পবিত্র মাহে রমজানের
৯ম তারাবীতে তেলাওয়াত করা হবে সুরা হুদ এর ৬ নং আয়াত থেকে সূরা ইউসুফ এর ৫২ নং পর্যন্ত। অর্থাৎ ১২তম পারার ১ম পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত।
তেলাওয়াতের অংশ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আয়াত
১। জীবিকার
দায়িত্ব আল্লাহর
وَمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا عَلَی
اللّٰہِ رِزۡقُہَا وَیَعۡلَمُ مُسۡتَقَرَّہَا وَمُسۡتَوۡدَعَہَا ؕ کُلٌّ فِیۡ
کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ
আর পৃথিবীতে কোন
বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন
তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
(সূরা হুদ ১১:৬)
২। আল্লাহ
নেয়ামত ছিনিয়ে নিলে মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়
وَلَئِنۡ اَذَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنَّا رَحۡمَۃً
ثُمَّ نَزَعۡنٰہَا مِنۡہُ ۚ اِنَّہٗ لَیَـُٔوۡسٌ کَفُوۡرٌ
আর অবশ্যই যদি আমি
মানুষকে আমার রহমতের আস্বাদ গ্রহণ করতে দেই, অতঃপর তা তার থেকে ছিনিয়ে নেই; তাহলে সে হতাশ ও কৃতঘ্ন হয়। (সূরা হুদ ১১:৯)
৩। একটু
সুখ পেলেই অহংকারী হয়ে যায়
وَلَئِنۡ اَذَقۡنٰہُ نَعۡمَآءَ بَعۡدَ ضَرَّآءَ
مَسَّتۡہُ لَیَقُوۡلَنَّ ذَہَبَ السَّیِّاٰتُ عَنِّیۡ ؕ اِنَّہٗ لَفَرِحٌ
فَخُوۡرٌ ۙ
আর যদি তার উপর আপতিত
দুঃখ কষ্টের পরে তাকে সুখভোগ করতে দেই, তবে সে বলতে থাকে যে, আমার অমঙ্গল দূর
হয়ে গেছে,
আর সে আনন্দে আত্নহারা হয়, অহঙ্কারে উদ্দত হয়ে পড়ে। (সূরা হুদ ১১:১০)
৪। ধৈর্যশীলদের
জন্য রয়েছে বিরাট প্রতিদান
اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ
اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّاَجۡرٌ کَبِیۡرٌ
তবে যারা ধৈর্য্যধারণ
করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে। (সূরা হুদ ১১:১১)
৫। দশটি
সূরা রচনার চ্যালেঞ্জ
اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىہُ ؕ قُلۡ فَاۡتُوۡا
بِعَشۡرِ سُوَرٍ مِّثۡلِہٖ مُفۡتَرَیٰتٍ وَّادۡعُوۡا مَنِ اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ
دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ
তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে। (সূরা হুদ ১১:১৩)
৬। যে
দুনিয়া চায় আল্লাহ তাকে দুনিয়া দেন
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا وَزِیۡنَتَہَا
نُوَفِّ اِلَیۡہِمۡ اَعۡمَالَہُمۡ فِیۡہَا وَہُمۡ فِیۡہَا لَا یُبۡخَسُوۡنَ
যে ব্যক্তি পার্থিবজীবন
ও তার চাকচিক্যই কামনা করে, হয় আমি তাদের দুনিয়াতেই
তাদের আমলের প্রতিফল ভোগ করিয়ে দেব এবং তাতে তাদের প্রতি কিছুমাত্র কমতি করা হয় না।
(সূরা হুদ ১১:১৫)
৭। সবকিছু
আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন
اِنِّیۡ تَوَکَّلۡتُ عَلَی اللّٰہِ رَبِّیۡ
وَرَبِّکُمۡ ؕ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ اِلَّا ہُوَ اٰخِذٌۢ بِنَاصِیَتِہَا ؕ اِنَّ
رَبِّیۡ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ
আমি আল্লাহর উপর
নিশ্চিত ভরসা করেছি যিনি আমার এবং তোমাদের পরওয়ারদেগার। পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী এমন
কোন প্রাণী নাই যা তাঁর র্পূণ আয়ত্তাধীন নয়। আমার পালকর্তার সরল পথে সন্দেহ নেই। (সূরা হুদ ১১:৫৬)
৮। হযরত
ইবরাহীম (আঃ) এর গুনাবলী
اِنَّ اِبۡرٰہِیۡمَ لَحَلِیۡمٌ اَوَّاہٌ مُّنِیۡبٌ
ইব্রাহীম (আঃ) বড়ই
ধৈর্য্যশীল, কোমল অন্তর, আল্লাহমুখী সন্দেহ নেই। (সূরা হুদ ১১:৭৫)
৯। সেদিন
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কথা বলতে পারে না
یَوۡمَ یَاۡتِ لَا تَکَلَّمُ نَفۡسٌ اِلَّا
بِاِذۡنِہٖ ۚ فَمِنۡہُمۡ شَقِیٌّ وَّسَعِیۡدٌ
যেদিন তা আসবে সেদিন
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ কোন কথা বলতে পারে না। অতঃপর কিছু লোক হবে হতভাগ্য আর কিছু
লোক সৌভাগ্যবান। (সূরা হুদ ১১:১০৫)
১০। পাপিষ্ঠদের
জন্য সহানুভূতি নাই
وَلَا تَرۡکَنُوۡۤا اِلَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا
فَتَمَسَّکُمُ النَّارُ ۙ وَمَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ اَوۡلِیَآءَ
ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ
আর পাপিষ্ঠদের প্রতি
ঝুঁকবে না। নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু নাই।
অতএব কোথাও সাহায্য পাবে না। (সূরা হুদ ১১:১১৩)
১১। ফজর
এবং মাগরিবের সালাত
وَاَقِمِ الصَّلٰوۃَ طَرَفَیِ النَّہَارِ وَزُلَفًا
مِّنَ الَّیۡلِ ؕ اِنَّ الۡحَسَنٰتِ یُذۡہِبۡنَ السَّیِّاٰتِ ؕ ذٰلِکَ ذِکۡرٰی
لِلذّٰکِرِیۡنَ ۚ
আর দিনের দুই প্রান্তেই
নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে
পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক। (সূরা হুদ ১১:১১৪)
১২। ধৈর্যধারণের
শিক্ষা
وَاصۡبِرۡ فَاِنَّ اللّٰہَ لَا یُضِیۡعُ اَجۡرَ
الۡمُحۡسِنِیۡنَ
আর ধৈর্য্যধারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। (সূরা হুদ ১১:১১৫)
১৩। আসমান
জমিনের গোপন তথ্য আল্লাহর কাছেই
وَلِلّٰہِ غَیۡبُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَاِلَیۡہِ یُرۡجَعُ
الۡاَمۡرُ کُلُّہٗ فَاعۡبُدۡہُ وَتَوَکَّلۡ عَلَیۡہِ ؕ وَمَا رَبُّکَ بِغَافِلٍ
عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ
আর আল্লাহর কাছেই
আছে আসমান ও যমীনের গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন
তাঁরই দিকে; অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপর ভরসা রাখ, আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালনকর্তা কিন্তু বে-খবর
নন। (সূরা হুদ ১১:১২৩)
১৪। ইউসুফ
(আঃ) এর স্বপ্ন
اِذۡ قَالَ یُوۡسُفُ لِاَبِیۡہِ یٰۤاَبَتِ اِنِّیۡ
رَاَیۡتُ اَحَدَ عَشَرَ کَوۡکَبًا وَّالشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ رَاَیۡتُہُمۡ لِیۡ
سٰجِدِیۡنَ
যখন ইউসুফ পিতাকে বললঃ পিতা, আমি স্বপ্নে দেখেছি এগারটি নক্ষত্রকে। সুর্যকে এবং চন্দ্রকে। আমি তাদেরকে আমার উদ্দেশে সেজদা করতে দেখেছি। (সূরা ইউসুফ ১২:৪)
পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
পরবর্তী সকল আপডেট পেতে এখানে ক্লিক
করে আমাদের Facebook পেজে ফলো করুন।
WhatsApp গ্রুপ লিংক