ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান ও মাদকদ্রব্য | জুমুয়ার খুতবা | Smoking and drugs in the eyes of Islam


ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান ও মাদকদ্রব্য

ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান ও মাদকদ্রব্য

এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ অগণিত নেয়ামত সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে বেশিরভাগই মানুষের জন্য হালাল করেছেন কিছুসংখ্যক হারাম করেছেন কারণ মানুষের জন্য কোনটা উপকারী আর কোনটা ক্ষতিকর তবে তিনি তা ভালো জানেনতিনি বলেন,

وَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ  وَعَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ  وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ وَاَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (আল বাকারা - 2:216)

মাদকদ্রব্য

যা মানুষের মধ্যে নেশা সৃষ্টি করে, তাই মাদক

كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَا أَسْكَرَ كَثِيرُهُ فَقَلِيلُهُ حَرَامٌ

আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে কোন নেশা উদ্রেককর জিনিস হারাম। আর যে জিনিসের অধিক পরিমাণ নেশা সৃষ্টি করে তার সামান্য পরিমাণও হারাম।

[ইবনে মাজাহঃ ৩৩৯২, মুসলিম ৩৭৩৩, ৩৭৩৪, ৩৭৩৫, তিরমিযি ১৮৬১, আহমাদ ৪৬৩০, ৪৮১৫, ৪৮৪৮, ৫৬১৬, ৫৬৯৭, ৫৭৮৬, ৬১৪৪, ৬১৮৩]

মদ নিষিদ্ধ হওয়ার তিনটা স্তর

১) মাদকদ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ কমানো

প্রাথমিক পর্যায়ে মাদকদ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ কমানোর লক্ষ্যে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡخَمۡرِ وَالۡمَیۡسِرِ ؕ  قُلۡ فِیۡہِمَاۤ اِثۡمٌ کَبِیۡرٌ وَّمَنَافِعُ لِلنَّاسِ ۫  وَاِثۡمُہُمَاۤ اَکۡبَرُ مِنۡ نَّفۡعِہِمَا ؕ  وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَاذَا یُنۡفِقُوۡنَ ۬ؕ  قُلِ الۡعَفۡوَ ؕ  کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَتَفَکَّرُوۡنَ ۙ

তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার। (আল বাকারা - 2:219)

এই আয়াত নাযিলের পর মাদকের ক্ষতিকর বিষয়টি জানতে পেরে সচেতন মানুষেরা এর থেকে বিরত থাকতে শুরু করে মদের প্রতি আস্তে আস্তে মানুষের আকর্ষন কমে যায়

২) মদের ব্যবহার সীমিত করা

দ্বিতীয় পর্যায়ে মদ্যপান সীমিত করার লক্ষ্যে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡرَبُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡتُمۡ سُکٰرٰی حَتّٰی تَعۡلَمُوۡا مَا تَقُوۡلُوۡنَ

হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ। (আন নিসা - 4:43)

এ আয়াত নাজিলের পর মদপানের সুযোগ কমে যায়। যোহর থেকে এশা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর সালাত থাকায় মদ পান করার কোন সুযোগ পেত না। এভাবে মোদের ব্যবহার সীমিত হয়ে যায়।

৩) চূড়ান্তভাবে মদ হারামের ঘোষণা

শেষ পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে মদ হারামের ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَالۡمَیۡسِرُ وَالۡاَنۡصَابُ وَالۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ - اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَالۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَالۡمَیۡسِرِ وَیَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَعَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَہُوۡنَ

হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।

শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে(আল মায়িদাহ - 5:90-91)

আয়াত নাযিলের পর মাদকদ্রব্য সেবন ও এর ব্যবসা হারাম হয়ে যায় মাদকদ্রব্য কে শয়তানের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন

ثم حرم التجاره في الخمر

মাদকদ্রব্যের ব্যবসা হারাম করা হলো। (বুখারী 2085)

রাসুলের (সাঃ) বারণ

মাদকদ্রব্য বিষয়ে রাসুল (সাঃ) বারণ করে বলেন,

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .

আবূ দারদা (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ:

আমার বন্ধু (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন : শরাব পান করো না, কারণ তা সমস্ত পাপাচারের প্রসূতি। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৭১)

মদ পানকারীর ঈমান থাকে না

  وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهْوَ مُؤْمِنٌ،

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  মদ পানকারী মদ পান করার সময়ে মুমিন থাকে না। (বুখারী (ইফাঃ) ৫১৭৮)

মদখোরের সালাত কবুল হয় না

عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَلَمْ يَنْتَشِ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ مَا دَامَ فِي جَوْفِهِ أَوْ عُرُوقِهِ مِنْهَا شَيْءٌ، وَإِنْ مَاتَ مَاتَ كَافِرًا، وَإِنْ انْتَشَى لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، وَإِنْ مَاتَ فِيهَا مَاتَ كَافِرًا» خَالَفَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ "

ইব্‌ন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মদ পান করলো, অথচ নেশাগ্রস্থ হলো না, তার নামায কবূল হবে না, যতক্ষণ ঐ মদ তার পেটে অথবা শিরায় অবস্থান করবে। যদি ঐ ব্যক্তি সে অবস্থায় মারা যায়, তবে তার চল্লিশ দিনের নামায কবূল হবে না। যদি সে এ অবস্থায় মারা যায় তবে সে কাফির অবস্থায় মারা যাবে।

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৬৬৮)

মাদকদ্রব্যের উপর দশ (১০) প্রকার অভিশাপ

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْغَافِقِيِّ، وَأَبِي، طُعْمَةَ مَوْلاَهُمْ أَنَّهُمَا سَمِعَا ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لُعِنَتِ الْخَمْرُ عَلَى عَشَرَةِ أَوْجُهٍ بِعَيْنِهَا وَعَاصِرِهَا وَمُعْتَصِرِهَا وَبَائِعِهَا وَمُبْتَاعِهَا وَحَامِلِهَا وَالْمَحْمُولَةِ إِلَيْهِ وَآكِلِ ثَمَنِهَا وَشَارِبِهَا وَسَاقِيهَا "

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শরাবের উপর দশভাবে অভিসম্পাত করা হয়েছেঃ স্বয়ং শরাব (অভিশপ্ত), শরাব উৎপাদক,  যে তা উৎপাদন করায়, তার বিক্রেতা, তার ক্রেতা, তার বহনকারী, তা যার জন্য বহন করা হয়, এর মূল্য ভোগকারী, তা পানকারী ও তা পরিবেশনকারী (এদের সকলেই অভিশপ্ত)।

 (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৬৪, ১৮/১৭৩ নং পৃষ্ঠা, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৮০)

মদখোর জান্নাতে যাবে না

عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مُدْمِنُ خَمْرٍ " .

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শরাব পানে অভ্যস্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৩৭৬) [৩৩৭৬] আহমাদ ২৬৯৩৮, সহীহাহ ৬৭৫, ৬৭৮।

মাদক মানুষের বিবেক বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়

عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى مِنْبَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ نَزَلَ تَحْرِيْمُ الْخَمْرِ وَهْيَ مِنْ خَمْسَةٍ مِنْ الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْعَسَلِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيْرِ وَالْخَمْرُ مَا خَامَرَ الْعَقْلَ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেছেন যে, আমি ‘‘উমার (রাঃ)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মিম্বরে বসে বলতে শুনেছি যে, এরপর হে লোক সকল! মদপানের নিষেধাজ্ঞা অবতীর্ণ হয়েছে আর তা হচ্ছে পাঁচ প্রকার, খুরমা থেকে, আঙ্গুর থেকে, মধু থেকে, গম থেকে এবং যব থেকে আর মদ হচ্ছে যা সুস্থ বিবেককে আচ্ছন্ন করে ফেলে।

 (আ.প্র. ৪২৫৮, ই.ফা. ৪২৬১) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৬১৯)

মাদক একটি ব্যাধি

عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَائِلٍ الْحَضْرَمِيِّ، أَنَّ طَارِقَ بْنَ سُوَيْدٍ الْجُعْفِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَمْرِ فَنَهَا أَوْ كَرِهَ أَنْ يَصْنَعَهَا فَقَالَ إِنَّمَا أَصْنَعُهَا لِلدَّوَاءِ فَقَالَ " إِنَّهُ لَيْسَ بِدَوَاءٍ وَلَكِنَّهُ دَاءٌ " .

ওয়ায়িল আল-হায্রামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, তারিক ইবনু সুওয়াইদ জুফী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মদ সস্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তিনি তাকে বারণ করলেন, কিংবা মদ প্রস্তুত করাকে খুব জঘন্য মনে করলেন। তিনি [তারিক (রাঃ)] বললেন, আমি তো শুধু ঔষধ তৈরি করার জন্য মদ প্রস্তুত করিতিনি বললেনঃ এটি তো (ব্যাধি নিরামক) ঔষধ নয়, বরং এটি নিজেই ব্যাধি।

(ই.ফা. ৪৯৭৭, ই.সে. ৪৯৮৫, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫০৩৫)

মাদকের ব্যাপকতা কিয়ামতের আলামত

عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا لاَ يُحَدِّثُكُمْ بِهِ غَيْرِي قَالَ " مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَظْهَرَ الْجَهْلُ، وَيَقِلَّ الْعِلْمُ، وَيَظْهَرَ الزِّنَا، وَتُشْرَبَ الْخَمْرُ، وَيَقِلَّ الرِّجَالُ، وَيَكْثُرَ النِّسَاءُ، حَتَّى يَكُونَ لِخَمْسِينَ امْرَأَةً قَيِّمُهُنَّ رَجُلٌ وَاحِدٌ "‏‏.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে এমন একটি হাদীস শুনেছি যা আমি ব্যতীত অন্য কেউ তোমাদের বর্ণনা করবে না। তিনি বলেন, কিয়ামতের লক্ষন সমূহের কতক হলঃ অজ্ঞতা প্রকাশ পাবে, ইল্‌ম (দ্বীনী) কমে যাবে, ব্যাভিচার প্রকাশ্য হতে থাকবে, মদ্যপানের ছাড়াছড়ি চলবে, পুরুযের সংখ্যা কমে যাবে আর নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে, শেষ অবধি অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে, পঞ্চাশ জন নারীর জন্য তাদের পরিচালক হবে একজন পুরুষ

(সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ৫১৭৭)

মদখোরের শাস্তি

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ، ثُمَّ إِنْ سَكِرَ فَاجْلِدُوهُ» ثُمَّ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ: «فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে মদ পান করে, তাকে কশাঘাত কর, পুনরায় মদ পান করলে তাকে আবার কশাঘাত কর, আবার মদপান করলে আবার কশাঘাত কর, চতুর্থবারে বললেনঃ তাকে হত্যা কর। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৬৬২)

ধূমপান

عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ زَعَمَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا.

আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) মনে করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসূন বা পেঁয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের হতে দূরে থাকে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদ হতে দূরে থাকে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৫) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৫২)

এই খুতবাটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

PDF | Word