মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব, এবং এর প্রতিকার

জীবন রক্ষার জন্য আমাদেরকে পানহার করতে হয়। পানাহার এর উদ্দেশ্য হলো দেহের ক্ষয় পূরণ, তাপ ও শক্তি সঞ্চয়পূর্বক সুস্থতা বজায় রাখা। এমন অনেক বস্তু আছে যা পানাহার করলে দেহের সুস্থতা বজায় থাকে না। ফলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে, এমনকি অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। আহার হিসেবে এমন বস্তুকে গ্রহণ করতে হবে যেটা পবিত্র এবং আমাদের জন্য উপকারী।  পবিত্র খাদ্য গ্রহণ করার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা ত্বহার ৮১ নং আয়াতে বলেন,

کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ وَلَا تَطۡغَوۡا فِیۡہِ فَیَحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبِیۡ ۚ وَمَنۡ یَّحۡلِلۡ عَلَیۡہِ غَضَبِیۡ فَقَدۡ ہَوٰی

বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়।

(সূরা ত্বহা ২০:৮১)

যে সব বস্তু মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় সেগুলোর মধ্যে মাদক অন্যতম। তাই মাদক সম্পর্কে সকলের সঠিক ধারণা লাভ করা অপরিহার্য।

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব

মদ বা মাদকদ্রব্য বলা হয় এমন এক অ্যালকোহলীয় পদার্থকে জাপান করা হলে নেশাগ্রস্ত হয় এবং ব্যক্তির বিবেক বুদ্ধি লোপ পায়। দ্বীনদারী নিঃশেষ হয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক। মাদকতার আভিধানিক অর্থ

মাদকতার আরবি প্রতিশব্দ হলো الخمر

আরো কয়েকটি আভিধানিক অর্থ নিম্নরূপঃ

ক। الطغطيه বা ঢেকে ফেলা।

খ। الاخفاء বা গোপন করা।

গ। Drug

ঘ। Alcohol

খ। মাদকতার পারিভাষিক অর্থ

মাদকতার পারিবাসিক সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আল্লামা মুজিব (রঃ) বলেন,

الخمر هو ما ستر على العقل

মাদকতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে  المعجم الوسيط এর গ্রন্থকার বলেন,

اَلْخَمر هو ما أسكر من عصير العنب لأنها خامرت العقل والتخمير التغطية

মাদক হল এমন এক ধরনের কেমিক্যাল। যা ব্যক্তির মনের মধ্যে সাময়িকভাবে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি করে। পরবর্তীতে সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং আসক্তিতে পরিণত হয়।

অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে,

Alcohol is a type of organic compound that carries at least one hydroxyl functional group bound to a saturated carbon atom. The term alcohol originally referred to the primary alcohol ethanol, which is used as a drug and is the main alcohol present in alcoholic drinks.

- according to Wikipedia

গ। মাদকতার অপকারিতা

মাদকের বিরুদ্ধে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে অনেক জায়গায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মাদকের কয়েকটি উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

১। শয়তানের কাজ

মহান আল্লাহ তা'আলা মাদককে শয়তানের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করে সূরা মায়েদার ৯০ নং আয়াতে বলেন,

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَالۡمَیۡسِرُ وَالۡاَنۡصَابُ وَالۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ

হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। (সূরা আল মায়েদা ৫:৯০)

২। শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী  

মাদক মানুষের মাঝে শত্রুতাও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাবে মানুষ একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৯১ নং আয়াতে বলেন,

اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَالۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَالۡمَیۡسِرِ وَیَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَعَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَہُوۡنَ

শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? (সূরা আল মায়েদা ৫:৯১)

৩। ইবাদতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে

মাদকের একটি অত্যন্ত খারাপ দিক হলো ইবাদতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আল্লাহ তায়ালা সূরা মায়েদায় বলেন,

وَیَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَعَنِ الصَّلٰوۃِ

এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। (সূরা আল মায়েদা ৫:৯১)

৪। আখিরাত ক্ষতিগ্রস্ত  

মাদকাসক্ত ব্যক্তি আখিরাতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এ বিষয়ে প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ.

যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করেছে অতঃপর তা-থেকে তওবা করে নি, সে আখিরাতে তা-থেকে বঞ্চিত থাকবে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৫৭৫, মুসলিম ৩৬/৮, হাঃ ২০০৩, আহমাদ ৪৬৯০ আধুনিক প্রকাশনী- ৫১৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫০৬২)

৫। মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না

মাদক সেবী জান্নাতে যাবে না। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مُدْمِنُ خَمْرٍ ‏"‏ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শরাব পানে অভ্যস্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৭৬, আহমাদ ২৬৯৩৮, সহীহাহ ৬৭৫, ৬৭৮)

৬। কিয়ামতের দিন আল্লাহ মাদক সেবীর দিকে তাকাবেন না

হাদীস শরীফে এসেছে, তিন ব্যক্তির দিকে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না, তাদের এক শ্রেণী হলো মাদক সেবী, নাসায়ী শরীফের হাদিসে এসেছে,

عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ثَلَاثَةٌ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ، وَالْمَرْأَةُ الْمُتَرَجِّلَةُ، وَالدَّيُّوثُ، وَثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ: الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ، وَالْمُدْمِنُ عَلَى الْخَمْرِ، وَالْمَنَّانُ بِمَا أَعْطَ

সালিম এর পিতা আব্দুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির প্রতি মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তাআলা কিয়ামতের দিন দৃষ্টি দিবেন না (রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না) পিতা মাতার অবাধ্য (সন্তান), পুরুষের বেশধারী নারী এবং দায়ূছ (নিজ স্ত্রী কন্যার পাপাচারে যে ঘৃণাবোধ করেনা।) আর তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা পিতা মাতার অবাধ্য (সন্তান), মাদকাসক্ত ব্যক্তি (যে মদ্যপ তাওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে) এবং দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি (দান করার পর যে দানের উল্লেখ করে গঞ্জনা দেয়।) (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৫৬২)

৭। দৈহিক কুফল

মাদকদ্রব্য সেবনে ব্যক্তির স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে যেতে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞান মাদক থেকে বেঁচে থাকার জন্য নানা ভাবে মানুষকে মোটিভেট করে যাচ্ছে।

৮। মানসিক অপকারিতা

নিয়মিত মাদক সেবনের দ্বারা ব্যক্তি মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। মানুষের স্বাভাবিক আচরণে বাধা সৃষ্টি করে মাদকতা।

৯। মাদক দ্রব্য মাত্রই হারাম, অল্প বা বেশি

প্রিয় নবী (সাঃ) সকল প্রকার মাদককে হারাম ঘোষণা করেন। মুসলিম শরীফে এসেছে,

 عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ সম্ভবত তিনি নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকেই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যে জিনিসে নেশা উদ্রেক করে তাই মদ। আর মদ মাত্রই হারাম।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫১১৬ (ই. ফা. ৫০৫১, ই. সে. ৫০৬১)

১০। সকল পাপের চাবিকাঠি

মাদকদ্রব্য কে সকল পাপের চাবিকাঠি উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ ‏"‏ ‏.‏

আবূ দারদা (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ আমার বন্ধু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন : শরাব পান করো না, কারণ তা সমস্ত পাপাচারের প্রসূতি। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৭১)

মাদকতা প্রতিরোধের উপায়

মাদকদ্রব্য শুধুমাত্র সেবনকারীর ক্ষতি সাধন করে না বরং তার কাছের মানুষও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই মাদকতা সমাজ থেকে নির্মূলের কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলো,

ক। ইচ্ছাশক্তি

মাদকতা বর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় হল ইচ্ছা শক্তি। প্রবল ইচ্ছা শক্তির দ্বারা মানুষ অনেক অসাধ্য সাধন করেছে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে,

Where there is a will there is a way.

খ। ইসলামী মূল্যবোধের শিক্ষা

মাদকতা নির্মূলের একটি অন্যতম উপায় হল ইসলামী মূল্যবোধের শিক্ষা। কোরআন এবং হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡرَبُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡتُمۡ سُکٰرٰی

হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা। (সূরা নিসা ৪:৪৩)

গ। সামাজিক প্রতিরোধ

সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। অন্য কাজে সামাজিকভাবে বয়কট করার বেশি আল্লাহ তায়ালা সূরা আল ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে বলেন,

وَلۡتَکُنۡ مِّنۡکُمۡ اُمَّۃٌ یَّدۡعُوۡنَ اِلَی الۡخَیۡرِ وَیَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَیَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ

আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।

(সূরা আলে ইমরান ৩:১০৪)

ঘ। মাদক নির্মূলে মিডিয়ার ভূমিকা

মাদক নির্মূলে মিডিয়া অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। মাদকবিরোধী প্রচারণা, মাদকতার কুফল এবং বিশেষ করে মাদকদ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ঙ। ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা

সমাজ থেকে মাদকতা দূর করণে আলেম সমাজের ভূমিকা অনেক বেশি। মসজিদ-মাদ্রাসায়, ওয়াজ-মাহফিলে, বিভিন্ন সভা -সেমিনারে মাদকতার বিরুদ্ধে ইসলামের হুঁশিয়ারি উল্লেখ করে মানুষকে মাদক থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে পারে।

চ। চিকিৎসা

মাদক আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা বা কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে না আনলে যখন কেউ মারাত্মকভাবে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে তখন তার পক্ষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রাথমিক অবস্থায় মাদক থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

ছ। আইনের প্রয়োগ / শাস্তি

মাদক গ্রহণ, মাদক বেচাকেনা এবং মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে অন্যরা সচেতন হয়ে যাবে।

সমাপনী

মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হলে সকলকে একসাথে এগিয়ে এসে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।