২৭তম তারাবীতে তিলাওয়াতকৃত উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত | পিডিএফ ডাউনলোড

পবিত্র মাহে রমজানের ২৭ তম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সূরা নাবা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ৩০ তম  পারার ১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত

১। জমিনকে বিছানা এবং পর্বতকে পেরেক হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে

اَلَمۡ نَجۡعَلِ الۡاَرۡضَ مِہٰدًا ۙ وَّالۡجِبَالَ اَوۡتَادًا

আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক? (সূরা আন নাবা ৭৮:৬-৭)

২। অবিশ্বাসীরা আফসোস করবে

اِنَّاۤ اَنۡذَرۡنٰکُمۡ عَذَابًا قَرِیۡبًا ۬ۚۖ  یَّوۡمَ یَنۡظُرُ الۡمَرۡءُ مَا قَدَّمَتۡ یَدٰہُ وَیَقُوۡلُ الۡکٰفِرُ یٰلَیۡتَنِیۡ کُنۡتُ تُرٰبًا

আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। (সূরা আন নাবা ৭৮:৪০)

৩। সীমালংঘন কারীর ঠিকানা জাহান্নাম

فَاَمَّا مَنۡ طَغٰی ۙ وَاٰثَرَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا ۙ فَاِنَّ الۡجَحِیۡمَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی

তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (সূরা আন নাযিয়াত ৭৯:৩৭-৩৯)

৪। মুত্তাক্বীর ঠিকানা জান্নাত

وَاَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّہٖ وَنَہَی النَّفۡسَ عَنِ الۡہَوٰی ۙ فَاِنَّ الۡجَنَّۃَ ہِیَ الۡمَاۡوٰی

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত। (সূরা আন নাযিয়াত ৭৯:৪০-৪১)

৫। খাদ্যের প্রতি তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ

فَلۡیَنۡظُرِ الۡاِنۡسَانُ اِلٰی طَعَامِہٖۤ

মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, (সূরা আবাসা ৮০:২৪)

নোটঃ ২৫-৩১ আয়াত পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদনের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।

৬। কেয়ামতের  লক্ষণ

اِذَا الشَّمۡسُ کُوِّرَتۡ

যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে, (সূরা আত তাকবীর ৮১:১)

৭। জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞাস করা হবে কেন তাকে হত্যা করা হল

وَاِذَا الۡمَوۡءٗدَۃُ سُئِلَتۡ ۪ۙ بِاَیِّ ذَنۡۢبٍ قُتِلَتۡ ۚ

যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল? (সূরা আত তাকবীর ৮১:৮-৯)

৮। আমাদের আমলনামা লিখার কাজে দুজন ফেরেস্তা নিয়োজিত

وَاِنَّ عَلَیۡکُمۡ لَحٰفِظِیۡنَ ۙ کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ۙ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে যা তোমরা কর। (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১০-১২)

৯। জান্নাতের অধিবাসী

اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ ۚ

সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে। (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১৩)

১০। জাহান্নামের অধিবাসী

وَاِنَّ الۡفُجَّارَ لَفِیۡ جَحِیۡمٍ ۚۖ

এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে; (সূরা আল ইনফিতার ৮২:১৪)

১১। মাপে কম দেয়া যাবেনা

وَیۡلٌ لِّلۡمُطَفِّفِیۡنَ ۙ

যারা মাপে কম করে, তাদের জন্যে দুর্ভোগ, (সূরা আল মুতাফফিফীন ৮৩:১)

১২। অপরাধীরা বিশ্বাসীদের উপহাস করে

اِنَّ الَّذِیۡنَ اَجۡرَمُوۡا کَانُوۡا مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یَضۡحَکُوۡنَ ۫ۖ

যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত। (সূরা আল মুতাফফিফীন ৮৩:২৯)

নোটঃ ৩০-৩২ আয়াতে এসেছে, অবিশ্বাসীরা যখন বিশ্বাসীদের পাশ দিয়ে গমন করতো তখন উপহাস করে একে অন্যকে চোখ টিপে ইশারা করতো, এবং অবিশ্বাসীরা নিজেদের পরিবার পরিজনের কাছে গেলে বিশ্বাসীদের কথা বলে উপহাস করতো আর বিশ্বাসীদের দেখে বলতো, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।

১৩। যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে

فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِیَمِیۡنِہٖ ۙ فَسَوۡفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیۡرًا ۙ

যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে। (সূরা আল ইনশিকাক ৮৪:৭-৮)

১৪। যাদের আমল নামা বাম হাতে দেয়া হবে

وَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ وَرَآءَ ظَہۡرِہٖ ۙ فَسَوۡفَ یَدۡعُوۡا ثُبُوۡرًا ۙ

এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যুকে আহবান করবে, (সূরা আল ইনশিকাক ৮৪:১০-১১)

১৫। জান্নাতিদের পুরষ্কার

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕؑ  ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡکَبِیۡرُ ؕ

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। (সূরা আল বুরুজ ৮৫:১১)

১৬। আল্লাহর পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন

اِنَّ بَطۡشَ رَبِّکَ لَشَدِیۡدٌ ؕ

নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন। (সূরা আল বুরুজ ৮৫:১২)

১৭। অবিশ্বাসীদের অবকাশ দেয়া হয়

فَمَہِّلِ الۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡہِلۡہُمۡ رُوَیۡدًا

অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে। (সূরা আল বুরুজ ৮৬:১৭)

১৮। পরকালের জীবনই উত্তম

وَالۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی ؕ

অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। (সূরা আ'লা ৮৭:১৭)

১৯। উষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ

اَفَلَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَی الۡاِبِلِ کَیۡفَ خُلِقَتۡ ٝ

তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? (সূরা আল গাশিয়াহ ৮৮:১৭)

নোট ১৮-২১ আয়াতে আকাশের দিকে তাকিয়ে, পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে এবং সমতল পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে গবেষণার নির্দেশ।

২০। মানুষকে শ্রমনির্ভর হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে

لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡ کَبَدٍ ؕ

নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। (সূরা আল বালাদ ৯০:৮)

২১। এতিম এবং অসহায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে

فَاَمَّا الۡیَتِیۡمَ فَلَا تَقۡہَرۡ ؕ وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنۡہَرۡ ؕ

সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। (সুরা আদ দোহা ৯)

২২। কষ্টের সাথে স্বস্তি

اِنَّ مَعَ الۡعُسۡرِ یُسۡرًا ؕ

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। (সূরা আল ইনশিরাহ ৯৩:৬)

২৩। মানুষকে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে

لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ ۫

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। (সূরা আত তীন ৯৫:৪)

২৪‌। মানুষকে কলমের দ্বারা শিক্ষা দেয়া হয়েছে

الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, (সূরা আল আলাক ৯৬:৪)

২৫। লাইলাতুল ক্বদর হল হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম

لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ  خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ ؕؔ

শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (সূরা আল কদর ৯৭:৩)

২৬। সৃষ্টির সেরা

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ  اُولٰٓئِکَ ہُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ ؕ

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (সূরা আল বাইয়্যিনাহ ৯৮:৭)

২৭। অণু পরিমাণ ভালো বা খারাপ কাজ করলে সেটাও হাজির করা হবে

 

فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ ؕ وَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ

অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে, এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা আল যিলযাল ৯৯:৭-৮)

২৮। মানুষ পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لِرَبِّہٖ لَکَنُوۡدٌ ۚ

নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। (সূরা আদিয়াত ১০০:৬)

২৯। যাদের পাল্লা ভারী হবে

فَاَمَّا مَنۡ ثَقُلَتۡ مَوَازِیۡنُہٗ ۙ فَہُوَ فِیۡ عِیۡشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ؕ

অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সুখীজীবন যাপন করবে। (সূরা আল ক্বরিয়াহ ১০১:৬-৭)

৩০। নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে

ثُمَّ لَتُسۡـَٔلُنَّ یَوۡمَئِذٍ عَنِ النَّعِیۡمِ

এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা আত তাকাসুর ১০২:৮)

পিডিএফ ডাউনলোড লিংক

পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।

WhatsApp গ্রুপ লিংক