আল্লাহ কর্তৃক আমানত
দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে আমানতদারী |
اِنَّا عَرَضۡنَا الۡاَمَانَۃَ عَلَی السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ
وَالۡجِبَالِ فَاَبَیۡنَ اَنۡ یَّحۡمِلۡنَہَا وَاَشۡفَقۡنَ مِنۡہَا وَحَمَلَہَا
الۡاِنۡسَانُ ؕ اِنَّہٗ کَانَ ظَلُوۡمًا جَہُوۡلًا ۙ
আমি আকাশ পৃথিবী
ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে অস্বীকার করল এবং এতে ভীত হল; কিন্তু মানুষ তা বহণ করল। নিশ্চয় সে জালেম-অজ্ঞ।
(আল আহ্যাব -
33:72)
আল্লাহর আহকামগুলো
মুমিনের নিকট আমানত
عن عبد الله بن مسعود - رضي الله عنه - أنه قال: الصلاة أمانة،
والوضوء أمانة، والوزن أمانة، والكيل أمانة
وأشياء عدّدها، (وأشدّ من ذلك
الودائع) أخرجه البيهقي في شعب الإيمان
সালাত আমানত অজু
আমানত গোসল আমানত সঠিক পরিমাপ আমানত সঠিকভাবে দাও আমানত আর বড় আমানত হচ্ছে কারো কাছে
সম্পদ গচ্ছিত রাখা। (মুসনাদে আহমদ আল বায়হাকী)
কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব
যোগ্য ব্যক্তিদের
হাতে দায়িত্বপূর্ণ পদগুলো সমর্পণ করা আমানত
اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی
اَہۡلِہَا ۙ وَاِذَا حَکَمۡتُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡکُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ ؕ
اِنَّ اللّٰہَ نِعِمَّا یَعِظُکُمۡ بِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে
নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের
নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে
আরম্ভ কর,
তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান
করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী। (আন নিসা - 4:58)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا ضُيِّعَتِ الأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ
السَّاعَةَ ". قَالَ كَيْفَ إِضَاعَتُهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ
" إِذَا أُسْنِدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ، فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ
".
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে তখন ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে। সে বলল : হে আল্লাহ্র রসূল! আমানত কিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ যখন কোন দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করা হবে, তখনই ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে।
(আধুনিক প্রকাশনী-
৬০৫৬,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫২) (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৯৬)
مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَيَمُوتُ
وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلاَّ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ.
হাসান বাস্রী (রহঃ)
থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা মা’কিল ইব্নু ইয়াসারের কাছে তার সেবা-শুশ্রূষার জন্য আসলাম। এ সময় ‘উবাইদুল্লাহ্ প্রবেশ করল। তখন মাকিল (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করে শোনাবো যা আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি মুসলিম জনসাধারণের দায়িত্ব লাভ করল আর তার
মৃত্যু হল এই হালতে যে, সে ছিল খিয়ানাতকারী, তাহলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৫১)
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে আমানতদার
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّكُمْ رَاعٍ فَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ،
فَالأَمِيرُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ، وَالرَّجُلُ
رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ
عَلَى بَيْتِ بَعْلِهَا وَوَلَدِهِ وَهْىَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ، وَالْعَبْدُ
رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهْوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ، أَلاَ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ
وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ ".
আবদুল্লাহ [ইবনু
‘উমর (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসার
সম্মুখীন হবে। যেমন- জনগণের শাসক তাদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন পুরুষ তার পরিবার পরিজনদের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী স্বামীর ঘরের এবং
তার সন্তানের দায়িত্বশীল, কাজেই সে তাদের বিষয়ে
জিজ্ঞাসিত হবে। আর ক্রীতদাস আপন মনিবের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। কাজেই সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত
হবে। শোন! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। কাজেই প্রত্যেকেই আপন অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত
হবে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৫৫৪)
প্রাতিষ্ঠানিক ও
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ও আমানত
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا عَدُوِّیۡ
وَعَدُوَّکُمۡ اَوۡلِیَآءَ تُلۡقُوۡنَ اِلَیۡہِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ وَقَدۡ
کَفَرُوۡا بِمَا جَآءَکُمۡ مِّنَ الۡحَقِّ ۚ یُخۡرِجُوۡنَ الرَّسُوۡلَ وَاِیَّاکُمۡ
اَنۡ تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰہِ رَبِّکُمۡ ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ خَرَجۡتُمۡ جِہَادًا فِیۡ
سَبِیۡلِیۡ وَابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِیۡ ٭ۖ تُسِرُّوۡنَ اِلَیۡہِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ ٭ۖ
وَاَنَا اَعۡلَمُ بِمَاۤ اَخۡفَیۡتُمۡ وَمَاۤ اَعۡلَنۡتُمۡ ؕ وَمَنۡ یَّفۡعَلۡہُ
مِنۡکُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ
اِنۡ یَّثۡقَفُوۡکُمۡ یَکُوۡنُوۡا لَکُمۡ اَعۡدَآءً وَّیَبۡسُطُوۡۤا
اِلَیۡکُمۡ اَیۡدِیَہُمۡ وَاَلۡسِنَتَہُمۡ بِالسُّوۡٓءِ وَوَدُّوۡا لَوۡ
تَکۡفُرُوۡنَ ؕ
মুমিনগণ, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না।
তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার
সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জেহাদ করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, ত আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
তোমাদেরকে করতলগত
করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও
রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে, কোনরূপে তোমরা
ও কাফের হয়ে যাও।
(আল মুম্তাহিনাহ্
- 60:1-2)
নিজেদের গোপন বিষয়
গুলো নিজেদের মধ্যে আমানত
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَخُوۡنُوا اللّٰہَ
وَالرَّسُوۡلَ وَتَخُوۡنُوۡۤا اَمٰنٰتِکُمۡ وَاَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না
নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে। (আল আনফাল - 8:27)
وَاِنۡ کُنۡتُمۡ عَلٰی سَفَرٍ وَّلَمۡ تَجِدُوۡا کَاتِبًا فَرِہٰنٌ
مَّقۡبُوۡضَۃٌ ؕ فَاِنۡ اَمِنَ بَعۡضُکُمۡ بَعۡضًا فَلۡیُؤَدِّ الَّذِی اؤۡتُمِنَ
اَمَانَتَہٗ وَلۡیَتَّقِ اللّٰہَ رَبَّہٗ ؕ وَلَا تَکۡتُمُوا الشَّہَادَۃَ ؕ
وَمَنۡ یَّکۡتُمۡہَا فَاِنَّہٗۤ اٰثِمٌ قَلۡبُہٗ ؕ وَاللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ
عَلِیۡمٌ ٪
আর তোমরা যদি প্রবাসে
থাক এবং কোন লেখক না পাও তবে বন্ধকী বন্তু হস্তগত রাখা উচিত। যদি একে অন্যকে বিশ্বাস
করে,
তবে যাকে বিশ্বাস করা হয়, তার উচিত অন্যের প্রাপ্য পরিশোধ করা এবং স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় কর! তোমরা
সাক্ষ্য গোপন করো না। যে কেউ তা গোপন করবে, তার অন্তর পাপপূর্ণ হবে। তোমরা যা করা, আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব জ্ঞাত। (আল বাকারা – 2:283)
রাসুল (সাঃ) খিয়ানত
করা থেকে বেঁচে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُوعِ،
فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ، فَإِنَّهَا
بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি ক্ষুধা হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কেননা তা অতি নিকৃষ্ট সঙ্গী। আর আমি আমানতে খিয়ানত করা হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কেননা, তা অতি মন্দ চরিত্র। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৬৮)
আমানতের খেয়ানত
ঈমানের ত্রুটি নির্দেশ করে
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَلَّمَا خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى
اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إِلاَّ قَالَ لاَ إِيْمَانَ لِمَنْ لاَ أَمَانَةَ لَهُ
وَلاَ دِيْنَ لِمَنْ لاَ عَهْدَ لَهُ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে এরূপ উপদেশ খুব কমই দিয়েছেন, যাতে একথাগুলি বলেননি যে, ‘যার আমানতদারী নেই তার ঈমান নেই এবং যার অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দ্বীন-ধর্ম নেই’ (আহমাদ হা/১১৯৩৫, মিশকাত হা/৩৫, বাংলা মিশকাত হা/৩১)।
আমানতের খিয়ানত
করা মুনাফিকের লক্ষণ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى
الله عليه وسلم قَالَ " آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ،
وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخَلَفَ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি- বলতে গেলে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে খিয়ানত করে, আর ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬৮২)
খেয়ানত না করা পর্যন্ত
দুই অংশীদারির মধ্যে আল্লাহ তাআলা তৃতীয়জন হিসেবে থাকেন
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «قَالَ اللَّهُ: أَنَا ثَالِثُ الشَّرِيكَيْنِ
مَا لَمْ يَخُنْ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ، فَإِذَا خَانَ خَرَجْتُ مِنْ بَيْنِهِمَا»
رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেছেন- যতক্ষণ দু'জন শরীকদার ব্যবসায়ে একে অপরের সাথে খিয়ানত (বিশ্বাসঘাতকতা) না করে ততক্ষণ আমি তাদের তৃতীয় শরীক হিসাবে (তাদের সহযোগিতা করতে) থাকি । অতঃপর যখন খিয়ানত করে, তখন আমি তাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে যাই (তারা আমাদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়) । (বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৮৮০)
Download
Word | PDF | PowerPoint