কুরবানি বিষয়ক আয়াত ও হাদিস |
আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে যবাই
وَلِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا
اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ
فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَبَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ ۙ
আমি প্রত্যেক উম্মতের
জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর
দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ
তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;
(সূরা হাজ্জ্ব ২২:৩৪)
আদম (আঃ) এর দুই পুত্রের
কুরবানী
وَاتۡلُ عَلَیۡہِمۡ نَبَاَ ابۡنَیۡ اٰدَمَ
بِالۡحَقِّ ۘ اِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنۡ اَحَدِہِمَا وَلَمۡ یُتَقَبَّلۡ
مِنَ الۡاٰخَرِ ؕ قَالَ لَاَقۡتُلَنَّکَ ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰہُ
مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ
আপনি তাদেরকে আদমের
দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান। যখন তারা ভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত হয়নি।
সে বললঃ আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বললঃ আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেই তো
গ্রহণ করেন।
(সূরা মায়েদাহ ৫:২৭)
আল্লাহ দেখেন বান্দাহর
তাক্বওয়া
لَنۡ یَّنَالَ اللّٰہَ لُحُوۡمُہَا وَلَا
دِمَآؤُہَا وَلٰکِنۡ یَّنَالُہُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَہَا
لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ ؕ وَبَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
এগুলোর গোশত ও
রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর
কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ
শুনিয়ে দিন।
(সূরা হাজ্জ্ব ২২:৩৭)
إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ
وَلاَ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ " .
وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ إِلَى صَدْرِهِ .
আবূ হুরাইরাহ্
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের দেহকায় ও বাহ্যিক আকৃতির প্রতি
দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি তোমাদের
অন্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।” (এ বলে) তিনি তাঁর আঙ্গুলের মাধ্যমে স্বীয় বক্ষের দিকে ইঙ্গিত
করেন। (ই.ফা. ৬৩১০, ই.সে. ৬৩৫৯)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৩৬
আল্লাহর প্রতি ইখলাস
قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَنُسُکِیۡ وَمَحۡیَایَ
وَمَمَاتِیۡ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۙ
لَا شَرِیۡکَ لَہٗ ۚ وَبِذٰلِکَ اُمِرۡتُ وَاَنَا اَوَّلُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
আপনি বলুনঃ আমার
নামায,
আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই
জন্যে। তাঁর কোন অংশীদার নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল।
(সূরা আনআম ৬:১৬২-১৬৩)
কুরবানীর আদেশ
فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَانۡحَرۡ ؕ
অতএব আপনার পালনকর্তার
উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
(সূরা কাওসার ১০৮:২)
وَلِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا
اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ
فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَبَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ ۙ
আমি প্রত্যেক উম্মতের
জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর
দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ
তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;
(সূরা হাজ্জ্ব ২২:৩৪)
কুরআনে
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর ইতিহাস
رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ
হে আমার পরওয়ারদেগার!
আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
فَبَشَّرۡنٰہُ بِغُلٰمٍ حَلِیۡمٍ
সুতরাং আমি তাকে
এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَہُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ
اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُکَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی ؕ
قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ
الصّٰبِرِیۡنَ
অতঃপর সে যখন পিতার
সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে
বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা
হয়েছে,
তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَتَلَّہٗ لِلۡجَبِیۡنِ ۚ
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই
আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
وَنَادَیۡنٰہُ اَنۡ یّٰۤاِبۡرٰہِیۡمُ ۙ
তখন আমি তাকে ডেকে
বললামঃ হে ইব্রাহীম,
قَدۡ صَدَّقۡتَ الرُّءۡیَا ۚ اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی
الۡمُحۡسِنِیۡنَ
তুমি তো স্বপ্নকে
সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
اِنَّ ہٰذَا لَہُوَ الۡبَلٰٓـؤُا الۡمُبِیۡنُ
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট
পরীক্ষা।
وَفَدَیۡنٰہُ بِذِبۡحٍ عَظِیۡمٍ
আমি তার পরিবর্তে
দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
وَتَرَکۡنَا عَلَیۡہِ فِی الۡاٰخِرِیۡنَ ۖ
আমি তার জন্যে এ
বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ
ইব্রাহীমের প্রতি
সালাম বর্ষিত হোক।
کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে
প্রতিদান দিয়ে থাকি।
(সূরা সাফাফাত ৩৭:১০০-১১০)
হাদিসের
আলোকে কুরবানীর ফজিলত
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ أَصْحَابُ
رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا هَذِهِ
الأَضَاحِيُّ قَالَ " سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ " . قَالُوا
فَمَا لَنَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ
" . قَالُوا فَالصُّوفُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ
شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ " .
যায়দ বিন আরকাম
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবিগণ বললেন,
ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কোরবানী কী? তিনি বলেন, তোমাদের পিতা ইব্রাহিম
(আ:) এর সুন্নাত (ঐতিয্য)। তারা পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! এতে আমাদের জন্য কী (সওয়াব) রয়েছে? তিনি বলেন, প্রতিটি পশমের পরিবর্তে
পুণ্য হবে (এদের পশম তো অনেক বেশি)? তিনি বলেন, লোমশ পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও
একটি করে নেকী রয়েছে।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩১২৭
কুরবানীর দিনের গুরুত্বপূর্ণ
আমল
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ:
«مَا عَمِلَ ابْنُ ادَمَ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللّهِ مِنْ
إِهْرَاقِ الدَّمِ وَإِنَّهُ لَيُؤْتى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا
وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلَافِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللهِ بِمَكَانٍ
قَبْلَ أَنْ يَقَعَ بِالْأَرْضِ فَطِيْبُوْا بِهَا نَفْسًا» . رَوَاهُ
التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : কুরবানীর দিনে আদাম সস্তানগণ এমন কোন কাজ করতে পারে
না যা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার (অর্থাৎ কুরবানী করা) চেয়ে বেশী প্রিয় হতে পারে।
কুরবানীর সকল পশুর শিং, পশম, এদের ক্ষুরসহ ক্বিয়ামাতের দিন (কুরবানীকারীর নেকীর পাল্লায়)
এসে হাজির হবে। কুরবানীর পশুর রক্ত মাটি স্পর্শ করার পূর্বেই আল্লাহর নিকট মর্যাদাকর
স্থানে পৌঁছে যায়। তাই তোমরা সানন্দে কুরবানী
করবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৪৭০
সাত
শরিকে কুরবানী দেয়া যাবে?
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا
هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ، عَبْدِ
اللَّهِ قَالَ كُنَّا نَتَمَتَّعُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
بِالْعُمْرَةِ فَنَذْبَحُ الْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ نَشْتَرِكُ فِيهَا .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তামাত্তু’ হাজ্জ করেছি। আমরা সাত শারীকে মিলে একটি গরু কুরবানী করেছি। (ই.ফা. ৩০৫৬, ই.সে. ৩০৫৩)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩০৮১
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَحَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَدَنَةَ
عَنْ سَبْعَةٍ
জাবির (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হুদাইবিয়ার (সন্ধির) বছর একটি গরু সাতজনের
পক্ষ হতে এবং একটি উটও সাতজনের পক্ষ হতে কুরবানী করেছি।
-সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩১৩২), মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৯০৪
কুরবানীর পশুর পাশে
দাঁড়ানোর আদেশ
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ
يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا لُحُومَهَا
وَجُلُودَهَا وَجِلاَلَهَا وَلاَ يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا شَيْئًا
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিজের কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে
আর এগুলোর সমুদয় গোশ্ত, চামড়া এবং পিঠের
আবরণসমূহ বিতরণ করতে নির্দেশ দেন এবং তা হতে যেন কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই না
দেয়া হয়। (১৭০৭) (আঃপ্রঃ ১৫৯৯, ইঃফাঃ ১৬০৬) সহিহ
বুখারী,
হাদিস নং ১৭১৭
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও
কুরবানী না দেয়ার পরিণাম
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ،
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَيَّاشٍ،
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ
يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)
থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি সামর্থ্য
থাকা সত্তেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদের
মাঠের কাছেও না আসে।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩১২৩