ভূমিকাঃ সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় পারিবারিক জীবনের প্রাথমিক শর্ত হলো
বিয়ে। বিয়ে হচ্ছে একটি পবিত্র বন্ধন। এটা কারও অজানা নেই, একজন পুরুষ এবং একজন নারীর একত্রে জীবনযাপনে ধর্ম এবং
রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত যে বন্ধন স্থাপিত হয়, তারই নাম বিয়ে। বিয়ে-বন্ধন কেবল গতানুগতিক বা কোনো সামাজিক প্রথা নয়, এটা মানবজীবনের ইহকাল ও পরকালের মানবীয় পবিত্রতা রক্ষার জন্য
আল্লাহ পাকের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত। সুতরাং এটা যে কেবল পার্থিব জীবনের গুরুত্বই
বহন করে এমন নয়, বরং পারলৌকিক জীবনের জন্যও অনেক গুরুত্ব
বহন করে।
উদ্দেশ্যঃ আজকের
ক্লাসের উদ্দেশ্য হল সকলকে বৈবাহিক জীবন
এবং পারিবারিক মূল্যবোধ বিষয়ে প্রেষণা প্রধান করা।
আলোচনার সুবিধার্থে আজকের ক্লাশকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছিঃ
ক) বিবাহপূর্ব প্রস্তুতি / সঠিক সঙ্গী
নির্বাচন
খ) বৈবাহিক জীবন / দাম্পত্য জীবন
গ) পারিবারিক জীবন
ক। বিবাহপূর্ব প্রস্তুতি
/ সঠিক সঙ্গী নির্বাচন
বিবাহ পূর্ব
প্রস্তুতির মধ্যে অন্যতম বিষয় হল সঙ্গী নির্বাচনে সতর্কতা। কেননা এই নির্বাচন
একবার ভুল হলে আজীবন এর মাশুল দিতে হবে। বিবাহপূর্ব প্রস্তুতি ও সঠিক সঙ্গী
নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হলঃ
১। হাদিসের নীতিমালাঃ বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন কনে বাছাই করতে হবে এই বিষয়ে
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস থেকে জানতে পারি,
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى
الله عليه وسلم - قَالَ: «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ: لِمَالِهَا،
وَلِحَسَبِهَا، وَلِجَمَالِهَا، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ
تَرِبَتْ يَدَاكَ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়ঃ তার সম্পদ,
তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী। সুতরাং
তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬)
২।‘কুফু’
সমতা রক্ষা করাঃ বিবাহের ক্ষেত্রে সমতা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বর্তমানে অনেকেই এই বিষয়ে অবহেলা করার কারনে পারিবারিক
জীবনে নেমে আসে নানা প্রকার অশান্তি। বিবাহে কুফুর বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
আদেশ,
عَنْ
عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا
لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ
আয়িশা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো
এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৬৮)
৩। বয়সঃ দাম্পত্য জীবনে সুখের একটি অন্যতম শর্ত হল বিয়ের ক্ষেত্রে
বয়সের প্রার্থক্য। অনেকে এই বিষয়ে নানা মতামত ব্যক্ত করলেও বিয়ের ক্ষেত্রে সম-বয়স
এবং বয়সের বড় ধরণের দূরত্ব দুইটিই ক্ষতিকর। সমবয়সী হলে উভয়ের মাঝে সম্মান এবং
শ্রদ্ধার সম্পর্ক খুব কমই দেখা যায়। আবার বয়সে দূরত্ব বেশি হলে উভয়ের মাঝে
পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হয়না। একে অন্যের মানসিক অবস্থা, চাহিদা অনুধাবন করতে
পারেনা। তখনই সংসারে শুরু হয় নানা অশান্তি।
৪। পাত্রী নির্বাচনে 4B
ক। B blood (স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ জানা)
খ। B Brain (মেধাবী সঙ্গী বাছাই করা)
গ। B Bank (আর্থিক অবস্থার দিকে খেয়াল করা।)
ঘ। B Beauty (সঙ্গীর সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করা। )
৪। মহরের
নির্ধারণে সতর্কতাঃ বিবাহের ক্ষেত্রে মহর একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশে কিছু কিছু
যায়গায় মহরের টাকা এত বেশি নির্ধারণ করা হয় যা পরিশোধ করা পাত্রের পক্ষে অনেক কঠিন
হয়ে যায়। যা ইসলাম সম্মত নয়। মহর আদায়ের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِہِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ
لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡہُ نَفۡسًا فَکُلُوۡہُ ہَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا
নারীদেরকে খুশী মনে
তাদের মাহর আদায় কর। তারা নিজেরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার কিছু অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা সানন্দে, স্বচ্ছন্দভাবে ভোগ করতে
পার। (আন নিসা - ৪:৪)
৫। বিয়েতে
অপচয় না করাঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে বিয়ে যত সহজ এবং স্বল্প ব্যয়ে হয়; সেই বিয়ে ততই শান্তি ও বরকতময় হয়।’(মিশকাত)
খ) বৈবাহিক জীবন / দাম্পত্য জীবন
দাম্পত্য জীবনের
সুখ অনেক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে। কয়েকটি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ
১। পারস্পরিক বোঝাপড়াঃ সুখি দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একজন অন্যজনকে ভালোভাবে না বুঝলে। অন্যজনের মন খারাপের কারণ না জানলে সে দাম্পত্য
জীবনে অশান্তি লেগে থাকা স্বাভাবিক।
২। পারস্পরিক শ্রদ্ধা/ ভালোবাসা/ সম্মানঃ স্বামী- স্ত্রী একজনের প্রতি
অন্যজনের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্মান থাকা অপরিহায্য। কেননা শ্রদ্ধা সম্মান না থাকলে সেখানে আনুগত্যের
প্রশ্নই আসেনা। আর যেখানে আনুগত্য নাই সেখানে অশান্তি লেগে থাকাই স্বাভাবিক।
৩। ধৈর্য্যধারন, ক্ষমাঃ দাম্পত্য জীবনে ধৈর্য্য এবং ক্ষমার কোন বিকল্প নাই। একজনের
আচরণে আরেকজন ধৈর্য্যধারণ করতে না পারলে তখনই সংঘাত হা অশান্তি শুরু। ছাড় দেয়ার মন
মানসিকতা ছাড়া সুখি পারিবারিক জীবন কল্পনা করা অসম্ভব।
৪। উত্তম আচরণঃ স্বাভাবিক ভাবেই ভালো আচরন, উত্তম আচরণ মানুষের স্বাভাবিক গুণ। যেকোন মানুষ
অন্যজনের নিকট উত্তম আচরণ আশা করে। আর যার সাথে সারা জীবন এক সাথে থাকার সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন তার সাথে উত্তম আচরণ না করে একসাথে থাকা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَعَاشِرُوۡہُنَّ
بِالۡمَعۡرُوۡفِ
আর তাদের সাথে সদ্ভাবে
জীবন যাপন কর। (আন নিসা ৪:১৯)
প্রিয়নবী (সাঃ)
তার স্ত্রীদের সাথে হাসি তামাশা করতেন, রাতের অন্ধকারে দৌঁড় প্রতিযোগীতা করতেন।
তাদের ঘরের কাজে সাহায্য করতেন।
৫। স্ত্রীর ভরণপোষণঃ সামর্থ অনুযায়ী স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা স্বামীর
দায়িত্ব। পরিবার পরিজনের জন্য ব্যয় করাও এক ধরণের সদকাহ।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " دِينَارٌ أَنْفَقْتَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ
أَنْفَقْتَهُ فِي رَقَبَةٍ وَدِينَارٌ تَصَدَّقْتَ بِهِ عَلَى مِسْكِينٍ
وَدِينَارٌ أَنْفَقْتَهُ عَلَى أَهْلِكَ أَعْظَمُهَا أَجْرًا الَّذِي أَنْفَقْتَهُ
عَلَى أَهْلِكَ "
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুলাহ (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
একটি দীনার তুমি আল্লাহর পথে ব্যয় করলে, একটি দীনার গোলাম আযাদ করার জন্য এবং একটি দীনার মিসকীনদেরকে দান করলে এবং
আর একটি তোমার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করলে। এর মধ্যে (সাওয়াবের দিক থেকে) ওই দীনারটিই
উত্তম যা তুমি পরিবারের লোকদের জন্য ব্যয় করলে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২২০১)
৬। উপহার বিনিময় করাঃ দাম্পত্য জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মূহুর্ত গুলো দাম্পত্য
জীবনের সুখ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধি পাওয়ার একটা
অন্যতম পদ্ধতি হল একে অন্যের মাঝে উপহার বিনিময়। উপহার যত ছোটই হোক এর দ্বারা
মানুষ আনন্দিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تَهَادُوا تَحَابُّوا»
আবু হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা পরস্পর উপহারাদি বিনিময় করো, তোমাদের পারস্পরিক মহব্বত সৃষ্টি হবে। (আদাবুল মুফরাদ,
হাদিস নং ৫৯৭)
গ) পারিবারিক জীবন
পারিবারিক জীবন
বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে পরিবারের সকলকে নিয়ে আমাদের বসবাসের বিষয়টি। পারিবারিক জীবনে সুখ লাভ করতে
হলেও আমাদেরকে কিছু বিষয় অনুস্মরণ করতে হবে।
১। পরামর্শ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ আমাদের সমাজে অনেকেই পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদেরকে
মূল্যায়ন করে না। অথচ, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) স্বীয় স্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটরাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে।
আল্লাহ তাআলা সূরা আলে ইমরানের ১৫৯ নং আয়াতে বলেন,
وَشَاوِرۡہُمۡ فِی الۡاَمۡرِ ۚ
অর্থাৎ
সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপনি পরামর্শ করুন।
২। জীবন সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি
দায়িত্ব পালনঃ একটি সুন্দর পারিবারিক জীবন
পরিচালনার জন্য পরিবারের সাথে সংযুক্ত অন্য পরিবারের সদস্যদের সাথেও ভালো আচরণ করা
আবশ্যক। অর্থাৎ, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি সহ স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের সাথেও ভালো আচরণের
দ্বারা আপনার পিতামাতা আত্মীয় স্বজনের প্রতিও আপনার স্ত্রীর মনে দায়িত্ববোধ জাগ্রত
হবে।
৩। পরিবারে ধর্মীয় পরিবেশ নিশ্চিত করাঃ পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপদ, সুন্দর, ধর্মীয় পরিবেশ
নিশ্চিত করা স্বামীর দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট
কাঙ্ক্ষিত আচরণ আশা করা অসম্ভব।
৪। সাধ্যমত ব্যয় করাঃ পরিবারের সদস্যদের জন্য সাধ্যমত ব্যয় করা উচিত। এক্ষেত্রে
যেমনি মুক্ত হস্ত হওয়া যাবেনা তেমনিভাবে কৃপণতা করাও যাবেনা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَجۡعَلۡ یَدَکَ مَغۡلُوۡلَۃً اِلٰی عُنُقِکَ وَلَا
تَبۡسُطۡہَا کُلَّ الۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُوۡمًا مَّحۡسُوۡرًا
(কৃপণতাবশে) নিজের
হাত ঘাড়ের সাথে বেঁধে রেখ না এবং (অপব্যয়ী হয়ে) তা সম্পূর্ণরূপে খুলে রেখ না,
যদ্দরুণ তোমাকে নিন্দাযোগে ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়তে হবে। (বনী-ইসরাঈল
১৭:২৯)
৫। ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করাঃ সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। সন্তানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা
পিতামাতার দায়িত্ব। কেননা, ধর্মীয় শিক্ষা
অর্জন করা ফরজ। আর ধর্ম, নৈতিকতা শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে এই সন্তান সন্ততি একদিন
পিতামাতার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৬। সকলের অধিকারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকাঃ আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেকেই স্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে
পিতামাতার মনে কষ্ট দেয়। অনেকেই পিতামাতা এবং স্ত্রীকে এক সাথে ম্যানেজ করতে
ব্যর্থ হলে পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। অনেকে আবার একাধিক সন্তানের মাঝে অধিকারের
ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করতে পারেন না। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। সন্তান একাধিক থাকলে
সকলের অধিকারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
৭। সন্তানের সম্মুখে অন্তরঙ্গ না হওয়াঃ অনেক স্বামী স্ত্রী আছেন তারা সন্তানকে ছোট মনে করে তাদের
সামনে অন্তরঙ্গ আচরণ করেন যা কচি বাচ্চার মনের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। হাদিস
শরিফে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
«مُرُوا أوْلاَدَكُمْ
بِالصَّلاةِ وَهُمْ أبْنَاءُ سَبْعِ سِنينَ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا، وَهُمْ
أبْنَاءُ عَشْرٍ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ في المضَاجِعِ».
১০ বছর হলেই ছেলেদের বিছানা আলাদা করে দিতে
বলেছেন। বাসায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং আলাদা কক্ষ থাকলে ১০ বছরের আগেও আলাদা করে
দেয়ায় বাঁধা নাই। তবে কন্যা সন্তানরা যেহেতু ছেলে সন্তানের তুলনায় আগে প্রাপ্ত
বয়স্ক হয় তাই তাদেরকে আরো আগেই আলাদা করে দেয়া উচিত।
সমাপনীঃ জাতিসংঘ প্রতি বছর ১৫ মে ‘আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস’ পালন করে। তারা পরিবার বিষয়ে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা
এবং শান্তিময় জীবন লাভের স্বপ্ন নিয়ে এ দিবসের নানা আয়োজন করে। অথচ আমাদের প্রাণের
ধর্ম ইসলাম শান্তিময় জীবন ও পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য শেখানোর জন্য দিয়েছে ‘পরিবার ব্যবস্থা’। কোরআনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলেই কেবল আদর্শ পরিবার গঠন করা সম্ভব। মহান আল্লাহ
আমাদের সবাইকে তাঁর নির্দেশিত পথে আমাদের পরিবারগুলো গঠন করার তওফিক দিন।