নামাজের দোয়া সমূহ । ছানা, রুকুর তাসবীহ, সিজদাহর তাসবীহ, তাশাহহুদ, দুরুদ, দোয়া মাসুরা, দোয়া কুনুত
![]() |
নামাজের দোয়া সমূহ |
১। তাকবীরে তাহরীমা
اَللّٰهُ اَكْبَرْ
অর্থঃ আল্লাহ সব চেয়ে বড়, মহান।
২। ছানা
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ
وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
অর্থঃ হে আল্লাহ, তোমার পবিত্রতা এবং তোমার প্রশংসা
সহ। তোমার নাম বরকতময় এবং তোমার মহিমা উচ্চ। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
৩। সূরা ফাতিহাঃ
بِسۡمِ اللّٰهِ الرَّحۡمٰنِ
الرَّحِیۡمِ
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ
الۡعٰلَمِیۡنَ -اَلرَّحْمٰنِ الرَّحِيْم - مٰلِكِ یَوۡمِ الدِّیۡنِ - اِیَّاكَ نَعۡبُدُ وَ اِیَّاكَ
نَسۡتَعِیۡنُ - اِهۡدِ نَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ - صِرَاطَ الَّذِیۡنَ
اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡهِمۡ ۬ۙ غَیۡرِ .الۡمَغۡضُوۡبِ
عَلَیۡهِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ
সরল অনুবাদঃ পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের
রব। যিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা আপনারই ইবাদাত করছি
এবং আপনারই নিকট সাহায্য চাচ্ছি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি
আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, তাদের পথও
নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
৪। ক্বেরাত (পাঁচটি সূরাহ)
১. সূরা কাউসার
اِنَّاۤ اَعۡطَیۡنٰكَ الۡكَوۡثَرَ
ؕ - فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انۡحَرۡ - اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الۡاَبۡتَرُ
সরল অনুবাদঃ আমি আপনাকে (হাওযে) কাওসার দান করেছি। সুতরাং আপনার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন এবং কুরবানী করুন। নিশ্চয়ই আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীইতো
নিবংর্শ।
২. সূরা কাফিরুন
قُلۡ یٰۤاَیُّهَا الۡكٰفِرُوۡنَ - لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ - وَ لَاۤ
اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ - وَ لَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ وَ
لَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ - لَكُمۡ دِیۡنُكُمۡ وَلِیَ دِیۡنِ
সরল অনুবাদঃ বলুন,
‘হে কাফিররা!
তোমরা যার ‘ইবাদাত কর আমি তার
‘ইবাদাত করি না’। এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও’। ‘আর তোমরা যার ‘ইবাদত করছ আমি তার ‘ইবাদাতকারী হব না’। এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও’। তোমাদের জন্য তোমাদের (দ্বীন) কর্মফল এবং
আমার জন্য আমার (দ্বীন) কর্মফল।
৩. সূরাহ ইখলাস
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ - اَللّٰهُ
الصَّمَدُ - لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ - وَ لَمۡ یَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا
اَحَدٌ
সরল অনুবাদঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেন না, আর তাঁকেও
জন্ম দেয়া হয়নি। তাঁর সমকক্ষ কেউ নয়।
৪.সূরাহ ফালাক্ব
قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ -
مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَ - وَ مِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ - وَ مِنۡ شَرِّ
النَّفّٰثٰتِ فِی الۡعُقَدِ - وَ مِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ
সরল অনুবাদঃ বলুন, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি সকাল বেলার
রব-এর, তিনি যা সৃষ্টি
করেছেন তার অনিষ্ট হতে, আর রাতের
অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, এবং (জাদু করার উদ্দেশে) গিরায় ফুৎকারকারিণীদের
অনিষ্ট হতে, এবং হিংসুকের
অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে।
৫. সূরাহ নাস
قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ - مَلِكِ النَّاسِ ۙ - اِلٰهِ
النَّاسِ - مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ ۬ۙ الۡخَنَّاسِ - الَّذِیۡ یُوَسۡوِسُ فِیۡ
صُدُوۡرِ النَّاسِ - مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ
সরল অনুবাদঃ
বলুন, আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের
রবের, যিনি মানবমন্ডলীর
বাদশাহ বা অধিপতি। মানুষের ইলাহ-এর কাছে, কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত
আত্মগোপন করে। যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। জিন ও মানুষের মধ্য হতে।
৫। রুকুর তাসবীহ
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
৬। রুকু হতে উঠার দোয়াঃ
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ- رَبَّنَا
لَكَ الْحَمْدُ
অর্থ : যে আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন। আমাদের প্রতিপালক!
তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা।
৭। সিজদাহর
তাসবীহ
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلٰي
অর্থ : “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা
করছি, যিনি সবার উপরে।
৮। দুই
সিজদাহর মাঝে দোয়া
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ
وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমার অবস্থার
সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান
করুন ও আমাকে রূযী দান করুন’।
৯। তাশাহহুদ
ٱلتَّحِيَّاتُ لِلَّٰهِ وَٱلصَّلَوَاتُ
وَٱلطَّيِّبَاتُ، ٱلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ
وَبَرَكَاتُهُ، ٱلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَىٰ عِبَادِ ٱللَّٰهِ ٱلصَّالِحِينَ،
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ
وَرَسُولُهُ.
সকল সম্মান-সম্ভাষণ, সকল সালাত ও সকল পবিত্রতা আল্লাহ্
তা‘আলার জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি, রহমত ও বরকত
অবতীর্ণ হোক, আমাদের ও নেক বান্দাদের উপর শান্তি অবতীর্ণ হোক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে ‘‘মুহাম্মাদ’’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর
বান্দা ও রাসূল।
১০। দুরুদে ইব্রাহীম
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ
وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ
إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ
وَّعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى آلِ إِبْرَاهِيْمَ
إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিজনের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেভাবে বর্ষণ
করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ও তাঁর পরিজনের প্রতি যেভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইব্রাহীম (আঃ) ও তাঁর এর পরিজনের
প্রতি, নিশ্চই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত।
১১। দোয়া মাসুরা
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ
نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي
مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
হে আল্লাহ্! আমি নিজের উপর অধিক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ
ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ হতে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষণ
করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
১২। দোয়া কুনুত
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ
وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ
الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ
يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ
وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ
عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা
চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি।
আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি,
অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য
নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই
রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।
No comments