Showing posts with label History. Show all posts
Showing posts with label History. Show all posts

প্রিয়নবী (সাঃ) এর বয়স ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত জীবনী


মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত দিন।

আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ভালোবেসে, পছন্দ করে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হিসেবে দুনিয়াতে তার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কালের বিবর্তনে মানুষ হেদায়েতের পথ ভুলে শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পশুত্বের পর্যায়ে নেমে আসে। মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও পণ্য সামগ্রীর মত বাজারে বিক্রি হতো।  নারী জাতি ছিল বিনোদনের উপকরণ। দিন রাতে সমান ভাবে চলতো হত্যা, লুণ্ঠন, নারী নির্যাতন ও মদ্যপান। বসতো  জুয়ার আসর। সামান্য বিষয় নিয়ে দীর্ঘকালব্যাপী লড়াই শুরু হতো।

এ অন্ধকার পুরীতে আলো জ্বালাতে, অশান্তির দাবানল নিভিয়ে দিতে, মানুষকে মানুষের মর্যাদার আসন দিতে, নারীজাতিকে সম্মানের আসনে বসাতে পৃথিবীতে আগমন করেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহামানব রহমাতুল্লিল আলামিন।

জন্ম

৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে ১২-ই রবিউল আউয়াল মাসে রোজ সোমবার কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় বিশ্ব শান্তির মহানায়ক সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক সমগ্র মানব জাতির নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমেনা

মহানবী (সাঃ) এর ৬৩ বছর জীবনের বিভিন্ন পরিক্রমা

১ থেকে ৫ বছর বয়স

জন্মের প্রথম পাঁচ দিন নিজ মাতার দুগ্ধপান এবং পরবর্তী দুই বছর বয়স পর্যন্ত আরবীয় বেদুইন মহিলা বিবি হালিমার একটি স্তন থেকে দুধ পান করতেন, অন্যটি তার দুধ ভাই আব্দুল্লাহর জন্য রেখে দিতেন। এতে শিশু মুহাম্মদ (সাঃ) এর চরিত্রে ইনসাফ ও ত্যাগের একটি অনুপম দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে। বিবি হাওয়ার গৃহে প্রথম পাঁচটি বছর তিনি লালিত পালিত হয়।

৬ষ্ঠ বছর বয়স

নানার বাড়ি মদিনা থেকে ফেরার পথে মাতার ইন্তেকাল হওয়ার মাধ্যমে তিনি এতিম হলেন।

৬ থেকে ৮ বছর বয়স

৬ থেকে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত দাদা আবদুল মুত্তালিব এর ইন্তেকাল এবং তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হতে থাকেন। তিনি চাচার অস্বচ্ছল পরিবারে মেষ-ছাগল চরাতেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সাহায্য করতেন।

১২  বছর বয়স

চাচার সাথে সিরিয়াতে বাণিজ্যের জন্য গমন করেন এবং শত্রুরা তাঁর অনিষ্ট করতে পারেন পাদ্রী বুহাইরার এমন কথা মতে তিনি মক্কায় ফেরত আসলেন

১৪ বছর বয়সঃ

১৪ বছর বয়সে তিনি ওকাজ মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী ফিজার যুদ্ধে (অন্যায় সমর) জানমালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি অবলোকন করেন এবং হিলফুল ফুজুল (শান্তি সংঘ) প্রতিষ্ঠা করেন। যার উদ্দেশ্য ছিলঃ

(ক) আর্তমানবতার সেবা

(খ) অত্যাচারীকে প্রতিরোধ

(গ) অত্যাচারিতকে সাহায্য করা

(ঘ) সমাজে শান্তিওসম্প্রীতি বজায় রাখা

এই শান্তি মিশনে সফল হয়ে তিনি কৈশোর বয়সে আলামিন উপাধি লাভ করেন।

২৪ বছর বয়স

হযরত খাদিজা (রাঃ) এর  ব্যবসা-বাণিজ্য দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেন এতে খাদিজা তাঁর প্রতি মুগ্ধ হন।

২৫ বছর বয়স

২৫ বছর বয়সে তিনি হযরত খাদিজা (রাঃ) এর বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন এবং চাচার সহায়তায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন খাদিজার (রাঃ) বয়স ৪০ বছর ছিল।

২৬ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়স

কাবাঘর পূর্ননির্মাণ, হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করে সঙ্ঘাতময় অবস্থা থেকে মক্কাবাসীকে মুক্তিদান ও অন্যান্য সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করেন।

৩৬ থেকে ৪০ বছর বয়স

সমাজ চিন্তা ও জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে হেরা পর্বতে ধ্যান মগ্ন থাকা অবস্থায় ওহী প্রাপ্ত হন। সূরা আলাকের ১ থেকে ৫ আয়াত নাযিল হয়।

৪১ থেকে ৪৫ বছর বয়স

গোপনে ইসলাম প্রচার। হযরত খাদিজা (রাঃ), হযরত আবুবকর (রাঃ) এবং হযরত আলী (রাঃ) সহ ৪০ জনের ইসলাম গ্রহণ।

৪৬ থেকে ৪৯ বছর বয়স

প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার। হযরত হামজা (রাঃ) ও হযরতওমর (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণ।

৫০ বছর বয়স

মহানবী (সাঃ) এর শোকের বছর। চাচা আবু তালিব ও খাদিজার (রাঃ) ইন্তেকাল।

৫১ বছর বয়স

মহানবীর সাল্লাহু সালাম তায়েফ গমন করেন এবং নির্যাতনের শিকার হন।

৫২ বছর বয়স

মহানবী (সাঃ) কে সান্তনা দেওয়া এবং সাক্ষাত করে ধন্য করার জন্য আল্লাহ তাঁকে মিরাজেগমন করান এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ হয়।

৫৩ থেকে ৫৪ বছর বয়স

কুরাইশদের সীমাহীন অত্যাচারে মদিনা হিজরত ও ৪৭টি ধারা সম্বলিত মদিনা সনদ। প্রথম লিখিত সংবিধান যাতে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শান্তি সম্প্রীতি বিধান রয়েছে। যুদ্ধের আয়াত নাযিল। প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি।

৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়স

বদর, উহুদ, খন্দক, খয়বর, হুদায়বিয়ার সন্ধি সহ বিভিন্ন যুদ্ধ পরিচালনা।উহুদে দানদান মোবারক শহীদ হওয়া।

৬১ থেকে ৬২ বছর বয়স

১০ হাজার সাহাবী নিয়ে বিনাবাধায় মক্কা বিজয় করেন। কাবা ঘর থেকে ৩৬০ টি মূর্তি উচ্ছেদ করেন এবং তখন হতে হজ্জ্ব ফরজ হয়।

৬৩ বছর বয়স

১ লক্ষ ১৪ হাজার সাহাবী নিয়ে বিদায় হজ সম্পন্ন করে মদিনায় ফিরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে জ্বর ও মাথা ব্যাথা বৃদ্ধি পায়। তার ১৪ দিন পর ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে ইন্তেকাল করেন।

রাসুল এর সন্তানাদি

তিনি তিন পুত্র ও চার কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

যুদ্ধে অংশগ্রহণ

তিনি ছোট-বড় প্রায় ৮৫ টি যুদ্ধ পরিচালনা করেন। প্রায় মতান্তরে ১৯ টি যুদ্ধের সেনাপতি দায়িত্ব পালন করেন।

উপসংহার

কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা তাকে রহমাতুল্লিল আলামিন (সমগ্র জগতের রহমত), সাইয়েদুল মুরসালিন (সমস্ত নবীদের সরদার), উসওয়াতুন হাসানাহ (উত্তম আদর্শ ও চরিত্রের অধিকারী) বলে উল্লেখ করেছেন। দুনিয়াতে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সিরাজুম মুনিরা (হেদায়েতের সুস্পষ্ট প্রদীপ) হিসেবে।

তিনি সমাজ থেকে অন্যায়,অনাচার, অসত্য, অন্ধকার দূরীভূত করে সত্য-সাম্য ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়ে গেছেন মানবজাতির জন্য। তার ৬৩ বছরে সংক্ষিপ্ত জীবনের অনুপম শিক্ষা ও জীবন আদর্শ আমাদের ধর্মীয়, পার্থিব ও সামরিক জীবনে অনুসরণের মাধ্যমে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর (সাঃ)শিক্ষায় উদ্দীপ্ত হয়ে পরবর্তী দিনগুলো অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন।

পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন 

আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে | একাত্তরের চেপে রাখা ইতিহাস | শাকের হোসাইন শিবলি | free pdf Download

আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে। লেখকঃ শাকের হোসাইন শিবলী। প্রকাশনীঃ আল-এছহাক প্রকাশনী।
আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে। লেখকঃ শাকের হোসাইন শিবলী। প্রকাশনীঃ আল-এছহাক প্রকাশনী

মুক্তিযুদ্ধকালীন আলেমদের ভূমিকা কি ছিল তা নিয়ে বিস্তর লেখা। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে ইসলাম কে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি দেখার একটি জোর প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু আসলেই কি বাংলাদেশের আলেম সমাজ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলেন? নাকি তাদের কে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে? এই চরম সত্যকে উপজীব্য করেই বইটি এগিয়েছে। বইটিতে এক ঐতিহাসিক সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে আলেমদের ভূমিকা। প্রসঙ্গত কিছু নামধারী ইতিহাসবিদ এর কাহিনিও উঠে এসেছে। যারা ইতিহাস কে নিজের বাপদাদার সম্পদ মনে করে থাকে। আসলে বাঙালি দের এই বিষয়টি জানা উচিত।

বই থেকে নেওয়া,

একাত্তরের দিনগুলোতে তিনি পুরো উত্তর বঙ্গ ঘুরে বেড়ান। বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে যুদ্ধের প্রতি উৎসাহিত করেন। বাড়ি বাড়ি যান। মিটিং করেন। বুঝান। দেশ স্বাধীন করতে হবে। অস্ত্র ধরতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। তার সে আহ্বানে একটা সাড়া পড়ে যায় উত্তরবঙ্গে। প্রচুর লোকের সমাগম ঘটতে থাকে প্রতিটি মিটিংয়ে। আ,লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদও উপস্থিত ছিলেন পাবনার বেড়ায় আয়োজিত এক মিটিং-এ। তিনি জনগণকে যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করে ট্রেনিং-এর জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতেন। তাই ধীরে ধীরে পাকহানাদারদের কাছে মাওলানা তর্কবাগীশ একটি মূর্তিমান আতংক হয়ে ওঠেন। পাকসৈন্য হন্য হয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। বাড়িতে হানা দেয়। তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে ছাই বানিয়ে ফেলে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তখন তার দু'শ বছরের পুরনো বাড়ির সঙ্গে ইতিহাসের শত শত উপাদান তারা জ্বালিয়ে দেয়। ২৫ খণ্ডের একটি ইসলামের ইতিহাস ছিল। যে বইটি লিখেছিলেন তর্কবাগীশের দাদা নিজে। সংগ্রহে থাকা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার আল-কোরআন। মাওলানা তর্কবাগীশের অবস্থান একবার আর্মিরা জেনে ফেলে। তিনি চলনবিলে আছেন। সঙ্গে তার মেজ ছেলে হাসু। আর্মিরা সংবাদ পাওয়া মাত্র তাদেরকে ঘিরে ফেলে। শ'য়ে শ'য়ে আর্মি। হাসু যখন আর্মিদের উপস্থিতি টের পেলেন চুপি চুপি অস্ত্রের ব্যাগটা এক বাড়ির মুরগির খোয়াড়ে লুকিয়ে ফেলেন। তিনি নিজেও আত্মগোপন করেন এক জঙ্গলে। আর্মিরা আস্তে আস্তে মাওলানা তর্কবাগীশের কাছাকাছি চলে আসে। আর্মি অফিসার তর্কবাগীশকে দেখেই ঘাবড়ে যায় । বেশ উচা, লম্বা, স্বাস্থ্যবান। মুখ ভরা সফেদ চাপদাড়ি, ফর্সা-দীপ্তিময় উজ্জ্বল চেহারা দেখে মনে হয় ফেরেশতা। আর্মি অফিসার যখন তার পরিচয় জানল, তিনি পাকিস্তান মাখাদা শরীফের পীর সাহেবের আত্মীয়, পীর ভাই। আরো বেশি দুর্বল হয়ে গেল। বলল, হুজুর আপনার জন্য আমরা কী করতে পারি? হেলিকপ্টার আনি, আপনাকে বাড়িতে বা শহরে পৌছে দেই? মাওলানা তর্কবাগীশ বললেন- না, কিছু লাগবে না আমার। আমি চাই, তোমরা এলাকা ছেড়ে চলে যাও, এটাই সবচেয়ে বড় খেদমত হবে।

মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ
মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ

একাত্তরে মাওলানা তর্কবাগীশের গ্রামের বাড়িসহ ঢাকার ৩০ বনগ্রাম লেনের বাড়িটিও ধ্বংস হয় পাকিস্তানিদের হাতে। স্বাধীনতার পর অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম তর্কবাগীশকে বলেন, 'আপনার দু'টি বাড়িই তো শেষ হয়ে গেছে, কী আর করা বঙ্গভবনে উঠুন পরিবার নিয়ে। তখন জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বঙ্গভবনেই অবস্থান করেন মাওলানা তর্কবাগীশ। পরবর্তীতে এমপি'র বেতন দিয়ে গ্রাম লেনের বাড়িটি মেরামত করে নিজ বাড়িতে ওঠেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পরিষদের তিনি প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। '৭৫-এ বাকশাল গঠনের মাধ্যমে শেখ মুজিব এদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে। শেখ মুজিবের এ প্রদক্ষেপ ছিল জাতির জন্য এক বেদনার কারণ। মাওলানা তর্কবাগীশ বাকশালের ঘোর বিরোধিতা করেন। এতে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। পরে '৭৬-এর অক্টোবরে তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় গণ-আজাদী লীগ' । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দলেরই সভাপতি ছিলেন। শাসকশ্রেণীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন সব সময়ই। সংকোচনহীন সত্য বলতেন। দেশকে ভালোবাসতেন, তার ভালোবাসায় কোনো খাদ ছিল না। আজকাল যে বড়ই অভাব একজন নিখাদ দেশপ্রেমিকের। মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট পরপারে পারি জমান।

(আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে। পৃষ্ঠা ১২৩-১২৪)

বইয়ের পেছনের কথা,

শাকের হোসাইন শিবলি মূলত ফিচার সাংবাদিক। দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে কাজ করতে গিয়ে আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে' শিরোনামে লেখেন এক অসাধারণ ফিচার। চারদিক থেকে প্রশংসা আসতে থাকে। এরপর এরকমই আরেকটি লেখা তৈরি করেন। কিন্তু দলীয়ভাবে অন্ধ কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি সুদৃষ্টিতে নেয়নি। লেখককে ডেকে নিয়ে বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করেন- আলেম মুক্তিযোদ্ধা আবার কী জিনিস? এ অপরাধে তার চাকরিও খেয়ে ফেলেন। লেখকের ভেতর জেদ চেপে বসে, এর শেষ তিনি দেখে নেবেন। এরপর তিনি দৈনিকগুলোতে আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে টাইটেল করে বিজ্ঞাপন দেন। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা যোগাযোগ করতে থাকেন তার সঙ্গে। লেখক টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ঘুরে ঘুরে সেসব মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাপ্রেমীকে খুঁজে বের করেছেন, ইতিপূর্বে যাদের কথা কোনো মাধ্যমে উঠে আসেনি। আসতে দেয়া হয়নি। আবার মওলানা ভাসানী ও তর্কবাগীশের মতো জাতীয় নেতাদের চেপে যাওয়া ইতিহাসকেও তুলে এনেছেন খুবই বিশ্বস্ত অবয়বে। মোটকথা, কালের খড়স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন যারা, শিকলবন্দি হতে চলেছিল যাদের অবদান, স্বীকৃতি; তাদের অঙ্কুর থেকে বের করে এনে পাদপ্রদীপের আলোয় প্রজ্বলিত করা হয়েছে এ গ্রন্থে। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সমৃদ্ধ ইতিহাস রচনায় এ গ্রন্থ অসামান্য অবদান রাখবে একথা বলা যায় নির্দ্বিধায়।

বই সম্পর্কে

নাম

আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে

লেখক

শাকের হোসাইন শিবলি

প্রকাশনী

আল-এছহাক প্রকাশনী

ISBN

9847009400056

ভাষা

বাংলা

অনলাইনে কিনুন

রকমারী | ইসলামী বই | রুহামা শপ | ইনসাফী 

...

একাত্তরের চেপে রাখা ইতিহাস আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে pdf download  আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে, একাত্তরের চেপে রাখা ইতিহাস Pdf Download আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে. লেখকঃ শাকের হোসাইন শিবলি. প্রকাশনীঃ আল-এছহাক প্রকাশনী, alem muktijoddhar khoje, একুশের মাওলানারা, শাকের হোসাইন শিবলি, Ekattorer Birjod ha: Khetab Pawa Muktijoddhader Birattagatha

...

পিডিএফ ডাউনলোড

অনলাইনে পড়ুন


আরো পড়ুন

স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান

ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ফিকহী বোর্ড ও আবু হানীফা রাহঃ এর ফতোয়া বোর্ডের সদস্য-তালিকা

আবু হানীফা রাহঃ এর ফতোয়া বোর্ডের সদস্য-তালিকা
আবু হানীফা রাহঃ এর ফতোয়া বোর্ডের সদস্য-তালিকা

ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ফতোয়া বোর্ড গঠন করেন ইমামে আজম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ। নতুন কোন মাস'আলা-জিজ্ঞাসা সামনে এলে এই মাস'আলাটি ফতোয়া বোর্ডে উপস্থাপন করা হতো। ফতোয়া বোর্ডের সদস্য ছিলেন, মোট ৪০ জন ইমাম, যারা ফিকাহ শাস্ত্রে মুজতাহিদ ছিলেন!

ফতোয়া বোর্ডের ৪০ জন সদস্য মাস'আলাটি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করতেন। সর্বশেষ, ইমামে আজম আবু হানীফা রাহঃ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতেন এবং তিঁনি তার ছাত্রদেরকে লিপিবদ্ধ করে রাখতে আদেশ করতেন। 

এভাবে হানাফী মাজহাবের প্রতিটা মাস'আলা ইমামে আজম ও তাঁর মহামান্য ফতোয়া বোর্ডের যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে, সে'সব মাস'আলাকে ইমামে আজম রাহঃ এর নিকটতম ও ঘনিষ্ঠ ছাত্র ইমামে মোহাম্মাদ বিন হাসান আশ-শায়বানী রাহিমাহুল্লাহ  " জাহিরুর রেওয়ায়াহ " নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। যা মোট ছ'টি কিতাবে সন্নিবেশিত ছিলো।

সেগুলা হচ্ছে  -

১. মাবসূত

২. জিয়াদাত

৩. জামিউস সাগীর

৪. জামিউল কাবীর

৫. সিয়ারে সাগীর

৬. সিয়ারে কাবীর

এই ছ'টি কিতাব থেকে মূলত হানাফী মাজহাবের বিস্তার লাভ করে এবং এরই মাধ্যমে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ১৩০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হানাফী মাজহাব,আজও অক্ষুন্ন ও সুরক্ষিত রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ ! আসুন, এক নজরে জেনে নিই

ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত ফিকহী বোর্ডের সৌভাগ্যবান সেই চল্লিশজন সদস্য কারা ছিলেন   -

ফিকহী বোর্ডের আমির ছিলেন ইমামে আজম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ   -

বোর্ডের সদস্যবৃন্দ  -

 1- الإمام زفر بن هذيل المتوفى سنة ( 158) هــ

 2- الإمام مالك بن مغول المتوفى سنة ( 159) هــ

 3-الإمام داؤد الطائي المتوفى سنة ( 160) هــ

 4-الإمام مندل بن علي المتوفى سنة ( 168) هـ

 5- الإمام نضر بن عبد الكريم المتوفى سنة ( 169)هـ

 6- عمرو بن ميمون المتوفى سنة ( 171)هـ

 7- الإمام حبان بن علي المتوفى سنة ( 172)هـ

 8- الإمام أبو عصمة المتوفى سنة ( 173) هـ

 9- الإمام زهير بن معاوية المتوفى سنة ( 173)هـ

 10- الإمام قاسم بن معين المتوفى سنة ( 175)هـ

 11- الإمام حماد بن أبي حنيفة المتوفى سنة ( 176) هـ

 12-الإمام هياج بن بسطام المتوفى سنة ( 177)هـ

 13- الإمام شريك بن عبد الله المتوفى سنة ( 178)هـ

 14-الإمام عافية بن يزيد المتوفى سنة ( 180)هـ

 15- الإمام عبد الله بن المبارك المتوفى سنة ( 181)هـ

 16- الإمام أبو يوسف القاضي المتوفى سنة ( 182)هـ

 17- الإمام  محمد بن نوح المتوفى سنة ( 182)هـ

 18 الإمام هشيم بن بشر السلمي المتوفى سنة ( 183)هـ

 19- الإمام أبو سعيد يحيى بن كريا المتوفى سنة (184)هـ

 20 الإمام فضيل بن عياض المتوفى سنة ( 187)هـ

 21- الإمام أسد بن عمرو المتوفى سنة ( 188)هـ

 22- الإمام محمد بن الحسن الشيباني المتوفى ( 189)هـ

 23- الإمام علي بن المسهر المتوفى سنة ( 189)هـ

 24-الإمام يوسف بن خالد المتوفى سنة ( 189)هـ

 25- الإمام عبد الله بن ادريس المتوفى سنة ( 192)هـ

 26 - الإمام فضل بن موسى المتوفى سنة ( 192)هـ

 27- الإمام علي بن طبيان المتوفى سنة ( 192)هـ

 28- الإمام حفص بن غياث المتوى سنة ( 194)هـ

 29 - الإمام وكيع بن الجراح المتوفى سنة ( 197)هـ

 30 - الإمام هشام بن يوسف المتوفى سنة ( 197)هـ

 31- الإمام يحيى بن سعيد القطان المتوفى سنة ( 198)هـ

 32- الإمام شعيب بن إسحق المتوفى سنة ( 198)هـ

 33- الإمام أبو حفص بن عبد الرحمن المتوفى سنة (199)هـ

 34- الإمام أبو مطيع البلخي المتوفى سنة (199)هـ

 35- الإمام خالد بن سلمان المتوفى سنة ( 199)هـ

 36- الإمام عبد الحميد المتوفى سنة ( 203)هـ

 37 - الإمام حسن بن زياد اللؤلؤي المتوفى سنة ( 204)هـ

 38- الإمام أبو عاصم النبيل المتوفى سنة ( 212) هـ

 39- الإمام مكي بن إبراهيم المتوفى سنة (215)هـ

 40- الإمام حماد بن دليل. (217)

তথ্যসূত্র  -

الخيرات الحسان (ص: 72)

 ومناقب الموفق (2/ 133)

ومناقب الكردري (1/ 49)

 والجواهر المضيئة (1/ 140)

 والفوائد البهية (ص: 295)

  وهداية الساري (1/ 549)

আব্দুল কারীম আল-মাদানী

কুরআন সুন্নাহর আলোকে নবী রাসূলগণের জীবিকা কি ছিল? What was the livelihood of the prophets?

নবী রাসূলগণের জীবিকা কি ছিল? What was the livelihood of the prophets?
নবী রাসূলগণের জীবিকা কি ছিল?

নবী রাসূলগণের জীবিকা

নবী-রাসূলদের জীবিকা সম্পর্কে প্রিয়নবী (সাঃ) বলেন, 

'আল্লাহ তাআলা এমন কোন নবী প্রেরণ করেননিযিনি বকরী চরাননি। তখন তাঁর ছাহাবীগণ বলেনআপনিওতিনি বলেনহ্যাঁআমি কয়েক কীরাতের (মুদ্রা) বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরাতাম। (সহীহ্ বুখারী হা/২২৬২)

হযরত আদম (আঃ)

মানব জাতির আদি পিতা আদম (আঃ) ছিলেন একজন কৃষক। যিনি জমিতে ফসল ফলাতেন এবং নিজ হাতে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরী করতেন। আর এ কাজে তাঁর স্ত্রীও সাহায্য করতেন। তিনি একজন রাজ মিস্ত্রীও ছিলেন।

(ইত্তিকাউল হারাম ওয়াশ শুবহাত ফি তালবির রিযক, পৃঃ ৬৪)