পবিত্র মাহে রমজানের ১৪তম
তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সূরা আম্বিয়া এবং সূরা হজ্জ্ব এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
অর্থাৎ ১৭তম পারার ১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি
আয়াত
১। হিসাবের সময় নিকটবর্তী
اِقۡتَرَبَ لِلنَّاسِ
حِسَابُہُمۡ وَہُمۡ فِیۡ غَفۡلَۃٍ مُّعۡرِضُوۡنَ ۚ
মানুষের
হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী; অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:১)
২। কোনকিছুই অযথা সৃষ্টি করা হয়নি
وَمَا خَلَقۡنَا السَّمَآءَ
وَالۡاَرۡضَ وَمَا بَیۡنَہُمَا لٰعِبِیۡنَ
আকাশ পৃথিবী
এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি
ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। (সূরা
আল আম্বিয়া ২১:১৬)
৩। ফেরেশতারা সর্বদা আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত
یُسَبِّحُوۡنَ الَّیۡلَ
وَالنَّہَارَ لَا یَفۡتُرُوۡنَ
তারা রাত্রিদিন
তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করে এবং ক্লান্ত হয় না। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:২০)
৪। আল্লাহ ব্যতীত দ্বিতীয় উপাস্য থাকলে সবকিছু
ধ্বংস হয়ে যেত
لَوۡ کَانَ فِیۡہِمَاۤ
اٰلِہَۃٌ اِلَّا اللّٰہُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰہِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا
یَصِفُوۡنَ
যদি নভোমন্ডল
ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র।
(সূরা আল আম্বিয়া ২১:২২)
৫। সকল নবী তাওহীদ প্রচার করেছেন
وَمَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ
قَبۡلِکَ مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا نُوۡحِیۡۤ اِلَیۡہِ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ
اَنَا فَاعۡبُدُوۡنِ
আপনার পূর্বে
আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং
আমারই এবাদত কর। (সূরা আল আম্বিয়া
২১:২৫)
৬। কুরআনে বিগ ব্যাং থিওরি
اَوَلَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ
کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ
وَجَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ
কাফেররা
কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী
ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি
উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা
বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সূরা আল আম্বিয়া ২১:৩০)
৭। গ্রহ নক্ষত্র নিজ অক্ষে বিচরণশীল
وَہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ الَّیۡلَ
وَالنَّہَارَ وَالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ
তিনিই সৃষ্টি
করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:৩৩)
৮। সকল প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে
کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ
الۡمَوۡتِ ؕ وَنَبۡلُوۡکُمۡ بِالشَّرِّ وَالۡخَیۡرِ فِتۡنَۃً ؕ وَاِلَیۡنَا
تُرۡجَعُوۡنَ
প্রত্যেককে
মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি
এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:৩৫)
৯। মানুষ খুব দ্রুততা প্রিয়
خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ
عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ
সৃষ্টিগত
ভাবে মানুষ ত্বরাপ্রবণ, আমি সত্তরই
তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব। অতএব আমাকে শীঘ্র করতে বলো না। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:৩৭)
১০। সন্তান ছেলে জাকারিয়া (আঃ) এর দোয়া
وَزَکَرِیَّاۤ اِذۡ نَادٰی
رَبَّہٗ رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّاَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ ۚۖ
এবং যাকারিয়ার
কথা স্মরণ করুন, যখন সে
তার পালনকর্তাকে আহবান করেছিল; হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।
(সূরা আল আম্বিয়া ২১:৮৯)
১১। কেয়ামতের আলামত
حَتّٰۤی اِذَا فُتِحَتۡ یَاۡجُوۡجُ
وَمَاۡجُوۡجُ وَہُمۡ مِّنۡ کُلِّ حَدَبٍ یَّنۡسِلُوۡنَ
যে পর্যন্ত
না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধন মুক্ত করে দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উচ্চভুমি থেকে দ্রুত
ছুটে আসবে। (সূরা আল আম্বিয়া
২১:৯৬)
১২। বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত
وَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا
رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ
আমি আপনাকে
বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। (সূরা আল আম্বিয়া ২১:১০৭)
১৩। কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী
وَّاَنَّ السَّاعَۃَ اٰتِیَۃٌ
لَّا رَیۡبَ فِیۡہَا ۙ وَاَنَّ اللّٰہَ یَبۡعَثُ مَنۡ فِی الۡقُبُوۡرِ
এবং এ কারণে
যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন। (সূরা আল হজ্জ্ব ২২:৭)
১৪। জাহান্নামীরা জাহান্নাম থেকে বেরিয়ে যেতে
চাইবে
کُلَّمَاۤ اَرَادُوۡۤا اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا
مِنۡہَا مِنۡ غَمٍّ اُعِیۡدُوۡا فِیۡہَا ٭ وَذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ
তারা যখনই
যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বলা হবেঃ
দহন শাস্তি আস্বাদন কর। (সূরা আল হজ্জ্ব ২২:২২)
১৫। জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা
وَلِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا
مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ
الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَبَشِّرِ
الۡمُخۡبِتِیۡنَ ۙ
আমি প্রত্যেক
উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময়
আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন
থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও; (সূরা আল হজ্জ্ব ২২:৩৪)
১৬। কোরবানির গোশত রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায়
না
لَنۡ یَّنَالَ اللّٰہَ
لُحُوۡمُہَا وَلَا دِمَآؤُہَا وَلٰکِنۡ یَّنَالُہُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ
کَذٰلِکَ سَخَّرَہَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ ؕ
وَبَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
এগুলোর
গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে
তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং
সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সূরা
আল হজ্জ্ব ২২:৩৭)
১৭। আল্লাহর রাস্তায় জীবন দানকারীরা আল্লাহর
পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্ত
وَالَّذِیۡنَ ہَاجَرُوۡا فِیۡ
سَبِیۡلِ اللّٰہِ ثُمَّ قُتِلُوۡۤا اَوۡ مَاتُوۡا لَیَرۡزُقَنَّہُمُ اللّٰہُ
رِزۡقًا حَسَنًا ؕ وَاِنَّ اللّٰہَ لَہُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
যারা আল্লাহর
পথে গৃহ ত্যাগ করেছে, এরপর নিহত
হয়েছে অথবা মরে গেছে; আল্লাহ
তাদেরকে অবশ্যই উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করবেন এবং আল্লাহ সর্বোৎকৃষ্ট রিযিক দাতা। (সূরা আল হজ্জ্ব ২২:৫৮)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক