শুয়ে
আছেন। হঠাৎ করে পেটের মাঝে চিনচিন ব্যাথা অনুভত হচ্ছে। ব্যাথার পরিমাণ ধীরে ধীরে
বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তখন বুঝতে পারলেন পেট খারাপ হয়েছে। এবার
বারবার বাথরুমে দৌড়াতে হবে। কিন্তু আপনার তো ডিউটিতে যেতে হবে।এখন আপনি কী করবেন? কী
আর করবেন! ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন। এ ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই। কেননা আমাদের
মাথায় এক ধরনের কিট ধরেছে। আর তা হলো—কিছু
হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে; নয়তো এটা থেকে পরিত্রান
পাওয়ার কোন উপায় নেই।
পেট
খারাপ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা প্রত্যেকেই পেট খারাপের সম্মুখিন
হয়ে থাকি। প্রায়ই আমাদের পরিবারের কারো না কারো পেট খারাপ হতে দেখা যায়। তখন
আমরা ডাক্তারের কাছেই দৌড়াই। আর মনে মনে এটা ভাবি— এছাড়া তো আর কোন উপায় নেই! আসলেই কি নেই? নাকি
আছে? আসুন জেনে নিই....... এ ব্যাপারে হাদিস এর দিক নির্দেশনা
কী!
আবূ
সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একজন লোক এসে বলল, আমার
ভাইয়ের পাতলা পায়খানা (উদরাময়) হচ্ছে। তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধু
পান করায়, তারপর এসে বলে, হে
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) , আমি
তাকে মধু পান করিয়েছি। কিন্তু তাতে দাস্ত আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে মধু পান করাও।
বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকে মধু পান করানোর পর এসে বলে, হে
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) , আমি
তাকে তা পান করিয়েছি। কিন্তু এর ফলে তাঁর দাস্ত আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ণনাকারী
বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা সত্য বলেছেন (মধুতে
নিরাময় আছে), কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেটই মিথ্যা বলছে। আবার
তাকে মধু পান করাও। অতএব, লোকটি তাকে মধু পান করায় এবং সে সুস্থ হয়ে উঠে।
জামে' আত-তিরমিজি,
হাদিস
নং ২০৮২
অর্থাৎ, এক
ব্যক্তি তার ভাইয়ের পেট খারাপের কথা রাসুল (সা:)কে জানালে, তিনি
পেট খারাপের ওষুধ হিসেবে মধু সেবন করতে বলেন। সে তখন বলল,'আমি
তাকে মধু খাইয়েছি কিন্তু তবুও তা কাজ করেনি।'
তখন
রাসূল (সা:) আল্লাহ সত্য বলেছেন, মধুর মাঝে নিরাময়ের শক্তি
রয়েছে।তোমার ভাইয়ের পেট তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে চায়। পরবর্তীতে ঠিকই সে সুস্থ
হয়ে ওঠে।
এর
দ্বারা বুঝা যায়। মধু হচ্ছে পেটের পীড়া দূর করার ঔষধ। তাই আসুন—ডাক্তারের কাছে না দৌড়ে ঘরে বসেই হাদিসের দিক নির্দেশনা
অনুযায়ী চিকিৎসা করি।
লেখক~ মাহমুদ
বিন নূর