পবিত্র মাহে রমজানের
১৯ তম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সুরা আস সাজদাহ এবং সূরা আহযাব এর ৩১ নং আয়াত থেকে
শেষ পর্যন্ত। সূরা সাবা, সুরা ফাতির এবং সূরা ইয়াসিন এর ২১ নং আয়াত পর্যন্ত। অর্থাৎ ২২ তম পারার
১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত
১। নবী
পত্নীরা অন্য সাধারণ নারীদের মত নয়
یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسۡتُنَّ کَاَحَدٍ مِّنَ
النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیۡتُنَّ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِالۡقَوۡلِ فَیَطۡمَعَ الَّذِیۡ
فِیۡ قَلۡبِہٖ مَرَضٌ وَّقُلۡنَ قَوۡلًا
مَّعۡرُوۡفًا ۚ
হে নবী পত্নীগণ!
তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে
ভয় কর,
তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৩২)
২।
মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর
রাসূল এবং শেষ নবী
مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنۡ
رِّجَالِکُمۡ وَلٰکِنۡ رَّسُوۡلَ اللّٰہِ وَخَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ
وَکَانَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا
মুহাম্মদ তোমাদের
কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর
রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০)
৩। সকাল
বিকাল আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ
وَّسَبِّحُوۡہُ بُکۡرَۃً وَّاَصِیۡلًا
এবং সকাল বিকাল আল্লাহর
পবিত্রতা বর্ণনা কর। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৪২)
৪। জান্নাতিদের
অভিবাদন
تَحِیَّتُہُمۡ یَوۡمَ یَلۡقَوۡنَہٗ سَلٰمٌ ۖۚ
وَاَعَدَّ لَہُمۡ اَجۡرًا کَرِیۡمًا
যেদিন আল্লাহর সাথে
মিলিত হবে; সেদিন তাদের অভিবাদন হবে সালাম। তিনি
তাদের জন্যে সম্মানজনক পুরস্কার প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৪৪)
৫। আল্লাহ
এবং তাঁর ফেরেশতারা নবী (সাঃ) এর উপর রহমত প্রেরণ করেন
اِنَّ اللّٰہَ وَمَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی
النَّبِیِّ ؕ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَسَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ
নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং
তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৬)
৬।
বিনা কারনে মুমিনদের কষ্ট দেয়া অপরাধ
وَالَّذِیۡنَ یُؤۡذُوۡنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ
وَالۡمُؤۡمِنٰتِ بِغَیۡرِ مَا اکۡتَسَبُوۡا فَقَدِ احۡتَمَلُوۡا بُہۡتَانًا وَّاِثۡمًا
مُّبِیۡنًا
যারা বিনা অপরাধে
মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৮)
৭। কিয়ামত
সম্পর্কে আল্লাহই জানেন
یَسۡـَٔلُکَ النَّاسُ عَنِ السَّاعَۃِ ؕ
قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُہَا عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ
وَمَا یُدۡرِیۡکَ لَعَلَّ السَّاعَۃَ تَکُوۡنُ قَرِیۡبًا
লোকেরা আপনাকে কেয়ামত
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর জ্ঞান আল্লাহর
কাছেই। আপনি কি করে জানবেন যে সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটেই। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৬৩)
৮। অবিশ্বাসীরা আফসোস করবে
یَوۡمَ تُقَلَّبُ وُجُوۡہُہُمۡ فِی النَّارِ
یَقُوۡلُوۡنَ یٰلَیۡتَنَاۤ اَطَعۡنَا اللّٰہَ وَاَطَعۡنَا الرَّسُوۡلَا
যেদিন অগ্নিতে তাদের
মুখমন্ডল ওলট পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে, হায়। আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রসূলের আনুগত্য করতাম।
(সূরা আল আহযাব ৩৩:৬৬)
৯। অবিশ্বাসীরা
সেদিন তাদের নেতাদের দোষ দিবে
وَقَالُوۡا رَبَّنَاۤ اِنَّاۤ اَطَعۡنَا سَادَتَنَا
وَکُبَرَآءَنَا فَاَضَلُّوۡنَا السَّبِیۡلَا
তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৬৭)
১০। অবিশ্বাসীরা
সেদিন তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে নালিশ করবে
رَبَّنَاۤ اٰتِہِمۡ ضِعۡفَیۡنِ مِنَ الۡعَذَابِ
وَالۡعَنۡہُمۡ لَعۡنًا کَبِیۡرًا
হে আমাদের পালনকর্তা!
তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৬৮)
১১। সঠিক
কথা বলার নির্দেশ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ
وَقُوۡلُوۡا قَوۡلًا سَدِیۡدًا ۙ
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে
ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। (সূরা আল আহযাব ৩৩:৭০)
১২। কুরআনের বিরোধিতাকারীদের পরিণাম
وَالَّذِیۡنَ سَعَوۡ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا مُعٰجِزِیۡنَ
اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ مِّنۡ رِّجۡزٍ اَلِیۡمٌ
আর যারা আমার আয়াত
সমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। (সূরা সাবা ৩৪:৫)
১৩। রাসূল
(সাঃ) মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী
وَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا کَآفَّۃً لِّلنَّاسِ
بَشِیۡرًا وَّنَذِیۡرًا وَّلٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
আমি আপনাকে সমগ্র
মানবজাতির জন্যে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। (সূরা সাবা ৩৪:২৮)
১৪।
আল্লাহ কাউকে বেশি রিজিক দেন, কাউকে পরিমিত
দেন
قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ
یَّشَآءُ وَیَقۡدِرُ وَلٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ
বলুন, আমার পালনকর্তা যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং পরিমিত দেন।
কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না। (সূরা সাবা ৩৪:৩৬)
১৫। শয়তান
মানুষের শত্রু
اِنَّ الشَّیۡطٰنَ لَکُمۡ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوۡہُ
عَدُوًّا ؕ
اِنَّمَا یَدۡعُوۡا حِزۡبَہٗ لِیَکُوۡنُوۡا مِنۡ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ
শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন
তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতির ৩৫:৬)
১৬। মানুষ
অভাবী, আল্লাহ অভাবমুক্ত
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ اِلَی
اللّٰہِ ۚ
وَاللّٰہُ ہُوَ الۡغَنِیُّ الۡحَمِیۡدُ
হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর গলগ্রহ। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সূরা
ফাতির ৩৫:১৫)
১৭। সকল
সম্প্রদায়ের নিকটই সতর্ককারী এসেছে
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا
وَّنَذِیۡرًا ؕ
وَاِنۡ مِّنۡ اُمَّۃٍ اِلَّا خَلَا فِیۡہَا نَذِیۡرٌ
আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ
পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
(সূরা ফাতির ৩৫:২৪)
১৮। কুরআন
পাঠকের পুরষ্কার
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ
وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّعَلَانِیَۃً
یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ ۙ
যারা আল্লাহর কিতাব
পাঠ করে,
নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও
প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা
আশা কর,
যাতে কখনও লোকসান হবে না। (সূরা ফাতির ৩৫:২৯)
১৯। জান্নাতিরা
আল্লাহর প্রশংসা করবে
وَقَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡۤ اَذۡہَبَ
عَنَّا الۡحَزَنَ ؕ
اِنَّ رَبَّنَا لَغَفُوۡرٌ شَکُوۡرُۨ ۙ
আর তারা বলবে-সমস্ত
প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দূঃখ
দূর করেছেন। নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। (সূরা ফাতির ৩৫:৩৪)
২০। কুর
আন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ
وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ
প্রজ্ঞাময় কোরআনের
কসম। (সূরা ইয়াসিন ৩৬:২)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক