পঞ্চম তারাবির উল্লেখযোগ্য কিছু আয়াতে কারিমা |
আসসালামুআলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ, পবিত্র মাহে
রমজানের ৫ম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সুরা মায়িদাহ এর ৮৩ নং আয়াত থেকে সুরা আ'রাফ এর ১১ নং আয়াত পর্যন্ত। অর্থাৎ সপ্তম পারার প্রথম
পৃষ্ঠা থেকে অষ্টম পারার ১০ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত। তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য
কয়েকটি আয়াত
১। মদ, জুয়া ইত্যাদি বিষয়ে
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ
وَالۡمَیۡسِرُ وَالۡاَنۡصَابُ وَالۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ
لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র
কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে
বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। (সূরা আল মায়িদাহ ৫:৯০)
২।
সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া সম্পর্কে
اُحِلَّ لَکُمۡ صَیۡدُ الۡبَحۡرِ وَطَعَامُہٗ مَتَاعًا لَّکُمۡ وَلِلسَّیَّارَۃِ ۚ وَحُرِّمَ عَلَیۡکُمۡ صَیۡدُ الۡبَرِّ مَا دُمۡتُمۡ حُرُمًا ؕ وَاتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡۤ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ
তোমাদের জন্য
সমুদ্রের শিকার ও সুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে এবং
তোমাদের এহরামকারীদের জন্যে হারাম করা হয়েছে স্থল শিকার যতক্ষণ এহরাম অবস্থায়
থাক। আল্লাহকে ভয় কর, যার কাছে তোমরা
একত্রিত হবে। (সূরা আল মায়িদাহ ৫:৯৬)
৩।
রাসূল (সাঃ) এর দায়িত্ব
مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَمَا تَکۡتُمُوۡنَ
রসূলের দায়িত্ব
শুধু পৌছিয়ে দেওয়া। আল্লাহ জানেন, যা কিছু তোমরা প্রকাশ্যে কর এবং যা কিছু গোপন কর। (সূরা আল
মায়িদাহ ৫:৯৯)
৪।
জমিনে ভ্রমণের আদেশ
قُلۡ سِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ ثُمَّ انۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُکَذِّبِیۡنَ
বলে দিনঃ তোমরা
পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর, অতপর দেখ, মিথ্যারোপ কারীদের পরিণাম কি হয়েছে? (সূরা
আল আনআম ৬:১১)
৫।
আল্লাহ কষ্ট দিলে স্বস্তি দেয়ার কেউ নেই
وَاِنۡ یَّمۡسَسۡکَ اللّٰہُ بِضُرٍّ فَلَا کَاشِفَ لَہٗۤ اِلَّا ہُوَ ؕ وَاِنۡ یَّمۡسَسۡکَ بِخَیۡرٍ فَہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
আর যদি আল্লাহ তোমাকে
কোন কষ্ট দেন, তবে তিনি ব্যতীত তা অপসারণকারী
কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবে তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা আল আনআম ৬:১৭)
৬।
আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপকারী জালিম
وَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنِ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا اَوۡ کَذَّبَ بِاٰیٰتِہٖ ؕ اِنَّہٗ لَا یُفۡلِحُ الظّٰلِمُوۡنَ
আর যে, আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথবা তাঁর নিদর্শনাবলীকে
মিথ্যা বলে, তার চাইতে বড় জালেম কে? নিশ্চয় জালেমরা সফলকাম হবে না। (সূরা আল আনআম
৬:২১)
৭।
কিয়ামতে সবাইকে একত্র করা হবে
وَیَوۡمَ نَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ثُمَّ نَقُوۡلُ لِلَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡۤا اَیۡنَ شُرَکَآؤُکُمُ الَّذِیۡنَ کُنۡتُمۡ تَزۡعُمُوۡنَ
আর যেদিন আমি
তাদের সবাইকে একত্রিত করব, অতঃপর যারা শিরক
করেছিল,
তাদের বলবঃ যাদেরকে তোমরা অংশীদার বলে ধারণা করতে, তারা কোথায়? (সূরা আল আনআম
৬:২২)
৮। পরকালের
জীবনই উত্তম
وَمَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّلَہۡوٌ ؕ وَلَلدَّارُ الۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لِّلَّذِیۡنَ یَتَّقُوۡنَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ
পার্থিব জীবন
ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর।
তোমরা কি বুঝ না ? (সূরা আল আনআম ৬:৩২)
৯।
অবিশ্বাসীরা অন্ধ, বদির
وَالَّذِیۡنَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَا صُمٌّ وَّبُکۡمٌ فِی الظُّلُمٰتِ ؕ مَنۡ یَّشَاِ اللّٰہُ یُضۡلِلۡہُ ؕ وَمَنۡ یَّشَاۡ یَجۡعَلۡہُ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
যারা আমার
নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের
মধ্যে মূক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে
পরিচালিত করেন। (সূরা আল আনআম ৬:৩৯)
১০।
অভাব অনটন, রোগ
ব্যাধি দ্বারা পরীক্ষা
وَلَقَدۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلٰۤی اُمَمٍ مِّنۡ قَبۡلِکَ فَاَخَذۡنٰہُمۡ بِالۡبَاۡسَآءِ وَالضَّرَّآءِ لَعَلَّہُمۡ یَتَضَرَّعُوۡنَ
আর আমি আপনার
পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতিও পয়গম্বর প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর আমি তাদেরকে অভাব-অনটন
ও রোগ-ব্যধি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা কাকুতি মিনতি করে। (সূরা
আল আনআম ৬:৪২)
১১।
নবী রাসূলদের কাজ সুসংবাদ ও ভয় প্রদর্শন করা
وَمَا نُرۡسِلُ الۡمُرۡسَلِیۡنَ اِلَّا مُبَشِّرِیۡنَ وَمُنۡذِرِیۡنَ ۚ فَمَنۡ اٰمَنَ وَاَصۡلَحَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
আমি
পয়গম্বরদেরকে প্রেরণ করি না, কিন্তু
সুসংবাদাতা ও ভীতি প্রদর্শকরূপে অতঃপর যে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সংশোধিত হয়, তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। (সূরা
আল আনআম ৬:৪৮)
১২।
গায়েবের খবর শুধুমাত্র আল্লাহ জানেন
وَعِنۡدَہٗ مَفَاتِحُ الۡغَیۡبِ لَا یَعۡلَمُہَاۤ اِلَّا ہُوَ ؕ وَیَعۡلَمُ مَا فِی الۡبَرِّ وَالۡبَحۡرِ ؕ وَمَا تَسۡقُطُ مِنۡ وَّرَقَۃٍ اِلَّا یَعۡلَمُہَا وَلَا حَبَّۃٍ فِیۡ ظُلُمٰتِ الۡاَرۡضِ وَلَا رَطۡبٍ وَّلَا یَابِسٍ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
তাঁর কাছেই
অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার
অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। (সূরা
আল আনআম ৬:৫৯)
১৩।
অবিশ্বাসীরা ইসলাম এবং কুরআনের সমালোচনা করে
وَاِذَا رَاَیۡتَ الَّذِیۡنَ یَخُوۡضُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ حَتّٰی یَخُوۡضُوۡا فِیۡ حَدِیۡثٍ غَیۡرِہٖ ؕ وَاِمَّا یُنۡسِیَنَّکَ الشَّیۡطٰنُ فَلَا تَقۡعُدۡ بَعۡدَ الذِّکۡرٰی مَعَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ
যখন আপনি
তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে
ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ
থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের
সাথে উপবেশন করবেন না। (সূরা আল আনআম ৬:৬৮)
১৪।
সালাত প্রতিষ্ঠার আদেশ
وَاَنۡ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَاتَّقُوۡہُ ؕ وَہُوَ الَّذِیۡۤ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ
এবং তা এই যে, নামায কায়েম কর এবং তাঁকে ভয় কর। তাঁর সামনেই তোমরা একত্রিত হবে। (সূরা আল আনআম ৬:৭২)
১৫।
পিতাকে লক্ষ্য করে ইব্রাহিম (আঃ) এর উক্তি
وَاِذۡ قَالَ اِبۡرٰہِیۡمُ لِاَبِیۡہِ اٰزَرَ اَتَتَّخِذُ اَصۡنَامًا اٰلِہَۃً ۚ اِنِّیۡۤ اَرٰىکَ وَقَوۡمَکَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ
স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম পিতা আযরকে বললেনঃ তুমি কি প্রতিমা সমূহকে
উপাস্য মনে কর? আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি ও তোমার সম্প্রদায় প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট। (সূরা
আল আনআম ৬:৭৪)
১৬।
শিরক মুক্ত ঈমান
اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَلَمۡ یَلۡبِسُوۡۤا اِیۡمَانَہُمۡ بِظُلۡمٍ اُولٰٓئِکَ لَہُمُ الۡاَمۡنُ وَہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ
যারা ঈমান আনে
এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী। (সূরা আল আনআম
৬:৮২)
১৭। কুরআন
পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যয়নকারী
وَہٰذَا کِتٰبٌ اَنۡزَلۡنٰہُ مُبٰرَکٌ مُّصَدِّقُ الَّذِیۡ بَیۡنَ یَدَیۡہِ وَلِتُنۡذِرَ اُمَّ الۡقُرٰی وَمَنۡ حَوۡلَہَا ؕ وَالَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ وَہُمۡ عَلٰی صَلَاتِہِمۡ یُحَافِظُوۡنَ
এ কোরআন এমন
গ্রন্থ,
যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা
প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি মক্কাবাসী ও পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। যারা
পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তার স্বীয় নামায
সংরক্ষণ করে। (সূরা আল আনআম ৬:৯২)
১৮।
আল্লাহ মৃত থেকে জীবিত এবং জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন
اِنَّ اللّٰہَ فَالِقُ الۡحَبِّ وَالنَّوٰی ؕ یُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَمُخۡرِجُ الۡمَیِّتِ مِنَ الۡحَیِّ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ
নিশ্চয় আল্লাহই
বীজ ও আঁটি থেকে অঙ্কুর সৃষ্টিকারী; তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন ও মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। তিনি আল্লাহ
অতঃপর তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ? (সূরা আল আনআম
৬:৯৫)
১৯।
সূর্য ও চন্দ্রকে হিসেবের জন্য তৈরি করা হয়েছে
فَالِقُ الۡاِصۡبَاحِ ۚ وَجَعَلَ الَّیۡلَ سَکَنًا وَّالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ حُسۡبَانًا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ
তিনি প্রভাত
রশ্মির উন্মেষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে হিসেবের জন্য
রেখেছেন। এটি পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানীর
নির্ধারণ। (সূরা আল আনআম ৬:৯৬)
২০।
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সহ সব কিছুর স্রষ্টা
بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ اَنّٰی یَکُوۡنُ لَہٗ وَلَدٌ وَّلَمۡ تَکُنۡ لَّہٗ صَاحِبَۃٌ ؕ وَخَلَقَ کُلَّ شَیۡءٍ ۚ وَہُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ
তিনি নভোমন্ডল
ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী নেই ? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ। (সূরা
আল আনআম ৬:১০১)
২১।
ওহীর অনুসরণ
اِتَّبِعۡ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ ۚ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ وَاَعۡرِضۡ عَنِ الۡمُشۡرِکِیۡنَ
আপনি পথ অনুসরণ
করুন,
যার আদেশ পালনকর্তার পক্ষ থেকে আসে। তিনি ব্যতীত কোন
উপাস্য নেই এবং মুশরিকদের তরফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। (সূরা আল আনআম
৬:১০৬)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ
লিংক