পবিত্র মাহে রমজানের
২৬ তম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সূরা মুলক এর প্রথম হতে সূরা আল মুরসালাতের শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ ২৯ তম পারার ১ম পৃষ্ঠা
থেকে শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত
সূরা মুলক
১। সবকিছুর
রাজত্ব আল্লাহর
تَبٰرَکَ الَّذِیۡ بِیَدِہِ الۡمُلۡکُ ۫ وَہُوَ عَلٰی
کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرُۨ ۙ
পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। (সূরা আল মুলক ৬৭:১)
২। অবিশ্বাসীদের
স্থান জাহান্নাম
وَلِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمۡ عَذَابُ
جَہَنَّمَ ؕ وَبِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ
যারা তাদের পালনকর্তাকে
অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।
(সূরা আল মুলক ৬৭:৬)
সূরা আল
ক্বলাম
৩। আল
কুরআন দ্বারা রাসূল সাঃ এর সত্যায়ন
مَاۤ اَنۡتَ بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ بِمَجۡنُوۡنٍ ۚ
আপনার পালনকর্তার
অনুগ্রহে আপনি উম্মাদ নন। (সূরা আল ক্বলাম ৬৮:২)
৪। রাসূল
সাঃ উত্তম চরিত্রের অধিকারী
وَاِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ
আপনি অবশ্যই মহান
চরিত্রের অধিকারী। (সূরা আল ক্বলাম ৬৮:৪)
৫। অধিক
শপথ করা নিষেধ
وَلَا تُطِعۡ کُلَّ حَلَّافٍ مَّہِیۡنٍ ۙ
যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। (সূরা আল ক্বলাম ৬৮:১০)
৬। চোগলখুরী
নিষিদ্ধ
ہَمَّازٍ مَّشَّآءٍۭ بِنَمِیۡمٍ ۙ
যে পশ্চাতে নিন্দা
করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে। (সূরা আল ক্বলাম ৬৮:১১)
৭। ভালো
কাজে বাধা দেয়া যাবে না
مَّنَّاعٍ لِّلۡخَیۡرِ مُعۡتَدٍ اَثِیۡمٍ ۙ
যে ভাল কাজে বাধা
দেয়,
সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ, (সূরা আল ক্বলাম ৬৮:১২)
সূরা আল হাক্ক্বাহ
৮। কেয়ামতের
দিন কোন কিছুই গোপন থাকবে না
یَوۡمَئِذٍ تُعۡرَضُوۡنَ لَا تَخۡفٰی مِنۡکُمۡ خَافِیَۃٌ
সেদিন তোমাদেরকে
উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। (সূরা
আল হাক্কাহ ৬৯:১৮)
৯। ডানহাতে
আমলনামা পাওয়া ব্যক্তিরা খুশিতে অন্যদের দেখাবে
فَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِیَمِیۡنِہٖ ۙ فَیَقُوۡلُ
ہَآؤُمُ اقۡرَءُوۡا کِتٰبِیَہۡ ۚ
অতঃপর যার আমলনামা
ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ নাও, তোমরাও আমলনামা পড়ে দেখ। (সূরা আল হাক্কাহ
৬৯:১৯)
১০। ডানহাতে
আমলনামা পাওয়া ব্যক্তিরা সুখে জীবন যাপন করবে
اِنِّیۡ ظَنَنۡتُ اَنِّیۡ مُلٰقٍ حِسَابِیَہۡ ۚ فَہُوَ فِیۡ عِیۡشَۃٍ رَّاضِیَۃٍ ۙ
আমি জানতাম যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। অতঃপর সে সুখী জীবন-যাপন করবে, (সূরা
আল হাক্কাহ ৬৯:২০-২১)
১১। আমলনামা
বাম হাতে পাওয়া ব্যক্তিরা আফসোস করবে
وَاَمَّا مَنۡ اُوۡتِیَ کِتٰبَہٗ بِشِمَالِہٖ ۬ۙ فَیَقُوۡلُ
یٰلَیۡتَنِیۡ لَمۡ اُوۡتَ کِتٰبِیَہۡ ۚ
যার আমলনামা তার
বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ হায় আমায়
যদি আমার আমল নামা না দেয়া হতো। (সূরা আল হাক্কাহ ৬৯:২৫)
১২। বাম
হাতে আমলনামা পাওয়া ব্যক্তিরা আফসোস করবে
وَلَمۡ اَدۡرِ مَا حِسَابِیَہۡ ۚ یٰلَیۡتَہَا کَانَتِ الۡقَاضِیَۃَ ۚ مَاۤ اَغۡنٰی عَنِّیۡ مَالِیَہۡ ۚ
আমি যদি না জানতাম
আমার হিসাব! হায়, আমার মৃত্যুই যদি
শেষ হত। আমার ধন-সম্পদ আমার কোন উপকারে আসল না। (সূরা আল হাক্কাহ
৬৯:২৬-২৮)
১৩। পরকালে
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের উদাহরণ
وَلَا یَحُضُّ عَلٰی طَعَامِ الۡمِسۡکِیۡنِ ؕ
এবং মিসকীনকে আহার্য
দিতে উৎসাহিত করত না। (সূরা আল হাক্কাহ ৬৯:৩৪)
সূরা আল মাআরিজ
১৪। পরকালের
সফল ব্যক্তিদের উদাহরণ
الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ دَآئِمُوۡنَ ۪ۙ
যারা তাদের নামাযে
সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। (সূরা আল মাআরিজ ৭০:২৩)
সূরা নুহ
১৫। পিতা
মাতা এবং মুমিন নারী পুরুষদের জন্য কুরআনীক দোয়া
رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَلِوَالِدَیَّ وَلِمَنۡ دَخَلَ بَیۡتِیَ
مُؤۡمِنًا وَّلِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَالۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَلَا تَزِدِ الظّٰلِمِیۡنَ
اِلَّا تَبَارًا
হে আমার পালনকর্তা!
আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ
ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন। (সূরা
নূহ ৭১:২৮)
সূরা জ্বীন
১৬। জিনদের
মধ্যে যারা অন্যায় কারী
وَاَمَّا الۡقٰسِطُوۡنَ فَکَانُوۡا لِجَہَنَّمَ
حَطَبًا ۙ
আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন। (সূরা
জীন ৭২:১৫)
সূরা আল মুজ্জাম্মিল
১৭। রাসূল
সাঃ কে রাত্রিবেলায় ইবাদতের নির্দেশ
یٰۤاَیُّہَا الۡمُزَّمِّلُ ۙ قُمِ الَّیۡلَ اِلَّا
قَلِیۡلًا ۙ نِّصۡفَہٗۤ اَوِ انۡقُصۡ مِنۡہُ قَلِیۡلًا ۙ
হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রিতে
দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম (সূরা আল মুজাম্মিল ৭৩:১-৩)
সূরা আল মুদ্দাসসির
১৮। রব
এর মাহাত্ম্য ঘোষণার নির্দেশ
وَرَبَّکَ فَکَبِّرۡ ۪ۙ
আপন পালনকর্তার মাহাত্ম্য
ঘোষনা করুন, (সূরা আল মুদ্দাসসির ৭৪:৩)
১৯। পোশাক
পবিত্র রাখার নির্দেশ
وَثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪ۙ
আপন পোশাক পবিত্র
করুন (সূরা আল মুদ্দাসসির ৭৪:৪)
২০। কাউকে
কিছু দিলে অধিক প্রতিদানের আশা না করা
وَلَا تَمۡنُنۡ تَسۡتَکۡثِرُ ۪ۙ
অধিক প্রতিদানের
আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না। (সূরা আল মুদ্দাসসির ৭৪:৬)
২১। জাহান্নামীদের
জাহান্নামে যাওয়ার কারণ
مَا سَلَکَکُمۡ فِیۡ سَقَرَ
বলবেঃ তোমাদেরকে
কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? (সূরা আল মুদ্দাসসির ৭৪:৪২)
নোটঃ জাহান্নামীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা
কেন জাহান্নামে এসেছো? তারা উত্তরে বলবে আমরা মুসল্লী ছিলাম না, মিসকীনকে খাবার খাওয়াতাম
না। মানুষের সমালোচনা করতেন। এবং বিচার দিবস কে অস্বীকার করতাম। এই কথাগুলো ৪৩-৪৬ নং
আয়াতে এসেছে।
সূরা আল ক্বিয়ামাহ
২২। কুরআনে
ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ধারণা
بَلٰی قٰدِرِیۡنَ عَلٰۤی اَنۡ نُّسَوِّیَ بَنَانَہٗ
পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো
পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। (সূরা আল কিয়ামাহ ৭৫:৪)
সূরা আদ দাহর
২৩। মানুষ
একসময় উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না
ہَلۡ اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ حِیۡنٌ مِّنَ الدَّہۡرِ
لَمۡ یَکُنۡ شَیۡئًا مَّذۡکُوۡرًا
মানুষের উপর এমন
কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। (সূরা
আদ দাহর ৭৬:১)
২৪। ইয়াতিমদের
খাবার খাওয়ানোর নির্দেশ
وَیُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّہٖ مِسۡکِیۡنًا
وَّیَتِیۡمًا وَّاَسِیۡرًا
তারা আল্লাহর প্রেমে
অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে। (সূরা
আদ দাহর ৭৬:৮)
২৫। দীর্ঘ
সময় ধরে পর্যায়ক্রমে কুরআন নাযিল হয়েছে
اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡقُرۡاٰنَ تَنۡزِیۡلًا ۚ
আমি আপনার প্রতি
পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি। (সূরা আদ দাহর ৭৬:২৩)
সূরা আল
মুরসালাত
২৭। শেষ
বিচারের দিন কাউকে তাওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না
وَلَا یُؤۡذَنُ لَہُمۡ فَیَعۡتَذِرُوۡنَ
এবং কাউকে তওবা করার
অনুমতি দেয়া হবে না। (সূরা আল মুরসালাত ৭৭:৩৬)
২৮। দুনিয়াতে
কাফেররা অবকাশ পেয়ে থাকে
کُلُوۡا وَتَمَتَّعُوۡا قَلِیۡلًا اِنَّکُمۡ
مُّجۡرِمُوۡنَ
কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী।
(সূরা আল মুরসালাত ৭৭:৪৬)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক