পবিত্র মাহে রমজানের
১৩তম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সূরা কাহাফ এর ৭৫ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত,
সূরা মারইয়াম, এবং সূরা ত্বহা এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৬তম পারার ১ম পৃষ্ঠা
থেকে শেষ পর্যন্ত।
১। ইয়াজুজ ও মাজুজ বিষয়ে
فَمَا اسۡطَاعُوۡۤا اَنۡ یَّظۡہَرُوۡہُ وَمَا اسۡتَطَاعُوۡا لَہٗ
نَقۡبًا
অতঃপর ইয়াজুজ ও
মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না এবং তা ভেদ করতে ও সক্ষম হল না। (সূরা কাহাফ
১৮:৯৭)
২। অবিশ্বাসীদের সামনে জাহান্নাম
উপস্থিত হবে
وَّعَرَضۡنَا جَہَنَّمَ یَوۡمَئِذٍ لِّلۡکٰفِرِیۡنَ عَرۡضَۨا
সেদিন আমি
কাফেরদের কাছে জাহান্নামকে প্রত্যক্ষ ভাবে উপস্থিত করব। (সূরা কাহাফ
১৮:১০০)
৩। অবিশ্বাসীদের অভ্যর্থনার জন্য
জাহান্নামকে প্রস্তুত করে রাখা আছে
اَفَحَسِبَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنۡ یَّتَّخِذُوۡا عِبَادِیۡ
مِنۡ دُوۡنِیۡۤ اَوۡلِیَآءَ ؕ اِنَّـاۤ اَعۡتَدۡنَا جَہَنَّمَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ
نُزُلًا
কাফেররা কি মনে
করে যে,
তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ
করবে?
আমি কাফেরদের অভ্যর্থনার জন্যে জাহান্নামকে প্রস্তুত করে
রেখেছি। (সূরা কাহাফ
১৮:১০২)
৪। ভ্রান্তিতে থেকেও কিছু লোক মনে করে
তারা সঠিক পথে আছে
اَلَّذِیۡنَ ضَلَّ سَعۡیُہُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَہُمۡ
یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّہُمۡ یُحۡسِنُوۡنَ صُنۡعًا
তারাই সে লোক, যাদের প্রচেষ্টা পার্থিবজীবনে বিভ্রান্ত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করেছে। (সূরা কাহাফ ১৮:১০৪)
৫। বিশ্বাসীদের জন্য জান্নাতুল ফিরদাউস
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ کَانَتۡ لَہُمۡ
جَنّٰتُ الۡفِرۡدَوۡسِ نُزُلًا
যারা বিশ্বাস
স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের
অভ্যর্থনার জন্যে আছে জান্নাতুল ফেরদাউস। (সূরা কাহাফ ১৮:১০৭)
৬। জান্নাত তাদের স্থায়ী আবাস
خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا لَا یَبۡغُوۡنَ عَنۡہَا حِوَلًا
সেখানে তারা
চিরকাল থাকবে, সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করতে
চাইবে না। (সূরা
কাহাফ ১৮:১০৮)
৭। পালনকর্তার প্রশংসা লিখে শেষ করা
যাবেনা
قُلۡ لَّوۡ کَانَ الۡبَحۡرُ مِدَادًا لِّکَلِمٰتِ رَبِّیۡ لَنَفِدَ الۡبَحۡرُ
قَبۡلَ اَنۡ تَنۡفَدَ کَلِمٰتُ رَبِّیۡ وَلَوۡ جِئۡنَا بِمِثۡلِہٖ مَدَدًا
বলুনঃ আমার
পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি
কালি হয়,
তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি
সমুদ্র এনে দিলেও। (সূরা কাহাফ ১৮:১০৯)
৮। রাসুল (সাঃ) দৈহিক ভাবে একজন মানুষ
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ یُوۡحٰۤی اِلَیَّ
اَنَّمَاۤ اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ۚ فَمَنۡ کَانَ یَرۡجُوۡا لِقَآءَ
رَبِّہٖ فَلۡیَعۡمَلۡ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا یُشۡرِکۡ بِعِبَادَۃِ رَبِّہٖۤ
اَحَدًا
বলুনঃ আমি ও
তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি
প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই
একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার
পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক
না করে। (সূরা কাহাফ
১৮:১১০)
৯। আল্লাহকে ডেকে হতাশ হওয়া যাবেনা
قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَاشۡتَعَلَ
الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّلَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا
সে বললঃ হে আমার
পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি। (সূরা মারইয়াম
১৯:৪)
১০। হযরত ইয়াহইয়া (সাঃ) সম্পর্কে
یٰزَکَرِیَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُکَ بِغُلٰمِ ۣ اسۡمُہٗ یَحۡیٰی ۙ
لَمۡ نَجۡعَلۡ لَّہٗ مِنۡ قَبۡلُ سَمِیًّا
হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে আমি কারও নাম করণ
করিনি। (সূরা মারইয়াম
১৯:৭)
১১। আল্লাহ চাইলে বন্ধ্যা নারীকেও
সন্তান দিতে পারেন
قَالَ رَبِّ اَنّٰی یَکُوۡنُ لِیۡ غُلٰمٌ وَّکَانَتِ امۡرَاَتِیۡ
عَاقِرًا وَّقَدۡ بَلَغۡتُ مِنَ الۡکِبَرِ عِتِیًّا
সে বললঃ হে আমার
পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত। (সূরা মারইয়াম
১৯:৮)
১২। আল্লাহর জন্য সব কিছুই সহজ
قَالَ کَذٰلِکَ ۚ قَالَ رَبُّکَ ہُوَ عَلَیَّ ہَیِّنٌ وَّقَدۡ
خَلَقۡتُکَ مِنۡ قَبۡلُ وَلَمۡ تَکُ شَیۡئًا
তিনি বললেনঃ
এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলে দিয়েছেনঃ এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি তো পুর্বে
তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না। (সূরা মারইয়াম ১৯:৯)
১৩। পিতা ছাড়াও আল্লাহ সন্তান দিতে
পারেন
قَالَتۡ اَنّٰی یَکُوۡنُ لِیۡ غُلٰمٌ وَّلَمۡ یَمۡسَسۡنِیۡ بَشَرٌ
وَّلَمۡ اَکُ بَغِیًّا
মরিইয়াম বললঃ
কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব
আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ? (সূরা মারইয়াম ১৯:২০)
১৪। প্রসবকালে মারইয়াম (সাঃ) এর মানসিক
অবস্থা
فَاَجَآءَہَا الۡمَخَاضُ اِلٰی جِذۡعِ النَّخۡلَۃِ ۚ قَالَتۡ
یٰلَیۡتَنِیۡ مِتُّ قَبۡلَ ہٰذَا وَکُنۡتُ نَسۡیًا مَّنۡسِیًّا
প্রসব বেদনা
তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি বললেনঃ হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি
থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম! (সূরা মারইয়াম
১৯:২৩)
১৫। হযরত ঈসা (সাঃ) মায়ের কোলে শুয়ে
কথা বললেন
قَالَ اِنِّیۡ عَبۡدُ اللّٰہِ ۟ؕ اٰتٰنِیَ الۡکِتٰبَ وَجَعَلَنِیۡ
نَبِیًّا
সন্তান বললঃ আমি
তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। (সূরা মারইয়াম
১৯:৩০)
১৬। জান্নাতিদের সকাল সন্ধ্যার
অভ্যার্থনা হবে সালাম
لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡہَا لَغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَلَہُمۡ
رِزۡقُہُمۡ فِیۡہَا بُکۡرَۃً وَّعَشِیًّا
তারা সেখানে
সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে
রুযী থাকবে। (সূরা
মারইয়াম ১৯:৬২)
১৭। জান্নাত পরহেযগার বান্দাদের জন্য
تِلۡکَ الۡجَنَّۃُ الَّتِیۡ نُوۡرِثُ مِنۡ عِبَادِنَا مَنۡ کَانَ
تَقِیًّا
এটা ঐ জান্নাত
যার অধিকারী করব আমার বান্দাদের মধ্যে পরহেযগারদেরকে। (সূরা মারইয়াম
১৯:৬৩)
১৮। অবিশ্বাসীদের উপাস্যরাও একদিন তাদের
বিপক্ষে যাবে
کَلَّا ؕ سَیَکۡفُرُوۡنَ بِعِبَادَتِہِمۡ وَیَکُوۡنُوۡنَ
عَلَیۡہِمۡ ضِدًّا
কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে
যাবে। (সূরা মারইয়াম
১৯:৮২)
১৯। কুরআনের ভাষা সহজ
فَاِنَّمَا یَسَّرۡنٰہُ بِلِسَانِکَ لِتُبَشِّرَ بِہِ الۡمُتَّقِیۡنَ
وَتُنۡذِرَ بِہٖ قَوۡمًا لُّدًّا
আমি কোরআনকে
আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর
দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন। (সূরা মারইয়াম
১৯:৯৭)
২০। কুরআন মুত্তাক্বীদের জন্য উপদেশ
اِلَّا تَذۡکِرَۃً لِّمَنۡ یَّخۡشٰی
কিন্তু তাদেরই
উপদেশের জন্য যারা ভয় করে। (সূরা ত্বহা ২০:৩)
২১। মুসা (আঃ) কে আল্লাহর আদেশ
اِنَّنِیۡۤ اَنَا اللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا
فَاعۡبُدۡنِیۡ ۙ وَاَقِمِ الصَّلٰوۃَ لِذِکۡرِیۡ
আমিই আল্লাহ আমি
ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। (সূরা ত্বহা
২০:১৪)
২২। মুসা (আঃ) কে ফিরআউনের কাছে যাওয়ার
নির্দেশ
اِذۡہَبۡ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّہٗ طَغٰی
ফেরাউনের নিকট
যাও,
সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে। (সূরা ত্বহা ২০:২৪)
২৩। আল্লাহর আদেশ পালনে শৈথিল্য
প্রদর্শন করা যাবেনা
اِذۡہَبۡ اَنۡتَ وَاَخُوۡکَ بِاٰیٰتِیۡ وَلَا تَنِیَا فِیۡ
ذِکۡرِیۡ
তুমি ও তোমার
ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না। (সূরা ত্বহা
২০:৪২)
২৪। সবার সাথে নম্র ভাবে কথা বলা
فَقُوۡلَا لَہٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّہٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی
অতঃপর তোমরা
তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে
চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে। (সূরা ত্বহা ২০:৪৪)
২৫। আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে
ভয় করা যাবেনা
قَالَ لَا تَخَافَاۤ اِنَّنِیۡ مَعَکُمَاۤ اَسۡمَعُ وَاَرٰی
আল্লাহ বললেনঃ
তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের
সাথে আছি,
আমি শুনি ও দেখি। (সূরা ত্বহা ২০:৪৬)
২৬। কিয়ামতের ময়দানে শুধুমাত্র আল্লাহর
পক্ষ থেকে অনুমতিপ্রাপ্তরাই কথা বলতে পারবেন
یَوۡمَئِذٍ لَّا تَنۡفَعُ الشَّفَاعَۃُ اِلَّا مَنۡ اَذِنَ لَہُ
الرَّحۡمٰنُ وَرَضِیَ لَہٗ قَوۡلًا
দয়াময় আল্লাহ
যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন
উপকারে আসবে না। (সূরা ত্বহা ২০:১০৯)
২৭। আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হলে তার
জীবিকা সংকীর্ণ করা হয়
وَمَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَہٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا
وَّنَحۡشُرُہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اَعۡمٰی
এবং যে আমার
স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা
সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। (সূরা ত্বহা
২০:১২৪)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক