হানাফী মাজহাবের যাত্রা। কিভাবে? কখন থেকে? কোথায় থেকে এবং কার মাধ্যমে?

হানাফী মাযহাবের ইতিহাস

১৭ হিজরীতে হযরত উমার রাঃ এর খেলাফতকালে ইরাক বিজয় হয়। তখন ইরাকে তিনি নতুন একটা শহর প্রতিষ্ঠা করেন নাম-কুফা। উমার রাঃ কুফা শহরকে মুসলমানদের জন্য  রাজধানী বা প্রশাসনিক শহর হিসেবে নির্ধারিত করেন। সেখানকার মুসলমানদের দ্বীনি শিক্ষা-দীক্ষার জন্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ -কে শিক্ষক হিসেবে ইরাকের কুফা নগরীতে প্রেরণ করেন  দীর্ঘ ১৬ বছর কুফা নগরীতে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ দ্বীনের শিক্ষা দান করেন।

👉৩২ হিজরীতে তিলি মুত্যু বরণ করলে দ্বীনের শিক্ষা-দীক্ষার দায়ভার চলে আসে ইবলে মাস'উদ রাঃ এর শ্রেষ্ঠতম ছাত্র - আলকামা রাঃ এর কাছে।তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর দ্বীলের খেদমত দিয়ে থাকেন।

👉৬২ হিজরীতে হযরত আলকামা রাঃ মৃত্যু বরণ করলে,কুফা নগরীর দ্বীনি দায়িত্ব চলে আসে তারই শ্রেষ্ঠ ছাত্র- ইবরাহীম নাখায়ী রাঃ এর কাছে। তিনিও দীর্ঘ দিন যাবত কুফায় দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকে।

👉৯৬ হিজরীতে ইবরাহীম নাখায়ী রাঃ মৃত্যুবরণ করলে কুফা নগরীর দ্বীনি খেদমতের দায়ভার,

চলে আসে তারই শ্রেষ্ঠ ছাত্র - হাম্মাদ বিন সুলাইমালের উপর। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর কুফা অগরীতে দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকে।

👉১২০ হিজরীতে হাম্মাদ বিন সুলাইমান মৃত্যুবরণ করলে সমগ্র কুফা নগরীর দ্বীনি খেদমতফিকহী খেদমাত ও রাহবারিত্ব চলে আসে হযরত ইমামে আজম  আবু হানিফা রাঃ এর কাঁধে। ইমামে আজম দীর্ঘ ৩০ বছর কুফা নগরীতে কোরাআন,হাদিসফিকাহ ইত্যাদি খেদমতে নিরলস মেহরত ও রাহবারিত্ব করে যান।

ইমামে আজম আবু হানীফা রঃ  এর শিক্ষক তালিকার পরম্পরা তুলে ধরলাম।

ইমামে আজম আবু-হানীফা 👇

হাম্মাদ বিন সুলাইল 👇

ইবরাহীম লাখায়ী 👇

আলকামা 👇

আব্দুল্লাহ ইবলে মাসউদ রাঃ 👇

হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাঃ

উপরোক্ত তালিকা থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত যে,  কুফা নগরীতে দ্বীনের জ্ঞান বিস্তার লাভ করে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাঃ থেকে।

কে এই জ্বলীল কাদর সাহাবী ?

উনার সম্পর্কে দু'একটা হাদিস জেনে নেই  👇

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ রাসূল সাঃ এর সঙ্গি ছিলেন। জীবনের বিরাট একটা সময় রাসূলের সাথে কাটিয়েছিলেন। রাসূলের পরিবারের সাথে বেশ

সখ্যতা ও আসা-যাওয়া ছিল। দূরবর্তী অনেক সাহাবাআব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাঃ -কে রাসূলের পরিবারের একজন মনে করতেন।

১. রাসূল সাঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর উপর এতোটা আস্থাশীল ছিলেন যেতিনি বলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ আমার উম্মতের জন্য যা পছন্দ করবেআমিও তা পছন্দ করবো। সে যা অপছন্দ করবেআমি ও তা অপছন্দ করবো।

২. রাসূল সাঃ বলেন আমি যদি মাশওয়ারা ছাড়া কাউকে খলীফা নিযুক্ত করতামতাহলে আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাঃ কে নিযুক্ত করতাম

৩. রাসূল সাঃ বলেন কেউ যদি কোর'আন যেভাবে অবতীর্ণ হয়েছেসেভাবে তেলাওয়াত করতে চায় : সে যেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাঃ কে অনুসরণ করে

৪. রাসূল সাঃ বলেন তোমরা চারজন থেকে ইলম হাসিল করো। তন্মধ্যে প্রথমেই আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর নাম উল্লেখ করেন

৫. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ রাঃ এর ব্যাপারে হযরত উমার রাঃ এর মন্তব্য  হলো আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ হলেন ইলমের বা জ্ঞানের একটা পরিপূর্ণ ঘর।

প্রিয় পাঠক,

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর অসংখ্য ফজিলত থেকে মাত্র পাঁচটা বর্ণনা এখানে তুলে ধরলাম। সচেতন ও বুদ্ধিমান মেধাবী পাঠকের জন্য এটুকুতেই বুঝা যথেষ্ট যেতিনি একজন উচ্চপর্যায়ের জ্ঞানী সাহাবী ছিলেন।

যাইহোক রাসূল সাঃ এর সাহচর্য-ধন্য হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর মাধ্যমে দ্বীনের প্রকৃত জ্ঞান ইরাকের কুফা নগরীতে পৌঁছে। এক এক করে সেই দ্বীনি জ্ঞানের গুরু দায়িত্ব ১২০ হিজরীতে ইমামে আজম আবু হানীফা রাঃ এর কাঁধে চলে আসে। ইমাম আজম আবু হানীফা রাঃ হাদিসে-খেদমতের পাশাপাশি ফিকহী জ্ঞানের পিছনে মননিবেশ করেন। এক পর্যায়ে কুফা নগরীর আনাচ-কানাচে তাঁর ফিকহী পান্ডিত্বের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এতে দূরদূরান্তর থেকে অসংখ্যা ছাত্র বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে ফিকহী সংকলন এর সু-চিন্তা চলে আসে এবং ছাত্রদের মধ্যে ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ এর ফিকাহ জ্ঞান আহরণের মাত্রা বেড়ে যায়।

👉তখন আবু হানিফা রাঃ কুফা নগরীর প্রসিদ্ধ চল্লিশজন (৪০) মুজতাহিদ ফকীহ নিয়ে  ফতওয়া বোর্ড গঠন করেন। বোর্ডের গুরু দায়িত্ব  ইমামে আজম আবু হানীফা রাঃ গ্রহণ করেন। প্রতিটা নতুন ও উদ্বুদ্ধ মাস'আলা ফতওয়া বোর্ডে উঠানো হত।সেখানে চল্লিশজন মুজতাহিদ ফকীহ ইলমি আলোচনা করতেন।  সবশেষসকলের আলোচনা শেষে ইমাম আজম আবু হানীফা রাঃ সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দিতেন। আর সেখান থেকে হানাফী মাজহাবের যাত্রা সূচিত হয়। ইমামে আজম আবু হানীফা রাঃ - এর ফতওয়া বোর্ডের ৪০ জন মুজতাহিদ মুফতির নাম উল্লেখ করা হচ্ছেঃ

যাদের থেকে হানাফী মাজহাবের সূত্রায়িত হয়েছিল। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গোছানো ও সাজানোভাবে ফিকহে ইসলামী সর্বপ্রথম সংকলিত হয়।  আল্লাহ তা'লা যেন তাদের সবাইকে মুসলিম উম্মাহের পক্ষ থেকে জাযায়ে খায়র দান করুন। আমিন।

👉ইমাম ত্বহাবী রহ. আসাদ ইবনে ফুরাত হতে অবিচ্ছিন্ন সূত্রে বর্ণনা করে বলেন -  ইমামে আজম আবু হানীফা রাঃ ফিকহের সংকলনের কাজ যাদের দ্বারা সমাপ্ত করেনতাদের সংখ্যা চল্লিশজন এবং তারা হলেন -👇

১. কাযী আবু ইউসুফ

২. ইমাম মুহাম্মাদ

৩. ইমাম যুফার

৪. ওয়াকী ইবন জাররাহ

৫. ইয়াহইয়া ইববে জাকারীয়া

৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক।

৭. দাউদ ইবনে নুসাইর

৮. হাফস ইবনে গিয়াস

৯. ইউসুফ ইবনে খালিদ

১০. আফিয়া ইবনে ইয়াজিদ

১১. হিব্বান ইবনে আলী

১২. মুনদিল ইবনে আলী

১৩. আলী ইবনে মুসহীর

১৪. কাসীম ইবনে মা'আন

১৫. আসাদ ইবনে আমর

১৬. ফযল ইবনে মুসা

১৭. আলী ইবনে যারইয়ান

১৮. হিশাম ইবনে ইউসুফ

১৯ইয়াহইয়া ইবনে সাইদ আল-কাস্তান

২০. শুআইব ইবনে ইসহাক

২১. হাফস ইবনে আব্দুর রহমান

২২. হাকাম ইবনে আব্দুল্লাহ

২৩. খালিদ ইবনে সুলাইমান

২৪. আব্দুল হামিদ ইবনে আব্দুর রহমান

২৫. আবু কাসেম যাহহাক ইবনে মাখখাদ

২৬. মাক্কী ইবনে ইবরাহীম

২৭. হাম্মাদ ইবলে দালীল

২৮. আব্দুল্লাহ ইবনে ইদরীস

২৯. ফুজাইল ইবনে ইয়ায

৩০হাইসাম ইবনে বাশীর

৩১. নূহ ইবলে দাররাহ

৩২. যুহাইর ইবনে মুআবিয়া

৩৩. শরীক ইবনে আব্দুল্লাহ

৩৪. নসর ইবনে আব্দুল কারীম

৩৫. মালিক ইবলে মা'ফুল

৩৬. জাবীর ইবলে খাযিম

৩৭. জারীর ইবনে আব্দুল হামীদ

৩৮. হাসান ইবনে যিয়াদ

৩৯হাম্মাদ ইবনে আবী হানীফা

৪০. আবু ইসমাতা নূহ ইবনে মারয়াম

[ সূত্রঃ তাজকিরাতুল হুফফাজ ইমাম জাহাবী রাঃ ১/১৬৮আল-মাক্কী ১৬/১৩২মানাকিবু ইমামে আজম দ্রঃ ]

প্রিয় সত্যানুরাগী,

উপরের সবাই "খাইরে কুরুন" তথা রাসূল সাঃ এর" ভাষ্যে " উত্তম সময়কার " মুজতাহীদ মুফতিগণ। যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফিকহে হানাফীর যাত্রা শুরু হয় যারা ফিকাহ'র পাশাপাশি হাদিস শাস্ত্রেও সমান পারদর্শী ছিলেন। অতএবতারা শুধু ফিকাহ জানতেন আর হাদীস জানতেন নাএ কথা বলার মোটেও অবকাশ নাই।

২টি ভিত্তিহীন আপত্তির জবাব দিতে চাই

১. অনেকের ধারণা যেহানাফী মাজহাব মানে তাকলীদে শাখসী বা একজন ব্যক্তির অনুকরণ ধারণাটিই মোটেও সঠিক নয়। যারা এমন দাবী করেনতারা সম্পূর্ণ অজ্ঞতা কিংবা প্রতিহিংসা থেকে আপত্তি করেন। শারীয়ার ইতিহাস নিয়ে যাদের পড়াশুনা আছে তাদের মাথায় নূন্যতম এমন কোন প্রশ্ন আসবে না। ১২০ হিজরী থেকে নিয়ে ১৩০০ হিজরী পর্যন্ত হানাফী মাজহাব মোট সাতটা পর্যায়েঅসংখ্য মুজতাহিদ ফকীহ এর দ্বারা নানান সংযােজন-বিয়ােজন বা সংস্কার সাধনের মাধ্যমে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। বলাবাহুল্যএতে হানাফী মাজহাবে অনেক পূর্বের-পরের মাস'আলায় পরিবর্ধন এসেছে। শুধু তাই নয় - কেবল প্রথম পর্যায়েঅর্থাৎ ইমামে আজম আবু হানিফা রাঃ - এর জীবদ্দশায় হানাফী ফিকহ সংকললে চল্লিশ জনের একটা বোর্ড গঠন করেন।  প্রতিটা নতুন মাস'আলা এই বোর্ডে উত্থাপন করা হতো। চল্লিশজন মুজতাহিদ মুফতির আলোচনা-পর্যালোচনার পরে সার্বজনীন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। আর এভাবে হানাফী মাজহাবের মাস'আলা সংকলন এর কাজ শুরু হয়।

এবার বুদ্ধিমান কোন পাঠক কি মনে করবেন যেহানাফী মাজহাব মানে তাকলীদ শাখশী তথা কেবল এক ব্যক্তির অনুসরণ? নাকি বিরাট একটা মুজতাহীদ জামাতের অনুসরণ?

এ তো গেলো প্রথম পর্যায়ের কথাদ্বিতীয় থেকে নিয়ে সপ্তম পর্যায়ে রয়ে গেলো আরো কতো শত শত মুজতাহিদ মুফতির সংস্কার কাজ।  এসব থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায় যেহানাফী মাজহাব নিদিষ্ট কোন এক ব্যক্তির অনুসরণ করে না। বরং হাজার হাজার মুজতাহিদ মুফতির সমন্বিত ইজতেহাদ বা গবেষণাকে অনুকরণ করে। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে - আবু হানীফার নামে মাজহাব হলো কেন?  এটা তো কমন কথা। সর্বপ্রথম উনার মাধ্যমে ফিকহী সংকলন শুরু হয়েছে। তাই উনার সংকলিত ফিকাহ'কে প্রথমে " ফিকহে হানাফী " বলা হতো।পরবর্তীতে পর্যাক্রমে " ফিকহে হানাফী " থেকে " হানাফী মাজহাবে " রুপান্তরিত হয়ে যায়। আর উভয়টার মাঝে অর্থগত বা উদ্দেশ্যগত কোন ব্যবধান না থাকায় কেউ এটা নিয়ে আপত্তি তুলে নাই

সর্বশেষআরেকটা আপত্তির জবাব দিয়ে শেষ করছি - অনেকের দাবী যে,  ইমাম জুফার - ইমাম মুহাম্মাদ কিংবা ইমাম ইউসুফ রাঃ অসংখ্য মাস'আলায় ইমামে আজমের বিরুধীতা করেছেন তো আমরা করলে কি? তার উত্তর দু'টা দিক দিয়ে বলবো।

১. উনারা সবাই মুজতাহিদ মুতলাক ছিলেন। তারা যে কোন মাস'লায় কারো সাথে দ্বিমত পোষণ করার শারঈ অনুমোদন রাখেন। তবে ধার্তব্য যেউনারা মুজতাহিদ হওয়ার পরেও দিনশেষ অধিকাংশ মাস'আলায় ইমামে আজমের তাকলীদ করেছেন।

২. উনারা সবাই মাজহাবের ফুরুই মাস'লায় ইখতেলাফ করেছেন। উসূলি মাস'আলায় নয়। আর শাখাগত মাস'লায় বৈপরীত্য থাকা আহামরি কিছু না। আজও অবধি অনেক শাখাগত মাস'আলায় হানাফী আলেমদের মধ্যকার পারস্পরিক বিরোধ আছে। এটা কোন উল্লেখ্য বিষয়ই না।

লেখকের পরিচয়

আব্দুল কারীম আল-মাদানী

ইসলামীক শারীয়া (ফিকহ) বিভাগ

মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সৌদি আরব

 

মাজহাব ও তাকলীদ সমন্ধে আরো জানতে পড়ুন।

১। মাজহাব কী ও কেন? (মুফতী তাকী উসমানী)

২। মাজহাব ও তাকলীদ (মুফতী মানসুরুল হক)

৩। হাদিয়া আহলুল হাদিস (মুফতী মানসুরুল হক)

৪। তুহফাতুল হাদিস ( মুফতী মানসুরুল হক)

৫। মাজহাব ভিত্তিক পর্যালোচনা ১ ও ২ (আব্দুল কারীম আল-মাদানী)

বইগুলো ফ্রিতে পড়তে পারেন,

(ইসলামী জিন্দেগী) এপ ডাউনলোড করে,  (কিতাব সমূহ) অপশনে গিয়ে ফ্রিতেই অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ বই পড়তে পারবেন। যেমন, কিতাব সমূহ অপশনে গিয়ে একটু নিচে নামলে অফলাইনে পড়তে পারবেন (২৩ ও ৪) নাম্বার বইগুলো।

👉তাকী উসমানীর বইগুলো পড়তে হলে,

ঠিক একই যায়গায় গিয়ে উপরের বাম পাশে লেখা থাকবে (সকল লেখক/বক্তা) এখানে ক্লিক করলে অনেকের নাম আসবে তার মধ্যে উপরের দিকেই তাকী উসমানী সাহেবের নামতাতে ক্লিক করে রিফ্রেশ/উপরের থেকে নিচে টানলে তার বই গুলো চলে আসবে এবং মাজহাবের বইটি পড়তে নিচের দিকে গেলেই পাবেন।

 লিখকঃ আবদুল করীম মাদানী