ষষ্ঠ তারাবির উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াত |
পবিত্র মাহে রমজানের ৬ষ্ঠ তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সুরা
আ'রাফ
এর ১২ নং আয়াত থেকে সুরা আনফাল এর ৪০ নং আয়াত পর্যন্ত। অর্থাৎ অষ্টম পারার ১১তম
পৃষ্ঠা থেকে নবম পারার শেষ পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি
আয়াত
১।
ইবলিসের অহংকার
قَالَ مَا مَنَعَکَ
اَلَّا تَسۡجُدَ اِذۡ اَمَرۡتُکَ ؕ قَالَ اَنَا خَیۡرٌ مِّنۡہُ ۚ خَلَقۡتَنِیۡ
مِنۡ نَّارٍ وَّخَلَقۡتَہٗ مِنۡ طِیۡنٍ
আল্লাহ বললেনঃ আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি,
তখন তোকে কিসে
সেজদা করতে বারণ করল? সে বললঃ আমি তার চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা
সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা। (সূরা
আ'রাফ ৭:১২)
২।
হযরত আদম এবং হাওয়া (আঃ) এর দোয়া
قَالَا
رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَاِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَتَرۡحَمۡنَا
لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
তারা উভয়ে বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি
জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন,
তবে আমরা অবশ্যই
অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সূরা আ'রাফ
৭:২৩)
৩।
তাক্বওয়ার পোশাক
یٰبَنِیۡۤ
اٰدَمَ قَدۡ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمۡ لِبَاسًا یُّوَارِیۡ سَوۡاٰتِکُمۡ وَرِیۡشًا ؕ
وَلِبَاسُ التَّقۡوٰی ۙ ذٰلِکَ خَیۡرٌ ؕ ذٰلِکَ مِنۡ اٰیٰتِ اللّٰہِ لَعَلَّہُمۡ
یَذَّکَّرُوۡنَ
হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি,
যা তোমাদের
লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক,
এটি সর্বোত্তম।
এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সূরা
আ'রাফ ৭:২৬)
৪।
উত্তম পোশাক পরে সালাত আদায়ের নির্দেশ
یٰبَنِیۡۤ
اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّکُلُوۡا وَاشۡرَبُوۡا وَلَا
تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান
করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ
করেন না। (সূরা আ'রাফ
৭:৩১)
৫।
অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম
قُلۡ
اِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّیَ الۡفَوَاحِشَ مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَمَا بَطَنَ
وَالۡاِثۡمَ وَالۡبَغۡیَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَاَنۡ تُشۡرِکُوۡا بِاللّٰہِ مَا لَمۡ
یُنَزِّلۡ بِہٖ سُلۡطٰنًا وَّاَنۡ تَقُوۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ مَا لَا
تَعۡلَمُوۡنَ
আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ
হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ,
অন্যায়-অত্যাচার
আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, তিনি যার কোন,
সনদ অবতীর্ণ
করেননি এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা আরোপ করা, যা তোমরা জান না। (সূরা
আ'রাফ ৭:৩২)
৬।
জান্নাতবাসী আর জাহান্নামবাসীর কথোপকথন
وَنَادٰۤی
اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ اَصۡحٰبَ النَّارِ اَنۡ قَدۡ وَجَدۡنَا مَا وَعَدَنَا
رَبُّنَا حَقًّا فَہَلۡ وَجَدۡتُّمۡ مَّا وَعَدَ رَبُّکُمۡ حَقًّا ؕ قَالُوۡا نَعَمۡ ۚ
فَاَذَّنَ مُؤَذِّنٌۢ بَیۡنَہُمۡ اَنۡ لَّعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ ۙ
জান্নাতীরা দোযখীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের সাথে আমাদের
প্রতিপালক যে ওয়াদা করেছিলেন, তা আমরা সত্য পেয়েছি? অতএব, তোমরাও কি তোমাদের প্রতিপালকের ওয়াদা
সত্য পেয়েছ? তারা বলবেঃ হ্যাঁ। অতঃপর একজন ঘোষক উভয়ের মাঝখানে ঘোষণা
করবেঃ আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের উপর। (সূরা
আ'রাফ ৭:৪৪)
৬।
আরাফের অধিবাসী
وَبَیۡنَہُمَا
حِجَابٌ ۚ وَعَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰہُمۡ ۚ
وَنَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡہَا
وَہُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ
উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর থাকবে এবং আরাফের উপরে অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনে নেবে। তারা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করবে না, কিন্তু প্রবেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। (সূরা আল আ'রাফ ৭:৪৬)
৭।
জাহান্নামীরা জান্নাতিদের নিকট খাবার চাইবে
وَنَادٰۤی
اَصۡحٰبُ النَّارِ اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ اَفِیۡضُوۡا عَلَیۡنَا مِنَ الۡمَآءِ
اَوۡ مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ ؕ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ حَرَّمَہُمَا عَلَی
الۡکٰفِرِیۡنَ ۙ
দোযখীরা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের উপর সামান্য পানি
নিক্ষেপ কর অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছেন, তা থেকেই কিছু দাও। তারা বলবেঃ আল্লাহ এই
উভয় বস্তু কাফেরদের জন্যে নিষিদ্ধ করেছেন, (সূরা
আল আ'রাফ ৭:৫০)
৮।
আল্লাহকে ডাকার পদ্ধতি
اُدۡعُوۡا
رَبَّکُمۡ تَضَرُّعًا وَّخُفۡیَۃً ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ ۚ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক,
কাকুতি-মিনতি
করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:৫৫)
৯।
আল্লাহর রহমতে অতি নিকটে
وَلَا
تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بَعۡدَ اِصۡلَاحِہَا وَادۡعُوۡہُ خَوۡفًا وَّطَمَعًا ؕ
اِنَّ رَحۡمَتَ اللّٰہِ قَرِیۡبٌ مِّنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি
করো না। তাঁকে আহবান কর ভয় ও আশা সহকারে। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের
নিকটবর্তী। (সূরা আল আ'রাফ
৭:৫৫)
১০।
ক্বাওমে লুত
وَلُوۡطًا
اِذۡ قَالَ لِقَوۡمِہٖۤ اَتَاۡتُوۡنَ الۡفَاحِشَۃَ مَا سَبَقَکُمۡ بِہَا مِنۡ
اَحَدٍ مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ
এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ
তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ?
(সূরা আল আ'রাফ
৭:৮০)
১১।
সমকামিতা
اِنَّکُمۡ
لَتَاۡتُوۡنَ الرِّجَالَ شَہۡوَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النِّسَآءِ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ
قَوۡمٌ مُّسۡرِفُوۡنَ
তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে।
বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:৮১)
১২।
মুসা (আঃ) এর মুজিজা
فَاَلۡقٰی
عَصَاہُ فَاِذَا ہِیَ ثُعۡبَانٌ مُّبِیۡنٌ ۚۖ
তখন তিনি নিক্ষেপ করলেন নিজের লাঠিখানা এবং তাৎক্ষণাৎ তা
জলজ্যান্ত এক অজগরে রূপান্তরিত হয়ে গেল। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:১০৭)
১৩।
আল্লাহর গজব
فَاَرۡسَلۡنَا
عَلَیۡہِمُ الطُّوۡفَانَ وَالۡجَرَادَ وَالۡقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ
اٰیٰتٍ مُّفَصَّلٰتٍ ۟ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا وَکَانُوۡا قَوۡمًا مُّجۡرِمِیۡنَ
সুতরাং আমি তাদের উপর পাঠিয়ে দিলাম তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক। তারপরেও তারা গর্ব করতে থাকল। বস্তুতঃ তারা ছিল অপরাধপ্রবণ। (সূরা আল আ'রাফ ৭:১৩৩)
১৪।
ভাইয়ের জন্য কুরআনিক দু'আ
قَالَ
رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَلِاَخِیۡ وَاَدۡخِلۡنَا فِیۡ رَحۡمَتِکَ ۫ۖ وَاَنۡتَ
اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
মূসা বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার,
ক্ষমা কর আমাকে
আর আমার ভাইকে এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যে সর্বাধিক
করুণাময়। (সূরা আল আ'রাফ
৭:১৫১)
১৫।
বান্দার অঙ্গিকার
وَاِذۡ
اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُہُوۡرِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ
وَاَشۡہَدَہُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا
بَلٰی ۚۛ شَہِدۡنَا ۚۛ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا
کُنَّا عَنۡ ہٰذَا غٰفِلِیۡنَ ۙ
আর যখন তোমার পালনকর্তা বনী আদমের পৃষ্টদেশ থেকে বের করলেন
তাদের সন্তানদেরকে এবং নিজের উপর তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করালেন,
আমি কি তোমাদের
পালনকর্তা নই ? তারা বলল, অবশ্যই, আমরা অঙ্গীকার করছি। আবার না কেয়ামতের দিন বলতে শুরু কর যে,
এ বিষয়টি আমাদের
জানা ছিল না। (সূরা আল আ'রাফ
৭:১৭২)
১৬।
চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট যারা
وَلَقَدۡ
ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ
لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَلَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَلَہُمۡ اٰذَانٌ
لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ
اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের
অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে,
তার দ্বারা দেখে
না, আর
তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত;
বরং তাদের চেয়েও
নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:১৭৯)
১৭।
আল্লাহর সুন্দর নাম সমূহ
وَلِلّٰہِ
الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ
فِیۡۤ اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই
তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের
কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:১৮০)
১৮।
কেয়ামত কখন হবে
یَسۡـَٔلُوۡنَکَ
عَنِ السَّاعَۃِ اَیَّانَ مُرۡسٰہَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُہَا عِنۡدَ رَبِّیۡ ۚ
لَا یُجَلِّیۡہَا لِوَقۡتِہَاۤ اِلَّا ہُوَ ؕۘؔ ثَقُلَتۡ فِی السَّمٰوٰتِ
وَالۡاَرۡضِ ؕ لَا تَاۡتِیۡکُمۡ اِلَّا بَغۡتَۃً ؕ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ کَاَنَّکَ
حَفِیٌّ عَنۡہَا ؕ قُلۡ اِنَّمَا عِلۡمُہَا عِنۡدَ اللّٰہِ وَلٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ
لَا یَعۡلَمُوۡنَ
আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের উপর আসবে অজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। (সূরা আল আ'রাফ ৭:১৮৭)
১৯।
কুরআনিক মোটিভেশন
خُذِ
الۡعَفۡوَ وَاۡمُرۡ بِالۡعُرۡفِ وَاَعۡرِضۡ عَنِ الۡجٰہِلِیۡنَ
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল,
সৎকাজের নির্দেশ
দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:১৯৯)
২০।
কুরআন তিলাওয়াতের সময় চুপ থাকা
وَاِذَا
قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَاَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ
تُرۡحَمُوۡنَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক
যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। (সূরা
আল আ'রাফ ৭:২০৪)
২১।
তিলাওয়াত শুনলে ইমান বাড়ে
اِنَّمَا
الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَاِذَا
تُلِیَتۡ عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُہٗ زَادَتۡہُمۡ اِیۡمَانًا وَّعَلٰی رَبِّہِمۡ
یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚۖ
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে,
যখন আল্লাহর নাম
নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম,
তখন তাদের ঈমান
বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। (সূরা
আল আনফাল ৮:২)
২২।
যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা নিষেধ
یٰۤاَیُّہَا
الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا لَقِیۡتُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا زَحۡفًا فَلَا
تُوَلُّوۡہُمُ الۡاَدۡبَارَ ۚ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। (সূরা আল আনফাল ৮:১৫)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ
লিংক