদের ছাদ হতে পানি প্রবাহিত হল। মাসজিদের ছাদ খেজুর ডাটার ছাউনিযুক্ত ছিল। ফজরের সলাত আদায় করা হল এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাদা ও পানির মধ্যে সাজ্‌দাহ দিতে দেখলাম, এমনকি কি আমি তাঁর কপালে কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬২, ই.ফা. ২৬৩৯, ই.সে. ২৬৩৮)

إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ - فَقَالَ أُبَىٌّ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ - يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي - وَوَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَىُّ لَيْلَةٍ هِيَ ‏.‏ هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ شُعَاعَ لَهَا ‏.

আবদুল্লাহ ইবনু মাস'উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে সলাত আদায় করবে সে ক্বদরের রাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনু ক্বা'ব বললেনঃ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই সে মহান আল্লাহর ক্বসম! নিশ্চিতভাবে লায়লাতুল ক্বদর রমাযান মাসে। এ কথা বলতে তিনি ক্বসম করলেন কিন্তু ইন-শা-আল্লাহ বললেন না (অর্থাৎ তিনি নিশ্চিতভাবেই বুঝলেন যে, রমাযান মাসের মধ্যেই লায়লাতুল ক্বদর আছে) এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বললেনঃ আল্লাহর কসম! কোন্‌ রাতটি ক্বদ্‌রের রাত তাও আমি জানি। সেটি হল এ রাত, যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কে সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। সাতাশ রমাযান তারিখের সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ঐ রাতের আলামাত বা লক্ষন হল-সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোন তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭০, ই.ফা. ১৬৫৫, ই.সে. ১৬৬২)

عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ - وَإِنَّمَا شَكَّ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَرْفِ - هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَحَدَّثَنِي بِهَا صَاحِبٌ لِي عَنْهُ ‏.

উবাই ইবনু কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি লাইলাতুল ক্বদ্‌র বা ক্বদ্‌রের রাত সম্পর্কে বলেনঃ আল্লাহর ক্বসম! আমি রাতটি সম্পর্কে জানি এবং এ ব্যাপারে আমি যা জানি তা হচ্ছে, যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন সেটিই অর্থাৎ সাতাশ তারিখের রাতই ক্বদ্‌রের রাত। হাদীসটির ঐ অংশ সম্পর্কে যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। শুবাহ্ সন্দেহ পোষন করেছেন। বর্ণনাকারী শুবাহ্ বলেছেনঃ আমার এক বন্ধু (আবদাহ্ ইবনু আবূ লুবাবাহ্ ) তার থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭১, ই.ফা. ১৬৫৬, ই.সে. ১৬৬৩)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রমযানের সিয়াম ব্রত পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৮, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭)

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَشْرَ الأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ يَلْتَمِسُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ قَبْلَ أَنْ تُبَانَ لَهُ فَلَمَّا انْقَضَيْنَ أَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَقُوِّضَ ثُمَّ أُبِينَتْ لَهُ أَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَأَمَرَ بِالْبِنَاءِ فَأُعِيدَ ثُمَّ خَرَجَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهَا كَانَتْ أُبِينَتْ لِي لَيْلَةُ الْقَدْرِ وَإِنِّي خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِهَا فَجَاءَ رَجُلاَنِ يَحْتَقَّانِ مَعَهُمَا الشَّيْطَانُ فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ الْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا ‏.‏ قَالَ أَجَلْ ‏.‏ نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكُمْ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ قَالَ إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَهْىَ التَّاسِعَةُ فَإِذَا مَضَتْ ثَلاَثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ فَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ .‏ وَقَالَ ابْنُ خَلاَّدٍ مَكَانَ يَحْتَقَّانِ يَخْتَصِمَانِ ‏.

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বদরের রাত অন্বেষণের উদ্দেশ্যে তা তাঁর কাছে সুস্পষ্ট হবার পূর্বে রমাযানের মধ্যেই দশদিন ইতিকাফ করলেন। দশদিন অতিবাহিত হবার পর তিনি তাঁবু তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। অতএব তা গুটিয়ে ফেলা হল। অতঃপর তিনি জানতে পারলেন যে, তা শেষ দশ দিনের মধ্যে আছে। তাই তিনি পুনরায় তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন। তা খাঁটানো হল। এরপর তিনি লোকদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে লোক সকল! আমাকে ক্বদ্রের রাত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমি তোমাদের তা জানানোর জন্য বের হয়ে এলাম। কিন্তু দুই ব্যক্তি পরস্পর ঝগড়া করতে করতে উপস্থিত হল এবং তাদের সাথে ছিল শাইত্বান। তাই আমি তা ভুলে গেছি। অতএব তোমরা রমাযান মাসের শেষ দশ দিনে অন্বেষণ কর। তোমরা তা ৯ম, ৭ম ও ৫ম রাতে অন্বেষণ কর। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবূ সাঈদ! আপনি সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের তুলনায় অধিক জ্ঞানী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরাই এ বিষয়ে তোমাদের চেয়ে অধিক হাক্বদার। আমি বললাম ৯ম, ৭ম, ৫ম সংখ্যাগুলো কী? তিনি বললেন, যখন ২১তম রাত অতিবাহিত হয়ে যায় এবং ২২তম রাত শুরু হয়-তখন তা হচ্ছে ৯ম তারিখ, ২৩তম রাত অতিক্রান্ত হবার পরবর্তী রাত হচ্ছে ৭ম তারিখ এবং ২৫তম রাত অতিবাহিত হবার পরের দিনটি হচ্ছে ৫ম তারিখ।

ইবনু খাল্লাদের বর্ণনায়……. (আরবি)-এর শব্দের স্থলে (আরবি) শব্দের উল্লেখ আছে (অর্থ একই, অর্থাৎ তারা ঝগড়া করে) (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬৪, ই.ফা. ২৬৪১, ই.সে. ২৬৪০)

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏"‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদ্‌রের অনুসন্ধান কর। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৭

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ عَلِمْتُ أَىُّ لَيْلَةٍ لَيْلَةُ الْقَدْرِ مَا أَقُولُ فِيهَا قَالَ ‏ "‏ قُولِي اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল ক্বদর জানতে পারি তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃতুমি বল হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৫১৩

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখন রমযানের শেষ দশক আসত তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশী বেশী ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২৪

قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْتَهِدُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِي غَيْرِهِ ‏.

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমাযানের শেষ দশকে অধিক পরিমাণে এমনভাবে সচেষ্ট থাকতেন যা অন্য সময়ে থাকতেন না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৭৮, ই.ফা ২৬৫৫, ই.সে. ২৬৫৪)

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ‏.‏ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي رَمَضَانَ الْعَشْرَ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ، فَإِذَا كَانَ حِينَ يُمْسِي مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً تَمْضِي، وَيَسْتَقْبِلُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، رَجَعَ إِلَى مَسْكَنِهِ وَرَجَعَ مَنْ كَانَ يُجَاوِرُ مَعَهُ‏.‏ وَأَنَّهُ أَقَامَ فِي شَهْرٍ جَاوَرَ فِيهِ اللَّيْلَةَ الَّتِي كَانَ يَرْجِعُ فِيهَا، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَأَمَرَهُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ كُنْتُ أُجَاوِرُ هَذِهِ الْعَشْرَ، ثُمَّ قَدْ بَدَا لِي أَنْ أُجَاوِرَ هَذِهِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ، فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَثْبُتْ فِي مُعْتَكَفِهِ، وَقَدْ أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا فَابْتَغُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَابْتَغُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ، وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏"‏‏.‏ فَاسْتَهَلَّتِ السَّمَاءُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَأَمْطَرَتْ، فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فِي مُصَلَّى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، فَبَصُرَتْ عَيْنِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَظَرْتُ إِلَيْهِ انْصَرَفَ مِنَ الصُّبْحِ، وَوَجْهُهُ مُمْتَلِئٌ طِينًا وَمَاءً‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করেন। বিশ তারিখ অতীত হওয়ার সন্ধ্যায় এবং একুশ তারিখের শুরুতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ইতিকাফ করেছিলেন সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে প্রস্থান করেন এবং তিনি যে মাসে ইতিকাফ করেন ঐ মাসের যে রাতে ফিরে যান সে রাতে লোকদের সামনে ভাষণ দেন। আর তাতে মাশাআল্লাহ, তাদেরকে বহু নির্দেশ দান করেন, অতঃপর বলেন যে, আমি এই দশকে ইতিকাফ করেছিলাম। এরপর আমি সিদ্ধান্ত করেছি যে, শেষ দশকে ইতিকাফ করব। যে আমার সংগে ইতিকাফ করেছিল সে যেন তার ইতিকাফস্থলে থেকে যায়। আমাকে সে রাত দেখানো হয়েছিল, পরে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন): শেষ দশকে ঐ রাতের তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা তালাশ কর। আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, ঐ রাতে আমি কাদা-পানিতে সিজদা করছি। ঐ রাতে আকাশে প্রচুর মেঘের সঞ্চার হয় এবং বৃষ্টি হয়। মসজিদে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সালাতের স্থানেও বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। এটা ছিল একুশ তারিখের রাত। যখন তিনি ফজরের সালাত শেষে ফিরে বসেন তখন আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই যে, তাঁর মুখমন্ডল কাদা-পানি মাখা। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৮

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي رَمَضَانَ الْعَشْرَ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ فَلْيَثْبُتْ فِي مُعْتَكَفِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ وَجَبِينُهُ مُمْتَلِئًا طِينًا وَمَاءً ‏.

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাযান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করতেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, সে যেন তার ইতিকাফের স্থানে অবস্থান করে। তিনি আরো বলেন, তাঁর কপাল মুবারক কাদা ও পানিতে সিক্ত ছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬০, ই.ফা. ২৬৩৭, ই.সে. ২৬৩৬)

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ‏.‏ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي رَمَضَانَ الْعَشْرَ الَّتِي فِي وَسَطِ الشَّهْرِ، فَإِذَا كَانَ حِينَ يُمْسِي مِنْ عِشْرِينَ لَيْلَةً تَمْضِي، وَيَسْتَقْبِلُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، رَجَعَ إِلَى مَسْكَنِهِ وَرَجَعَ مَنْ كَانَ يُجَاوِرُ مَعَهُ‏.‏ وَأَنَّهُ أَقَامَ فِي شَهْرٍ جَاوَرَ فِيهِ اللَّيْلَةَ الَّتِي كَانَ يَرْجِعُ فِيهَا، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَأَمَرَهُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ كُنْتُ أُجَاوِرُ هَذِهِ الْعَشْرَ، ثُمَّ قَدْ بَدَا لِي أَنْ أُجَاوِرَ هَذِهِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ، فَمَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَثْبُتْ فِي مُعْتَكَفِهِ، وَقَدْ أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا فَابْتَغُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَابْتَغُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ، وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ‏"‏‏.‏ فَاسْتَهَلَّتِ السَّمَاءُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَأَمْطَرَتْ، فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فِي مُصَلَّى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، فَبَصُرَتْ عَيْنِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَظَرْتُ إِلَيْهِ انْصَرَفَ مِنَ الصُّبْحِ، وَوَجْهُهُ مُمْتَلِئٌ طِينًا وَمَاءً‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করেন। বিশ তারিখ অতীত হওয়ার সন্ধ্যায় এবং একুশ তারিখের শুরুতে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ইতিকাফ করেছিলেন সকলেই নিজ নিজ বাড়িতে প্রস্থান করেন এবং তিনি যে মাসে ইতিকাফ করেন ঐ মাসের যে রাতে ফিরে যান সে রাতে লোকদের সামনে ভাষণ দেন। আর তাতে মাশাআল্লাহ, তাদেরকে বহু নির্দেশ দান করেন, অতঃপর বলেন যে, আমি এই দশকে ইতিকাফ করেছিলাম। এরপর আমি সিদ্ধান্ত করেছি যে, শেষ দশকে ইতিকাফ করব। যে আমার সংগে ইতিকাফ করেছিল সে যেন তার ইতিকাফস্থলে থেকে যায়। আমাকে সে রাত দেখানো হয়েছিল, পরে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন): শেষ দশকে ঐ রাতের তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা তালাশ কর। আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, ঐ রাতে আমি কাদা-পানিতে সিজদা করছি। ঐ রাতে আকাশে প্রচুর মেঘের সঞ্চার হয় এবং বৃষ্টি হয়। মসজিদে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সালাতের স্থানেও বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। এটা ছিল একুশ তারিখের রাত। যখন তিনি ফজরের সালাত শেষে ফিরে বসেন তখন আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই যে, তাঁর মুখমন্ডল কাদা-পানি মাখা। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৮

সমাপনী

পরিশেষে বলা যায় যে, লাইলাতুল কদর উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ। যে রাত্রি ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ সৌভাগ্যবান ও সম্মানিত হয়ে থাকে। এমনকি এ রাত্রে বান্দা তার আমলের পাল্লাকে ভারী করার সুযোগ পায়। সুতরাং এ রাতে আমাদের উচিত নফল সালাত, কুরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠতাসবিহ তাহলিল, আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা, নিজের গুনাহের কথা চিন্তা করে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি ও তাওবা ইস্তেগফার ইত্যাদি ইবাদত করার মাধ্যমে রমজানের শেষ দশক বিশেষ করে লাইলাতুল কদর অতিবাহিত করা। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে লাইলাতুল কদরের মতো একটি মহিমান্বিত রাত্রিতে ইবাদতে কাটানোর তৌফিক দান করুন।

পিডিএফ ডাউনলোড করুন  

২৭তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

পবিত্র মাহে রমজানের ২৭ তম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সূরা নাবা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ৩০ তম  পারার ১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত

১। জমিনকে বিছানা এবং পর্বতকে পেরেক হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে

اَلَمۡ نَجۡعَلِ الۡاَرۡضَ مِہٰدًا ۙ وَّالۡجِبَالَ اَوۡتَادًا

আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক? (সূরা আন নাবা ৭৮:৬-৭)

২। অবিশ্বাসীরা আফসোস করবে

اِنَّاۤ اَنۡذَرۡنٰکُمۡ عَذَابًا قَرِیۡبًا ۬ۚۖ  یَّوۡمَ یَنۡظُرُ الۡمَرۡءُ مَا قَدَّمَتۡ یَدٰہُ وَیَقُوۡلُ الۡکٰفِرُ یٰلَیۡتَنِیۡ کُنۡتُ تُرٰبًا

আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। (সূরা আন নাবা ৭৮:৪০)

৩। সীমালংঘন কারীর ঠিকানা জাহান্নাম

فَاَمَّا مَنۡ طَغٰی ۙ وَاٰثَرَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ۙ فَاِنَّ الۡجَحِیۡمَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی

তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (সূরা আন নাযিয়াত ৭৯:৩৭-৩৯)

৪। মুত্তাক্বীর ঠিকানা জান্নাত

وَاَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَنَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ۙ فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত। (সূরা আন নাযিয়াত ৭৯:৪০-৪১)

৫। খাদ্যের প্রতি তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ

فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ اِلٰی طَعَامِہٖۤ

মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, (সূরা আবাসা ৮০:২৪)

নোটঃ ২৫-৩১ আয়াত পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদনের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।

৬। কেয়ামতের  লক্ষণ

اِذَا الشَّمۡسُ کُوِّرَتۡ

যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে, (সূরা আত তাকবীর ৮১:১)

৭। জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞাস করা হবে কেন তাকে হত্যা করা হল

وَاِذَا الۡمَوۡءٗدَۃُ سُئِلَتۡ ۪ۙ بِاَیِّ ذَنۡۢبٍ قُتِلَتۡ ۚ

যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল? (সূরা আত তাকবীর ৮১:৮-৯)

৮। আমাদের আমলনামা লিখার কাজে দুজন ফেরেস্তা নিয়োজিত

وَاِنَّ عَلَیۡکُمۡ لَحٰفِظِیۡنَ ۙ کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ۙ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে যা তোমরা কর। (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১০-১২)

৯। জান্নাতের অধিবাসী

اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ ۚ

সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে। (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১৩)

১০। জাহান্নামের অধিবাসী

وَاِنَّ الۡفُجَّارَ لَفِیۡ جَحِیۡمٍ ۚۖ

এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে; (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১৪)

১১। মাপে কম দেয়া যাবেনা

وَیۡلٌ لِّلۡمُطَفِّفِیۡنَ ۙ

যারা মাপে কম করে, তাদের জন্যে দুর্ভোগ, (সূরা আল মুতাফফিফীন ৮৩:১)

১২। অপরাধীরা বিশ্বাসীদের উপহাস করে

اِنَّ الَّذِیۡنَ اَجۡرَمُوۡا کَانُوۡا مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یَضۡحَکُوۡنَ ۫ۖ

যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত। (সূরা আল মুতাফফিফীন ৮৩:২৯)

নোটঃ ৩০-৩২ আয়াতে এসেছে, অবিশ্বাসীরা যখন বিশ্বাসীদের পাশ দিয়ে গমন করতো তখন উপহাস করে একে অন্যকে চোখ টিপে ইশারা করতো, এবং অবিশ্বাসীরা নিজেদের পরিবার পরিজনের কাছে গেলে বিশ্বাসীদের কথা বলে উপহাস করতো আর বিশ্বাসীদের দেখে বলতো, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।

১৩। যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে

فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِیَمِیۡنِہٖ ۙ فَسَوۡفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیۡرًا ۙ

যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে। (সূরা আল ইনশিকাক ৮৪:৭-৮)

১৪। যাদের আমল নামা বাম হাতে দেয়া হবে

وَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ وَرَآءَ ظَہۡرِہٖ ۙ فَسَوۡفَ یَدۡعُوۡا ثُبُوۡرًا ۙ

এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যুকে আহবান করবে, (সূরা আল ইনশিকাক ৮৪:১০-১১)

১৫। জান্নাতিদের পুরষ্কার

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕؑ  ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡکَبِیۡرُ ؕ

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। (সূরা আল বুরুজ ৮৫:১১)

১৬। আল্লাহর পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন

اِنَّ بَطۡشَ رَبِّکَ لَشَدِیۡدٌ ؕ

নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন। (সূরা আল বুরুজ ৮৫:১২)

১৭। অবিশ্বাসীদের অবকাশ দেয়া হয়

فَمَہِّلِ الۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡہِلۡہُمۡ رُوَیۡدًا

অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে। (সূরা আল বুরুজ ৮৬:১৭)

১৮। পরকালের জীবনই উত্তম

وَالۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی ؕ

অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। (সূরা আ'লা ৮৭:১৭)

১৯। উষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ

اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ ٝ

তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? (সূরা আল গাশিয়াহ ৮৮:১৭)

নোট ১৮-২১ আয়াতে আকাশের দিকে তাকিয়ে, পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে এবং সমতল পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ।

২০। মানুষকে শ্রমনির্ভর হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে

لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ

নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। (সূরা আল বালাদ ৯০:৮)

২১। এতিম এবং অসহায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে

فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ

সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। (সুরা আদ দোহা ৯)

২২। কষ্টের সাথে স্বস্তি

اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا ؕ

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। (সূরা আল ইনশিরাহ ৯৩:৬)

২৩। মানুষকে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে

لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ ۫

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। (সূরা আত তীন ৯৫:৪)

২৪‌। মানুষকে কলমের দ্বারা শিক্ষা দেয়া হয়েছে

الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, (সূরা আল আলাক ৯৬:৪)

২৫। লাইলাতুল ক্বদর হল হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম

لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ  خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕؔ

শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (সূরা আল কদর ৯৭:৩)

২৬। সৃষ্টির সেরা

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ  اُولٰٓئِکَ ہُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ ؕ

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (সূরা আল বাইয়্যিনাহ ৯৮:৭)

২৭। অণু পরিমাণ ভালো বা খারাপ কাজ করলে সেটাও হাজির করা হবে

 

فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ ؕ وَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ

অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে, এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা আল যিলযাল ৯৯:৭-৮)

২৮। মানুষ পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لِرَبِّہٖ لَکَنُوۡدٌ ۚ

নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। (সূরা আদিয়াত ১০০:৬)

২৯। যাদের পাল্লা ভারী হবে

فَاَمَّا مَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُہٗ ۙ فَہُوَ فِیۡ عِیۡشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ؕ

অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সুখীজীবন যাপন করবে। (সূরা আল ক্বরিয়াহ ১০১:৬-৭)

৩০। নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে

ثُمَّ لَتُسۡـَٔلُنَّ یَوۡمَئِذٍ عَنِ النَّعِیۡمِ

এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা আত তাকাসুর ১০২:৮)

পিডিএফ ডাউনলোড লিংক

পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।

WhatsApp গ্রুপ লিংক