সংক্ষিপ্ত আয়াত তালিকা (১) |
کَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ
وَکُنۡتُمۡ اَمۡوَاتًا فَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ
ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ
১। কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন,
আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই
প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। (সূরা বাকারা ২:২৮)
اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ
وَالۡاَرۡضِ ؕ وَمَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّلَا نَصِیۡرٍ
২। তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ
ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই। (সূরা বাকারা ২:১০৭)
وَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَاٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ وَمَا تُقَدِّمُوۡا
لِاَنۡفُسِکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ تَجِدُوۡہُ عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِمَا
تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ
৩। তোমরা নামায
প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর,
নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন। (সূরা বাক্বারা ২:১১০)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا
اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَالصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ
৪। হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য
ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
(সূরা বাকারা ২:১৫৩)
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ کُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ
وَّلَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ
৫। হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষন
কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা
বাক্বারা ২:১৬৮)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا
ادۡخُلُوۡا فِی السِّلۡمِ کَآفَّۃً ۪ وَلَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ
اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ
৬। হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে
ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের
প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা ২:২০৮)
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَاَقَامُوا
الصَّلٰوۃَ وَاٰتَوُا الزَّکٰوۃَ لَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۚ وَلَا
خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
৭। নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে,
সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত
দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে
রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। (সূরা বাকারা ২:২৭৭)
وَاتَّقُوۡا یَوۡمًا تُرۡجَعُوۡنَ فِیۡہِ اِلَی اللّٰہِ ٭۟ ثُمَّ
تُوَفّٰی کُلُّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ وَہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
৮। ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের
ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না। (সুরা বাক্বারা ২:২৮১)
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ
اللّٰہُ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
৯। বলুন, যদি
তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে
দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। (সূরা আল ইমরান ৩:৩১)
وَمَنۡ
یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡہُ ۚ وَہُوَ فِی
الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
১০।
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। (সূরা আলে ইমরান
৩:৮৫)
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اصۡبِرُوۡا وَصَابِرُوۡا وَرَابِطُوۡا ۟ وَاتَّقُوا اللّٰہَ
لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
১১। হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায়
দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ
হতে পার। (সূরা আল ইমরান ৩:২০০)
اَلَّذِیۡنَ
اٰمَنُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ
فِیۡ سَبِیۡلِ الطَّاغُوۡتِ فَقَاتِلُوۡۤا اَوۡلِیَآءَ الشَّیۡطٰنِ ۚ اِنَّ کَیۡدَ
الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا
১২। যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে
সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল। (সূরা নিসা ৪:৭৬)
وَاِذَا
قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَاَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ
১৩।
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান
লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। (সূরা আরাফ ৭:২০৪)
وَاَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ وَلَا تَنَازَعُوۡا فَتَفۡشَلُوۡا
وَتَذۡہَبَ رِیۡحُکُمۡ وَاصۡبِرُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ۚ
১৪। আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ
মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব
চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন
ধৈর্য্যশীলদের সাথে। (সূরা আনফাল ৮:৪৬)
وَاۡمُرۡ اَہۡلَکَ بِالصَّلٰوۃِ وَاصۡطَبِرۡ عَلَیۡہَا ؕ لَا
نَسۡـَٔلُکَ رِزۡقًا ؕ نَحۡنُ نَرۡزُقُکَ ؕ وَالۡعَاقِبَۃُ لِلتَّقۡوٰی
১৫। আপনি আপনার
পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে
কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। (সূরা তোহা
২০:১৩২)
اِنَّ اللّٰہَ یُدۡخِلُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ
جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَفۡعَلُ مَا یُرِیۡدُ
১৬। যারা বিশ্বাস
স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশ দিয়ে
নির্ঝরণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। (সূরা হাজ্জ্ব ২২:১৪)
وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُکَفِّرَنَّ
عَنۡہُمۡ سَیِّاٰتِہِمۡ وَلَنَجۡزِیَنَّہُمۡ اَحۡسَنَ الَّذِیۡ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
১৭। আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও
সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং
তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব। (সূরা আনকাবুত ২৯:৭)
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتُ
النَّعِیۡمِ ۙ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقًّا ؕ وَہُوَ الۡعَزِیۡزُ
الۡحَکِیۡمُ
১৮। যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের
জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ওয়াদা যথার্থ।
তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা লুকমান ৩১:৮-৯)
قُلۡ
ہَلۡ یَسۡتَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ وَالَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ؕ
اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ
১৯। বলুন, যারা
জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। (সূরা
যুমার ৩৯:৯)
وَلَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَلَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ
ہِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَبَیۡنَہٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّہٗ وَلِیٌّ
حَمِیۡمٌ
২০। সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই
বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। (সুরা হা মিম সাজদাহ ৪১:৩৪)
اِنَّ
اللّٰہَ یُحِبُّ الَّذِیۡنَ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِہٖ صَفًّا کَاَنَّہُمۡ
بُنۡیَانٌ مَّرۡصُوۡصٌ
২১। আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো
প্রাচীর। (সুরা সফ ৬১:৪)
فَاِذَا
قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ
اللّٰہِ وَاذۡکُرُوا اللّٰہَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
২২।
অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর
অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা
সফলকাম হও। (সুরা জুমুয়া ৬২:১০)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُلۡہِکُمۡ اَمۡوَالُکُمۡ
وَلَاۤ اَوۡلَادُکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ۚ وَمَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ
ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ
২৩। মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও
সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল
হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩:৯)
وَمَنۡ
یُّؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ وَیَعۡمَلۡ صَالِحًا یُّکَفِّرۡ عَنۡہُ سَیِّاٰتِہٖ وَیُدۡخِلۡہُ
جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ
ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
২৪। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করবেন
এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য। (সূরা তাগাবুন ৬৪:৯)
ہَلۡ اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ حِیۡنٌ مِّنَ الدَّہۡرِ لَمۡ یَکُنۡ
شَیۡئًا مَّذۡکُوۡرًا اِنَّا خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ اَمۡشَاجٍ ٭ۖ
نَّبۡتَلِیۡہِ فَجَعَلۡنٰہُ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا
২৫। মানুষের উপর এমন কিছু সময় অতিবাহিত
হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু
থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর
তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। (সূরা আদ দাহর ৭৬:১-২)
کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ۙ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِیۡ نَعِیۡمٍ ۚ وَاِنَّ
الۡفُجَّارَ لَفِیۡ جَحِیۡمٍ ۚ
২৬। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা
জানে যা তোমরা কর। সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে। এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে; (সূরা ইনফিতার ৮২:১১-১৪)
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ جَنّٰتٌ
تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡکَبِیۡرُ ؕ
২৭। যারা ঈমান আনে
ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। (সূরা বুরুজ ৮৫:১১)
فَاَمَّا مَنۡ اَعۡطٰی وَاتَّقٰی ۙ
وَصَدَّقَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ فَسَنُیَسِّرُہٗ
لِلۡیُسۡرٰی ؕ وَاَمَّا مَنۡۢ بَخِلَ
وَاسۡتَغۡنٰی ۙ وَکَذَّبَ بِالۡحُسۡنٰی ۙ فَسَنُیَسِّرُہٗ لِلۡعُسۡرٰی ؕ
২৮। অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়, এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, আমি তাকে সুখের বিষয়ের
জন্যে সহজ পথ দান করব। আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়, এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে
করে, আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। (সুরা লাইল
৯২:৫-১০)
لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ
فِیۡۤ اَحۡسَنِ تَقۡوِیۡمٍ ۫ ثُمَّ رَدَدۡنٰہُ اَسۡفَلَ سٰفِلِیۡنَ ۙ اِلَّا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَلَہُمۡ اَجۡرٌ غَیۡرُ مَمۡنُوۡنٍ ؕ
২৯। আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর
অবয়বে। অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে
ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। (সূরা তীন
৯৫:৪-৫)
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ خَلَقَ الۡاِنۡسَانَ مِنۡ عَلَقٍ ۚ اِقۡرَاۡ وَرَبُّکَ الۡاَکۡرَمُ ۙ الَّذِیۡ عَلَّمَ بِالۡقَلَمِ ۙ عَلَّمَ الۡاِنۡسَانَ مَا لَمۡ یَعۡلَمۡ ؕ
৩০। পাঠ করুন আপনার
পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার
পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (সূরা আলাক ৯৬:১-৪)
وَالۡعَصۡرِ ۙ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ اِلَّا الَّذِیۡنَ
اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَتَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَتَوَاصَوۡا
بِالصَّبۡرِ
৩১। কসম যুগের (সময়ের), নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ
করে সবরের। (সূরা আসর ১০৩:১-৩)