কুরআন পাঠের এর গুরুত্ব ও ফজিলত |
الحمد لله رب العالمين، والعاقبه للمتقين، والصلاه والسلام على سيد الانبياء والمرسلين وعلى اله واصحابه اجمعين، اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله
আর আল্লাহ ভীরুদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম। দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী (সাঃ), তাঁর পরিবারবর্গ ও সমস্ত সাহাবা কেরামের প্রতি।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
যে,
এক আল্লাহ ছাড়া অন্য
কোন ইলাহ নেই। তাঁর
কোন অংশীদার নেই। আমি আরো সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা
ও রাসূল।
موضوع الخطبه في هذه اليوم
" اهمية تلاوه القران وفضيلته"
সম্মানিত উপস্থিতি! আজকে
আমাদের খুতবার আলোচ্য বিষয়
কুরআন পাঠের গুরুত্ব
ও ফজিলত
কুরআন সন্দেহ মুক্ত
গ্রন্থ
الٓـمّٓ ۚ ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚ فِیۡہِ ۚ ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ
আলিফ লাম মীম। এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য। (আল বাকারা - 1:2)
মুমিনের জন্য রহমত
وَنُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا ہُوَ شِفَآءٌ وَّرَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۙ وَلَا یَزِیۡدُ الظّٰلِمِیۡنَ اِلَّا خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। (বনী-ইসরাঈল - 17:82)
কুরআন শিক্ষা করা ফরজ
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (আল আলাক - 96:1)
طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ. رواه ابن ماجه وغيره
আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) বলেন, “জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম
ব্যক্তির উপর ফরয।”
(ইবনু
মাজাহ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন) সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস নং ৭২
কুরআন শিক্ষার ফজিলত
خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
‘উসমান (রাঃ) সূত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম যে কুরআন শিখে এবং
অন্যকে শিখায়।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫৭) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০২৭
কুরআন পাঠের ফজিলত
مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللّٰهِ فَلَه بِه حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ: اَلٓمٓ حَرْفٌ. أَلْفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে
ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের কোন একটি অক্ষরও পাঠ করবে, সে নেকী পাবে। আর নেকী হচ্ছে ‘আমালের দশ গুণ। আমি বলছি না যে, الٓمٓ)) ‘আলিফ লাম মীম’ একটি
অক্ষর। বরং ‘আলিফ’ একটি
অক্ষর, ‘লাম’ একটি
অক্ষর ও ‘মীম’ একটি
অক্ষর। (তাই আলিফ,
লাম ও মীম বললেই ত্রিশটি নেকী পাবে) তিরমিযী ২৯১০,মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস
নং ২১৩৭
কোরআন পাঠকের জন্য
সুপারিশ করবে
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ اقْرَؤُوا القُرْآنَ ؛ فَإِنَّهُ يَأتِي يَوْمَ القِيَامَةِ شَفِيعاً لأَصْحَابِهِ رواه مسلم
আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে। (মুসলিম ১৯১০)
কোরআন তেলাওয়াতে
ঈমান বৃদ্ধি পায়
اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَاِذَا تُلِیَتۡ عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُہٗ زَادَتۡہُمۡ اِیۡمَانًا وَّعَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚۖ
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। (আল আনফাল - 8:2)
কুরআন শিক্ষা না করার পরিণাম
وَمَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَہٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا وَّنَحۡشُرُہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اَعۡمٰی قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرۡتَنِیۡۤ اَعۡمٰی وَقَدۡ کُنۡتُ بَصِیۡرًا قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَہَا ۚ وَکَذٰلِکَ الۡیَوۡمَ تُنۡسٰی
এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার
জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।
সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত
করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম।
আল্লাহ বলবেনঃ এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব। (ত্বোয়াহ - 20:124-126)
খুতবাটি পিডিএফ । ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।