আসসালামুআলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহ, পবিত্র মাহে রমজানের
প্রথম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে কুরআন মাজিদের দ্বিতীয় সূরা, সুরা বাকারার প্রথম আয়াত থেকে ২০৩ নং আয়াত পর্যন্ত। তেলাওয়াতের
অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত দেয়া হল,,,
১। কুরআন নির্ভুলতার চ্যালেঞ্জ
ذٰلِکَ
الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚ فِیۡہِ ۚ ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের
জন্য,
(সূরাহ বাক্বারা ২:২)
২। মুত্তাকির পরিচয়
الَّذِیۡنَ
یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَیُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ۙ
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা
করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে (সূরাহ বাক্বারা
২:৩)
وَالَّذِیۡنَ
یُؤۡمِنُوۡنَ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَمَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ وَبِالۡاٰخِرَۃِ
ہُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ ؕ
এবং যারা বিশ্বাস
স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের
উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস
করে। (সূরাহ বাক্বারা ২:৪)
৩। মুত্তাকির পুরষ্কার
اُولٰٓئِکَ
عَلٰی ہُدًی مِّنۡ رَّبِّہِمۡ ٭ وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ
তারাই নিজেদের পালনকর্তার
পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ
সফলকাম। (সূরাহ বাক্বারা ২:৪)
৪। আল্লাহর ইবাদতের আদেশ
یٰۤاَیُّہَا
النَّاسُ اعۡبُدُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ وَالَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ
تَتَّقُوۡنَ ۙ
হে মানব সমাজ! তোমরা
তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে
এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারবে। (সূরাহ বাক্বারা
২:২১)
৫। কুরআন রচনার চ্যালেঞ্জ
وَاِنۡ
کُنۡتُمۡ فِیۡ رَیۡبٍ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا فَاۡتُوۡا بِسُوۡرَۃٍ مِّنۡ
مِّثۡلِہٖ ۪ وَادۡعُوۡا شُہَدَآءَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
এতদসম্পর্কে যদি
তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে
সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী
হয়ে থাকো। (সূরাহ বাক্বারা ২:২৩)
৬। অবিশ্বাসীদের প্রতি
کَیۡفَ
تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَکُنۡتُمۡ اَمۡوَاتًا فَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ
ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ
কেমন করে তোমরা
আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর
তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। (সূরাহ বাক্বারা ২:২৮)
৭। অবিশ্বাসীদের পরিনাম
وَالَّذِیۡنَ
کَفَرُوۡا وَکَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا
خٰلِدُوۡنَ
আর যে লোক তা অস্বীকার
করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে। (সূরাহ বাক্বারা ২:২৯)
৮। জামা'আতে সালাত এর আদেশ
وَاَقِیۡمُوا
الصَّلٰوۃَ وَاٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। (সূরাহ বাক্বারা ২:৪৩)
৯। আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করার নিয়ম
وَاسۡتَعِیۡنُوۡا
بِالصَّبۡرِ وَالصَّلٰوۃِ ؕ وَاِنَّہَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ ۙ
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য
তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। (সূরাহ
বাক্বারা ২:৪৫)
১০। বিশ্বাসিদের পুরষ্কার
وَالَّذِیۡنَ
اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا
خٰلِدُوۡنَ
পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে। (সূরাহ
বাক্বারা ২:৮২)
১১। জিকির এবং কৃতজ্ঞতা
فَاذۡکُرُوۡنِیۡۤ
اَذۡکُرۡکُمۡ وَاشۡکُرُوۡا لِیۡ وَلَا تَکۡفُرُوۡنِ
সুতরাং তোমরা আমাকে
স্মরণ কর,
আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (সূরাহ বাক্বারা ২:১৫২)
১২। ধৈর্যশীল হওয়ার আদেশ
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَالصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ
الصّٰبِرِیۡنَ
হে মুমিন গন! তোমরা
ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে
রয়েছেন। (সূরাহ বাক্বারা ২:১৫৩)
১৩। সিয়ামের গুরুত্ব
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ
مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ۙ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের
উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল
তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী
অর্জন করতে পার। (সূরাহ বাক্বারা ২:১৮৩)
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।