আল কুরআনঃ বিশ্ব মানবতার মুক্তি সনদ- জুমুয়ার খুতবা Al-Quran: The Charter of Liberation of World Humanity


আল কুরআনঃ মানবতার মুক্তি সনদ

আল কুরআনঃ মানবতার মুক্তি সনদ

মানবজাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তাআলা যুগেযুগে অসংখ্য নবী রাসুল আসমানী কিতাব সহকারে প্রেরণ করেছেন। আল কুরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব, শ্রেষ্ঠ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত, মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি আল্লাহর নিকট হতে হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়। মানবজাতির ইহকালে সুন্দরভাবে বসবাস করার জন্য এবং পরকালে মুক্তির জন্য যা কিছু দরকার আল কুরআনে সব কিছুরই নির্দেশনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَیَوۡمَ نَبۡعَثُ فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ شَہِیۡدًا عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَجِئۡنَا بِکَ شَہِیۡدًا عَلٰی ہٰۤؤُلَآءِ ؕ  وَنَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّکُلِّ شَیۡءٍ وَّہُدًی وَّرَحۡمَۃً وَّبُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ

সেই দিনকেও স্মরণ রেখ, যেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে, তাদের নিজেদের থেকে, তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর (হে নবী!) আমি তোমাকে এদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত করব। আমি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি, যাতে এটা প্রতিটি বিষয় সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দেয় এবং মুসলিমদের জন্য হয় হিদায়াত, রহমত ও সুসংবাদ। (সূরা আন নাহ্‌ল ১৬:৮৯)

আল কুরআনের পরিচয়

یٰسٓ ۚ وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ

প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। (ইয়াসীন ৩৫:১-২)

بَلۡ ہُوَ قُرۡاٰنٌ مَّجِیۡدٌ ۙ فِیۡ لَوۡحٍ مَّحۡفُوۡظٍ

বরং এটা মহান কোরআন, লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ। (আল বুরুজ ৮৫:২১-২২)

আসমানী কিতাব আল কুরআন

وَمَا کَانَ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنُ اَنۡ یُّفۡتَرٰی مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ وَلٰکِنۡ تَصۡدِیۡقَ الَّذِیۡ بَیۡنَ یَدَیۡہِ وَتَفۡصِیۡلَ الۡکِتٰبِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ مِنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۟

এ কুরআন এমন নয় যে, এটা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ হতে রচনা করা হবে বরং এটা (ওহীর) সেই সব বিষয়ের সমর্থন করে, যা এর পূর্বে নাযিল হয়েছে এবং আল্লাহ (লাওহে মাহফূজে) যেসব বিষয় লিখে রেখেছেন এটা তার ব্যাখ্যা করে। ২৫ এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এটা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ হতে। (সূরা ইউনুস ১০:৩৭)

নির্ভুল গ্রন্থ

ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖ  فِیۡہِ ۚۛ  ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ

এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য (আল বাকারা ২:২)

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ

اَوَلَمۡ یَرَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ کَانَتَا رَتۡقًا فَفَتَقۡنٰہُمَا ؕ وَجَعَلۡنَا مِنَ الۡمَآءِ کُلَّ شَیۡءٍ حَیٍّ ؕ اَفَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ

কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সূরা আল আম্বিয়া ২১:৩০ )

وَاَوۡحٰی رَبُّکَ اِلَی النَّحۡلِ اَنِ اتَّخِذِیۡ مِنَ الۡجِبَالِ بُیُوۡتًا وَّمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا یَعۡرِشُوۡنَ ۙ

আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর,( আন নাহল ১৬:৬৮)

কোরআনের চ্যালেঞ্জ

কুরআনের মত একটি গ্রন্থ রচনার চ্যালেঞ্জ

قُلۡ لَّئِنِ اجۡتَمَعَتِ الۡاِنۡسُ وَالۡجِنُّ عَلٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِمِثۡلِ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنِ لَا یَاۡتُوۡنَ بِمِثۡلِہٖ وَلَوۡ کَانَ بَعۡضُہُمۡ لِبَعۡضٍ ظَہِیۡرًا

বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না। (বনী-ইসরাঈল ১৭:৮৮)

দশটি সূরা রচনার চ্যালেঞ্জ

اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىہُ ؕ قُلۡ فَاۡتُوۡا بِعَشۡرِ سُوَرٍ مِّثۡلِہٖ مُفۡتَرَیٰتٍ وَّادۡعُوۡا مَنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ

তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে। (সূরা হুদ ১১:১৩)

মাত্র একটি সূরা রচনার চ্যালেঞ্জ

وَاِنۡ کُنۡتُمۡ فِیۡ رَیۡبٍ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا فَاۡتُوۡا بِسُوۡرَۃٍ مِّنۡ مِّثۡلِہٖ ۪ وَادۡعُوۡا شُہَدَآءَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ

এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। (আল বাকারা ২:২৩)

পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের সমর্থক

نَزَّلَ عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ وَاَنۡزَلَ التَّوۡرٰىۃَ وَالۡاِنۡجِیۡلَ ۙمِنۡ قَبۡلُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَاَنۡزَلَ الۡفُرۡقَانَ ۬ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ؕ وَاللّٰہُ عَزِیۡزٌ ذُو انۡتِقَامٍ

তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের। নাযিল করেছেন তাওরত ও ইঞ্জিল, এ কিতাবের পূর্বে, মানুষের হেদায়েতের জন্যে এবং অবতীর্ণ করেছেন মীমাংসা। নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশীল, প্রতিশোধ গ্রহণকারী। (আল ইমরান ৩:৩-৪)

বিশ্বমানবতার জন্য হিদায়াত

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (আল বাকারা ২:১৮৫)

اِنَّ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنَ یَہۡدِیۡ لِلَّتِیۡ ہِیَ اَقۡوَمُ وَیُبَشِّرُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ الَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡ اَجۡرًا کَبِیۡرًا ۙ

এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে মহা পুরস্কার রয়েছে। (বনী-ইসরাঈল ১৭:৯)

দুঃখ কষ্টের একমাত্র চিকিৎসা আল কুরআন

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ قَدۡ جَآءَتۡکُمۡ مَّوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَہُدًی وَّرَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ

হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। (সূরা ইউনুস ১০:৫৭)

وَنُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا ہُوَ شِفَآءٌ وَّرَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَلَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا

আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। (সূরা বনী-ইসরাঈল ১৭:৮২)

কেয়ামত দিনের সুপারিশ কারী আল কুরআন

 اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصحَابِهِ   رواه مسلم

তোমরা কুরআন তেলাওয়াত করবে, কেননা কেয়ামতের দিন কুরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ রূপে উপস্থিত হবে। (মুসলিম ইফা: ১৭৪৪)

 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ ‏"‏ ‏

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সাওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (মিশকাত ২১৩৭, জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৯১০)

অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ

وَاِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیَاتُنَا بَیِّنٰتٍ ۙ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَرۡجُوۡنَ لِقَآءَنَا ائۡتِ بِقُرۡاٰنٍ غَیۡرِ ہٰذَاۤ اَوۡ بَدِّلۡہُ ؕ قُلۡ مَا یَکُوۡنُ لِیۡۤ اَنۡ اُبَدِّلَہٗ مِنۡ تِلۡقَآیِٔ نَفۡسِیۡ ۚ اِنۡ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اِنۡ عَصَیۡتُ رَبِّیۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ قُلۡ لَّوۡ شَآءَ اللّٰہُ مَا تَلَوۡتُہٗ عَلَیۡکُمۡ وَلَاۤ اَدۡرٰىکُمۡ بِہٖ ۫ۖ فَقَدۡ لَبِثۡتُ فِیۡکُمۡ عُمُرًا مِّنۡ قَبۡلِہٖ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ

যারা (আখেরাতে) আমার সাথে মিলিত হওয়ার আশা রাখে না, তাদের সামনে যখন আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টরূপে পাঠ করা হয়, তখন তারা বলে, এটা নয়, অন্য কোনও কুরআন নিয়ে এসো অথবা এতে পরিবর্তন আন। (হে নবী!) তাদেরকে বলে দাও, আমার এ অধিকার নেই যে, নিজের পক্ষ থেকে এতে কোন পরিবর্তন আনব। আমি তো অন্য কিছুর নয়; কেবল সেই ওহীরই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি নাযিল করা হয়। আমি যদি কখনও আমার প্রতিপালকের নাফরমানী করে বসি, তবে আমার এক মহা দিবসের শাস্তির ভয় রয়েছে।

বলে দাও, আল্লাহ চাইলে আমি এ কুরআন তোমাদের সামনে পড়তাম না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে এ সম্পর্কে অবগত করতেন না। আমি তো এর আগেও একটা বয়স তোমাদের মধ্যে কাটিয়েছি। তারপরও কি তোমরা অনুধাবন করবে না?  (সূরা ইউনুস ১০:১৫-১৬)

শানে নুজুলঃ

নবী করীম (ছঃ) যখন মুশরিকদের নিকট পবিত্র কোরআনের সে সব আয়াত পাঠ করতেন, যে সব আয়াতে তাদের প্রতিমা এবং তাদের প্রতিমা পূজার অসারতা ও সমালোচনার বিবরণ আছে, তখন অলীদ ইবনে মুগীরা ও অপরাপর মুশরিকরা বলত, যদি তুমি এ কোরআন আমাদেরকে মানিয়ে নিতে চাও, তবে এ সমস্ত সমালোচনামূলক আয়াত পরিবর্তন করে দাও তাদের এ আবেদনের পেছনে উদ্দেশ্য হল- যদি এ কোরআন নবী করীম (ছঃ)-এর আপন পক্ষ হতে গড়া হয়, তবে নিশ্চয় তিনি তাদের মনঃতুষ্টির জন্য এটাতে কিছু পরিবর্তন করে দেবেন। আর যদি বাস্তবিকই এটা আল্লাহ্‌র কালাম হয়, তবে তিনি কখনও পরিবর্তন করবেন না তাদের এ উক্তি রদকল্পে আয়াতটি নাযিল হয়

সমাপনী

কোন একটি হেদায়েত আসার পর অপর আরেকটি হেদায়েত আসার প্রয়োজন তখনই অনুভূত হয় যখন প্রথম আসা হেদায়েতটি লোপ পেয়ে যায় এবং তাকে পুনর্জীবন দান করার প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু আল কুরআন কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত গ্রন্থ বা হেদায়াত। এ হেদায়েতে সংরক্ষণ আল্লাহ তাআলা স্বয়ং নিজে গ্রহণ করেছে (সূরা হিজর ১৫:৯) সুতরাং পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন আল কুরআন সর্বশেষ হেদায়েত নামা হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ হয়ে থাকবে।


খুতবাটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন 

পুরো আলোচনাটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন

Google Drive Link